রাসায়নিক বন্ধন
রাসায়নিক বন্ধন (ইংরেজি: Chemical bond) হল পরমাণুসমূহ বা অণুসমূহের মধ্যে পারস্পরিক আকর্ষণ। যার ফলে দুই বা ততোধিক পরমাণুর সমন্বয়ে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থ তৈরি হয়। এই আকর্ষণ বিপরীত আধানের মধ্যে তড়িৎ চুম্বকীয় বলের ফলে তৈরি হয়।
রাসায়নিক বন্ধনসমূহের সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনা
ইতিহাস
ইতিহাস
রসায়নের ক্ষেত্রে, রাসায়নিক বন্ধনের তত্ত্বের ইতিহাস বিভিন্ন তত্ত্বগুলির বিকাশকে চিহ্নিত করে, কিভাবে একে অপরের সাথে অণু গঠন করে এবং কীভাবে অণু এবং অন্যান্য রাসায়নিক প্রজাতি একে অপরকে রাসায়নিক কাঠামোর মাধ্যমে সংযুক্ত করে বড় কাঠামো গঠন করতে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয়।
রাসায়নিক সংকেতে রাসায়নিক বন্ধন উপস্থাপন
শক্তিশালী রাসায়নিক বন্ধনসমূহ
তড়িৎযোজী বন্ধন
প্রতিটি পরমাণু হতে চায় স্থিতিশীল। এই স্থিতিশীলতা অর্জনের জন্য ধাতুসমূহ তাদের বহি:স্তর হতে এক বা একাধিক ইলেকট্রন অধাতুসমূহের বহি:স্তরে স্থানান্তরিত করে উভয়ই স্থিতিশীল হয়। তাই বলা যায় যে, ধাতু ও অধাতু মৌলের রাসায়নিক বিক্রিয়া সময়কালীন ধাতুর পরমাণুর বহি:স্তর হতে এক বা একাধিক ইলেকট্রনসমূহ অধাতু পরমাণুর বহি:স্তরে স্থানান্তরিত হওয়ার মাধ্যমে সৃষ্ট ক্যাটায়ন ও অ্যানায়নের মধ্যে স্থির বৈদ্যুতিক আকর্ষণ দ্বারা যে বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে আয়নিক বন্ধন বা তড়িৎযোজী বন্ধন বলে। আর উক্ত সৃষ্ট যৌগকে আয়নিক বা তড়িৎযোজী যৌগ বলে। যেমন ধাতব সোডিয়াম তার শেষ কক্ষপথের ১ টি ইলেকট্রন অধাতব ক্লোরিনকে দিয়ে আয়নিক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে NaCl সৃষ্টি করে।
সমযোজী বন্ধন
একক ও বহু-বন্ধন
সিগমা বন্ধন
সিগমা বন্ধন এমন একটি বন্ধন যা দুটি পরমাণুর অরবিটালের মুখমুখি সংযুক্তি ঘটে।
পাই বন্ধন
দুটি পরমাণুর প্রত্যেকটি হতে একটি করে দুটি সমান্তরাল p অরবিটালের পার্শ্ব অধিক্রমনের ফলে যে বন্ধন সৃষ্টি হয় তাকে পাই বন্ধন বলে ।
পাই বন্ধনের বৈশিষ্ট্য:
- দুটি পরমানু সিগমা বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর উভয় পরমাণুর সমান্তরাল অক্ষবিশিষ্ট দুটি অরবিটাল এর পাশাপাশি অধিক্রমন
- অধিক্রমন এলাকায় ইলেকট্রন মেঘের ঘনত্ব কম থাকে।
- পাই বন্ড সিগমা বন্ড অপেক্ষা দুর্বল ।
- সংকর অরবিটালে পাই বন্ধন ঘটেনা। s অরবিটাল ব্যতীত বিশুদ্ধ অন্য অরবিটালে ঘটে।
ডেলটা বন্ধন
সন্নিবেশ সমযোজী বন্ধন
ধাতব বন্ধন
আন্তঃআণবিক বন্ধন
আন্তঃআনবিক বন্ধন বলতে বোঝায় কোনো যৌগের পরমাণুর মধ্যবর্তি যে আকর্ষণ শক্তি তাই। এখানে,কঠিন পদার্থের আন্তঃআনবিক শক্তি।কারণ কঠিন পদার্থের পরমানুর মধ্যকার আকর্ষণ শক্তি বেশি।যার ফলে কঠিন পদার্থকে ভাঙতে অনেক তাপ লাগে। আন্তঃআনবিক বন্ধনের ক্রম- কঠিন > তরল > বায়বীয়
রাসায়নিক বন্ধনের তত্ত্ব ও আদল