মোঃ শামসুল হক (রাজনীতিবিদ)

মোঃ শামসুল হক ১৯৩০ সালের ২৯শে জানুয়ারী তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[1]

১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন আনন্দ মোহন কলেজ, ময়মনসিংহ এর উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র। আন্দোলনে যোগ দেওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ শহরের স্টেশন রোড থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি এসময় ৬ মাস কারাগারে কাটান।[1][2] ময়মনসিংহ শহরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মাণের সাথে তিনি যুক্ত ছিলেন।[3]

স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়লাভের পর এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শামসুল হক এম পি(বাম থেকে দ্বিতীয়), সাথে রফিক উদ্দীন ভূঁইয়া(ডান থেকে দ্বিতীয়) এবং বিগ্রেডিয়ার সনত সিং(ডান থেকে প্রথম)

ভাষা আন্দোলনের পর তিনি ৬৯ এর গণঅভুত্থ্যান, ৭০ এর নির্বাচন ও ১৯৭১ এর স্বাধীনতা যুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৭০, ১৯৭৩, ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং ১৯৮৮ সালে ফুলপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসাবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৬ সালে পাট মন্ত্রনালয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ছিলেন।[1]

তার মৃত্যুর পর তার পুত্র শরীফ আহমেদ ময়মনসিংহ-২ আসন থেকে দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের মন্ত্রীসভায় শরীফ আহমেদ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় (বাংলাদেশ) এর প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব পান।

তার কীর্তিকে স্মরণ করে ময়মনসিংহ শহরের টাউন হল সংলগ্ন ভাষা সৈনিক শামসুল হক মঞ্চ করা হয়েছে।[2]