বুর্জ খলিফা

বুর্জ খলিফা (আরবি: برج خليفة ; /খালিফাহ/) বর্তমানে পৃথিবীর গগনচুম্বী অট্টালিকা বা উচ্চতম ভবন যা ৪ঠা জানুয়ারী ২০১০ তারিখে উদ্বোধন করা হয়েছে।[8] এটি আরব আমিরাতের দুবাই শহরে অবস্থিত। এটি "দুবাই টাওয়ার" নামেও পরিচিত।[9] নির্মাণকালে এর বহুল প্রচারিত নাম বুর্জ দুবাই (আরবি: برج دبي) থাকলেও উদ্বোধনকালে নাম পরিবর্তন করে "বুর্জ খলিফা" রাখা হয়।[10]

বুর্জ খলিফা

বুর্জ খলিফা

বুর্জ খলিফা ছিল বিশ্বের উচ্চতম ভবন২০১০ থেকে.*
যে ভবনটি এর পূর্বে সর্বোচ্চ ভবন ছিলতাইপে ১০১
তথ্য
অবস্থানদুবাই, সংযুক্ত আরব আমিরাত
বর্তমান অবস্থা সম্পূর্ণ
ভিত্তিপ্রস্তরজানুয়ারি ২০০৪
নির্মিত২০০৪–২০১০
প্রবেশ৪ঠা জানুয়ারি ২০১০[1]
ব্যবহারমিশ্র-ব্যবহার
রুফ৮২৮ মি (২,৭১৭ ফু)[2]
সর্বোচ্চতল৬২১.৩ মি (২,০৩৮ ফু)[2]
কারিগরী বর্ণনা
তলসংখ্যা১৬৩ বাসযোগ্য মেঝে[2][3]
plus 46 maintenance levels in the spire[4] and 2 parking levels in the basement
ফ্লোরএরিয়া৩,০৯,৪৭৩ মি (৩৩,৩১,১০০ ফু)[2]
ব্যয়$১.৫ বিলিয়ন (মার্কিন ডলার) ৳১২হাজার,৪শত,৬৯কোটি,৯৫লক্ষ টাকা (BDT)[5]
প্রতিষ্ঠানসমূহ
স্থপতিআদ্রিয়ান স্মিথ (সংস্থা : স্কিডমোর , ওউইংস এন্ড মেরিল)
স্থাপত্য
বাস্তুকার
উইল্লিয়াম ফ্রাজিয়ের বাকের(বিল বাকের) (সংস্থা : স্কিডমোর , ওউইংস এন্ড মেরিল)[6]
কন্ট্রাকটর KOR-র স্যামসাং সিএন্ডটি(কনস্ট্রাকশন এন্ড ট্রেডিং),  BEL-র বেসিক্স এবং  UAE-র আরবটেক
সুপারভিশন কনসালটেন্ট ইঞ্জিনিয়ার এন্ড আর্কিটেক অব রেকর্ড হায়দার কনসালটিং
কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট ম্যানেজার টার্নার কনস্ট্রাকশন
গ্রোকোন[7]
প্ল্যানিং বাউয়ের এজি এন্ড মিডিল ইস্ট ফাউন্ডেশন্স[7]
লিফট কন্ট্রাক্টর ওটিস[7]
ভিটি কনসালটেন্ট লার্চ ব্যাটেস[7]
ডেভলপারএমার প্রোপার্টিজ

*Fully habitable, self-supported, from main entrance to highest structural or architectural top; see the list of tallest buildings in the world for other listings.

উচ্চতা

এটির উচ্চতা ৮২৮ মিটার (২,৭১৭ ফু)। এটি তাইওয়ানের তাইপে ১০১ টাওয়ার থেকে ১,০০০ ফুটেরও বেশি উচ্চতর। "তাইপেই ১০১" ভবনটির উচ্চতা ৫০৮ মিটার (১,৬৬৭ ফু)। ২০০৪ থেকে ২০০৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত এটিই ছিল পৃথিবীর উচ্চতম স্থাপনা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে অবস্থিত উইলিস টাওয়ারটি ৪৪২ মিটার (১,৪৫০ ফু) উঁচু। "বুর্জ খলিফা" এতই উঁচু একটি ভবন যে নিচতলা আর সর্বোচ্চ তলার মধ্যে তাপমাত্রার পার্থক্য ৬° সেলসিয়াস[11]

কিছু বৈশিষ্ট্য

"বুর্জ খলিফার" নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৪ খ্রিস্টাব্দে, আর কাজ শেষ হয় ২০০৯ খ্রিস্টাব্দে। এটি তৈরীতে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় হয়েছে। এর বহিঃপ্রাঙ্গনে অবস্থিত ফোয়ারা নির্মাণেই ব্যয় হয়েছে ১৩৩ মিলিয়ন ব্রিটিশ পাউন্ড। এই ভবনে ১,০৪৪টি বাসা (এপার্টমেন্ট) আছে; ৪৩তম এবং ৭৬তম তলায় আছে দুটি সুইমিং পুল। আরো আছে ১৬০ কক্ষবিশিষ্ট একটি হোটেল। ১২৪তম তলায় দর্শকদের জন্য প্রকৃতি দর্শনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।[11] এ ভবনে সংস্থাপিত কোনো কোনো লিফটের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ মাইল।[8] ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে শিলান্যাসের পর থেকে অতি দ্রুত নির্মাণ কাজ অগ্রসর হয়েছে। এমনো দিন গেছে যে দিন ১২ হাজার নির্মাণ কর্মী একযোগে নির্মাণ প্রক্রিয়ায় নিযুক্ত ছিল। সে সময় প্রতি তিন দিন পর পর একটি ছাদ তৈরি করা হয়েছে।[9]

তলা বিন্যাস

এটি পুরো ভবনের মেঝে বা তলা বিন্যাস।[12]

তলা ব্যবহার
১৬০-১৬৩ কারিগরি
১৫৬-১৫৯ যোগাযোগ এবং সম্প্রচার
১৫৫ কারিগরি
১৪৯-১৫৪ কর্পোরেট স্যুট
১৪৮ দ্য নিউ ডেক পর্যবেক্ষণাগার
১৩৯–১৪৭ কর্পোরেট স্যুট
১৩৬-১৩৮ কারিগরি
১২৫-১৩৫ কর্পোরেট স্যুট
১২৪ অ্যাট দ্য টপ পর্যবেক্ষণাগার
১২৩ স্কাই লবি
১২২ অ্যাটমোস্ফিয়ার রেস্তোরাঁ
১১১-১২১ কর্পোরেট স্যুট
১০৯-১১০ কারিগরি
৭৭-১০৮ আবাসিক
৭৬ স্কাই লবি
৭৩-৭৫ কারিগরি
৪৪-৭২ আবাসিক
৪৩ স্কাই লবি
৪০-৪২ কারিগরি
৩৮-৩৯ আরমানি হোটেল স্যুট
১৯-৩৭ আবাসিক
১৭-১৮ কারিগরি
৯-১৬ আরমানি বাসস্থান
১-৮ আরমানি হোটেল
নিচতলা আরমানি হোটেল
খোলা স্থান আরমানি হোটেল
বি১-বি২ পার্কিং, কারিগরি

.

বুর্জ খলিফা নির্মাণধারা

তথ্যসূত্র

  1. "Official Opening of Iconic Burj Dubai Announced"। Gulfnews। ৪ নভেম্বর ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ৪ নভেম্বর ২০০৯
  2. "CTBUH Tall Buildings Database: Burj Khalifa"CTBUH। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০২-১১
  3. Baldwin, Derek (১ মে ২০০৮)। "No more habitable floors to Burj Dubai"। Gulfnews। ২৮ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১০
  4. "The Burj Khalifa"। Glass, Steel and Stone। ৩ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১০
  5. "Dubai opens world's tallest building"Dubai: USA Today। জানুয়ারি ২, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১০
  6. Blum, Andrew (২৭ নভেম্বর ২০০৭)। "Engineer Bill Baker Is the King of Superstable 150-Story Structures"। Wired। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০০৮
  7. "Burj Dubai (Dubai Tower) and Dubai Mall, United Arab Emirates"designbuild-network.com। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০০৯
  8. Dubai Opens a Tower to Beat All
  9. "Dubai opens half-mile-high tower, world's tallest"। ৮ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১০
  10. "Indebted Dubai puts on brave face for tower opening"। ৮ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১০
  11. http://www.guardian.co.uk/world/2010/jan/03/burj-dubai-worlds-tallest-building Burj Dubai, the world's tallest building, set to open
  12. "Inside the Burj Dubai"Maktoob News। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯। ২৩ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ জানুয়ারি ২০১০

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.