আণবিক পদার্থবিজ্ঞান
অণুর ধর্ম, দুটি পরমাণুর মধ্যে ক্রিয়াশীল রাসায়নিক বন্ধন এবং আণবিক গতিবিদ্যা সম্পর্কিত অধ্যয়নই আণবিক পদার্থবিজ্ঞান। বিভিন্ন প্রকার বর্ণালিবীক্ষণ পদার্থবিজ্ঞানের এ শাখায় পরীক্ষামূলক কৌশল হিসেবে ব্যবহৃত হয়; তন্মধ্যে বিক্ষেপণও একটি। পদার্থবিজ্ঞানের এ ক্ষেত্রটি পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং তাত্ত্বিক রসায়ন, ভৌত রসায়ন ও রাসায়নিক পদার্থবিজ্ঞানের সাথে এর ব্যাপক মিল বিদ্যমান।[1]

উপরন্তু পরমাণুতে ইলেক্ট্রনের উত্তেজিত অবস্থা বিরাজকালে অণুসমূহ ঘূর্ণন ও কম্পন মোড প্রদর্শন করে এবং অণুসমূহের শক্তি স্তরগুলো কোয়ান্টায়িত অবস্থায় থাকে। দুটি ভিন্ন ঘূর্ণন অবস্থার মধ্যে ক্ষুদ্রতম শক্তি পার্থক্য বিদ্যামান যেখানে বিশুদ্ধ ঘূর্ণন বর্ণালীর পাল্লা তড়িৎচৌম্বক বর্ণালীর অবলোহিত অঞ্চলকে ছাড়িয়ে যায় (তরঙ্গদৈর্ঘ্য প্রায় 30 - 150 µm)। কম্পন বর্ণালীসমূহের পাল্লা অবলোহিত রশ্মির কাছাকাছি হয় (প্রায় 1 - 5 µm) এবং ইলেকট্রনের পরিবৃত্তি ঘটিত বর্ণালীসমূহ খুবই দৃশ্যমান হয় ও অতিবেগুনী অঞ্চলে বিরাজ করে। দুইটি নিউক্লিয়াসের মধ্যবর্তী দূরত্বের ন্যায় অণুর ধর্মাবলীও কম্পন এবং ঘূর্ণন বর্ণালীর মান হতে বিশেষ উপায় পরিমাপ করা যায়।
একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার এই যে, পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অপরিহার্য পারমাণবিক অরবিটাল উপপাদ্য আণবিক অরবিটাল উপপাদ্যে সম্প্রসারিত হয়।
তথ্যসূত্র
উৎসপঞ্জি
- Method of Experimental Physics (vol 3) - Moleculer Physics by L. Marton & Claire Marton
- ATOMIC, MOLECULAR AND OPTICAL PHYSICS: NEW RESEARCH by L.T. Chen ; Nova Science Publishers, Inc. New York