তাপমাত্রা

তাপমাত্রা বা উষ্ণতা হচ্ছে কোনো বস্তু কতটা গরম (উষ্ণ) বা ঠান্ডা (শীতল), তার পরিমাপ এবং তাপশক্তি পরিবহণ দ্বারা সবসময় উষ্ণতর বস্তু থেকে শীতলতর বস্তুতে প্রবাহিত হয়। উষ্ণতা কোনো বস্তুর মোট তাপের পরিমাপ নয়, তাপের "মাত্রা"র পরিমাপ। এই মাত্রা বস্তুর কোনো অংশের স্থানীয় তাপজনিত আণবিক চাঞ্চল্যের পরিমাণের উপর নির্ভর করে।

পরম তাপমাত্রা এমন একটি উষ্ণতা সূচক যা বস্তুর তাপজনিত গতিশক্তির একটি পরিচায়ক। এ মহাবিশ্বে যা কিছু আছে তাকে দু ভাগে ভাগ করা যায়। একটি ভাগে আছে পদার্থ যাদের ভর আছে, জায়গা দখল করে এবং বল প্রয়োগে বাধা দেয়। অন্যভাগে আছে শক্তি। এদের কোনো ভর নেই, জায়গা দখল করে না বা বল প্রয়োগে কোন বাধা দেয় না। এদেরকে আমরা ইন্দ্রিয় দ্বারা অনুভব করতে পারি। সুতরাং তাপ এমন এক ধরনের শক্তি। পঞ্চ ইন্দ্রিয়ের মধ্যে তাপকে কেবল ত্বক দ্বারা অনুভব করা যায়।[1]

স্কেল

১৯২৭ সালে আন্তর্জাতিক ওজন ও পরিমাপ সংস্থার (International Committee for Weights and Measures) এক অধিবেশনে কেলভিন স্কেলকে ব্যবহারিক স্কেল হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন দেয়। কেলভিনই হলো এস.আই. একক। তাপমাত্রার তিনটি স্কেল ব্যবহার হয়ে থাকে। সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয় সেলসিয়াস স্কেল।[2] কিন্তু অনেকসময় ফারেনহাইট স্কেলও ব্যবহৃত হয়। আর পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নে বেশি ব্যবহৃত হয় কেলভিন স্কেল। পরম শূন্য তাপমাত্রা থেকে কেলভিন স্কেল শুরু হয়।

১ কেলভিন= ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলেও সেলসিয়াস স্কেল এর শুরু ২৭৩ ডিগ্রি কেলভিন থেকে। ২৭৩ কেলভিনে পানি জমে বরফ হয়, তাই একে সেলসিয়াস স্কেলের শুরু (০° সেলসিয়াস) ধরা হয়। সেলসিয়াস, ফারেনহাইট ও কেলভিন স্কেলের মধ্যকার সম্পর্কটি হলো:

  1. খান, ড. আমির হোসেন ও ইসহাক, প্রফেসর মোহাম্মদ এবং ইসলাম, ড. মো. নজরুল ২০১৯. পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র: একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি. (ষষ্ঠ সংস্করণ). আইডিয়াল বুকস, ঢাকা.
  2. প্রামাণিক, মো. গোলাম হোসেন ও উদ্দিন, দেওয়ান নাসির এবং ইসলাম, রবিউল ২০১৯. পদার্থবিজ্ঞান দ্বিতীয় পত্র: একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি. (পঞ্চম সংস্করণ). অক্ষর-পত্র প্রকাশনী, ঢাকা.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.