মহিষকুন্ডি
মহিষকুন্ডি বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার একটি গ্রাম।
মহিষকুন্ডি | |
---|---|
গ্রাম | |
![]() ![]() মহিষকুন্ডি | |
স্থানাঙ্ক: ২৪.০০৫৪৫৬° উত্তর ৮৮.৭৬৬২৩৫° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
বিভাগ | খুলনা বিভাগ |
জেলা | কুষ্টিয়া জেলা |
উপজেলা | দৌলতপুর উপজেলা |
ইউনিয়ন | প্রাগপুর ইউনিয়ন |
সরকার | |
• চেয়ারম্যান | মোঃ আশরাফুজ্জামান |
আয়তন | |
• মোট | ৮ কিমি২ (৩ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা | |
• মোট | ৬,৭৪৩ |
সাক্ষরতার হার | |
• মোট | ৫১% |
সময় অঞ্চল | বিএসটি (ইউটিসি+৬) |
পোস্ট কোড | ৭০৫২ |
ওয়েবসাইট | দাপ্তরিক ওয়েবসাইট |


ভৌগলিক অবস্থান
'মহিষকুন্ডি' (ইংরেজি- Mohishkundi) বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চলের খুলনা বিভাগের অন্তর্গত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক গুরুত্বসম্পন্ন অঞ্চল। ব্রিটিশ শাসন আমলে তখনকার সময় মহিষকুন্ডি বাজারের নিকট বর্তমানে (মহিষকুন্ডি বাজার জামে মসজিদ) একটি নীলকুঠি স্থাপিত হয়েছিলো। নীলকুঠি থেকেই বর্তমানের মহিষকুন্ডি নামকরন করা হয়েছে। ১৮০০ সালের দিকে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। [1][2] উত্তরে রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ভাগযোত গ্রাম ও পদ্মা নদী, দক্ষিণে প্রাগপুর, পূর্বে মথুরাপুর ও পশ্চিমে ভারত সীমান্ত। বাজারের মাঝ বরাবর দিয়ে গেছে কুষ্টিয়া-মহিষকুন্ডি প্রধান সড়ক। যেটি এই এলাকার প্রাধান সড়ক হিসেবে পরিচিত।
প্রশাসনিক এলাকাসমূহ
বর্তমানে গ্রামটি ভাগযোত, মুন্সিগঞ্জ, পদ্মার চর, পাকুড়িয়া, জামালপুর, জয়পুর, মাদাপুর এবং আশেপাশের কয়েকটি গ্রামের মূল বাজার হিসেবেও পরিচিত। মহিষকুন্ডি এর মৌজার নাম মহিষকুন্ডি।

ইতিহাস
মহিষকুন্ডি একটি অতি প্রাচীন জনপদ। অল্প কিছু দোকান নিয়ে মহিষকুন্ডি বাজারের যাত্রা শুরু হয়। মহিষকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত-১৯১৭), মহিষকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় (স্থাপিত-১৯৬৩ ), মহিষকুন্ডি কলেজ (স্থাপিত-১৯৯৯), সবুজ-কলি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল (স্থাপিত-২০০৭) প্রতিষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বর্তমানে ২ টা মাদ্রাসা, ৮ টা মসজিদ,২ টা ঈদগাহ, ৩ টা কবরস্থান, ২ টি বিজিবি ক্যাম্প আছে । এখানেই ইউনিয়ন ভূমি অফিস অবস্থিত। স্বাধীনতার সময় এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের সাথে পাকিস্থানি বাহিনীর আমরণ একটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। ফলে এখান একটি মুক্তিযুদ্ধ সৃতিস্তম্ভ নির্মান করা হয়েছে।
যোগাযোগ ব্যবস্থা
মহিষকুন্ডি বাজারের সাথে এর কাছাকাছি জেলা শহর ও উপজেলা শহর সহ অন্যান্য জেলায় যাবার সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে। জেলা শহর ও উপজেলা শহরে পরিবহনের জন্য এখানে মহাসড়ক আছে। সহজ যোগাযোগের জন্য রয়েছে বাস, থ্রি-হুইলার, ইজি বাইক, ভ্যান, অটোভ্যান ইত্যাদি।
নদীসমূহঃ পদ্মা নদী, মাথাভাঙ্গা নদী ।
ডাকঘরঃ মহিষকুন্ডি
পোষ্টকোডঃ ৭০৫২
জনসংখ্যার উপাত্ত
২০১১ সালের বাংলাদেশ আদমশুমারী অনুযায়ী মহিষকুন্ডির জনসংখ্যা ৬,৭৪৩ জন।
অর্থনীতি
আয়ের সিংহভাগ অংশ আসে কৃষি থেকে। এখানকার মানুষের প্রধান কৃষি হচ্ছে ধান। সারাবছরই তারা ধানের চাষ করে। এছাড়া একেক মৌসুমে একেক রকম ফসল তৈরি করে এ অঞ্চলের মানুষেরা। যেমন গম, আলু, রসুন, পিঁঁয়াজ, পাট, মরিচ ইত্যাদি। আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে ব্যবসা। মহিষকুন্ডি বাজারে সপ্তাহে দুইদিন সোমবার আর বৃহষ্পতিবার হাট বসে। হাটে নানা রকমের শাকসবজী,ফলমুল, মিষ্টি, খাদ্যদ্রব্য খুচরা ও পাইকারী ক্রয় বিক্রয় করা হয়।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস: কৃষি ৬০.০২%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৬৩%, শিল্প ২.২০%, ব্যবসা ১৭.১৬%, পরিবহন ও যোগাযোগ ২.৬৬%, চাকরি ৩.৮২%, নির্মাণ ০.৭১%, ধর্মীয় সেবা ০.১২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৩০% এবং অন্যান্য ৬.৩৮%।
প্রধান ফল-ফলাদিঃ আম, কলা, কাঁঠাল, পেঁপে, লিচু, পেয়ারা, তাল।
হোটেল/রেস্তোরাঃ এখানে ৪ টা ভালো মানের হোটেল আছে। এখানে মোটামুটি খাওয়া-দাওয়া করা যায়। এছাড়া দধি, মিষ্টি, দৈ, সার্বক্ষনিক পাওয়া যায়।
এনজিও: ব্র্যাক, আশা, কর্ণফুলি, বেঙ্গল, গ্রামীন ব্যাংক।
বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গ
- মোঃ জাহাঙ্গীর আলম—সাংবাদিক
- মোঃ আজিজুল হক ও মোঃ রেজাউল হক—সাবেক বিশিষ্ট সমাজসেবক ও ইউপি চেয়ারম্যান।
শিক্ষা
*মহিষকুন্ডি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, *
- মহিষকুন্ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,
- মহিষকুন্ডি কলেজ,
- সবুজ-কলি কিন্ডার গার্ডেন স্কুল।
চিকিৎসা
এখানে আছে একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ৩ টা ক্লিনিক তাছাড়া আরো অন্যান্য ছোটবড় ডায়াগনষ্টিক সেন্টার।
তথ্যসূত্র
- "প্রাগপুর ইউনিয়ন"। pragpurup.kushtia.gov.bd। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৫।
- "দৌলতপুর উপজেলা (কুষ্টিয়া)"। http://bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-১০-০৫।
|ওয়েবসাইট=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য)