ফণিভুষণ দাশগুপ্ত

ফনিভূষন দাশগুপ্ত (২৭ ডিসেম্বর ১৯০৭ - ১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২) একজন ব্রিটিশ বিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী ও পত্রিকা সম্পাদক।

ফণিভুষণ দাশগুপ্ত
জন্ম২৭ ডিসেম্বর ১৯০৭
মৃত্যু১২ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন

প্রারম্ভিক জীবন

ফনিভূষণের জন্ম বরিশাল জেলার খলিসাকোটাতে। পিতার নাম অক্ষয়কুমার দাশগুপ্ত। উজিরপুর বারপাইকা ইউনিয়ন ইন্সটিটিউশন থেকে ১৯২৪ সালে বিশেষ কৃতিত্বের সাথে ম্যাট্রিক এবং বরিশালের ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯২৬ সালে আই.এ পাশ করেন। ছাত্রাবস্থাতেই গোপন বিপ্লবী সংগঠনে নাম লেখান।

বিপ্লবী কর্মকান্ড

১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে সরস্বতী লাইব্রেরিতে কাজে যোগ দেন, পাশাপাশি শংকর মঠ ও বরিশালের বিবেক আশ্রমের সাথে জড়িত হয়ে পড়েন। যুগান্তর বিপ্লবী দলের সাপ্তাহিক পত্রিকা 'স্বাধীনতা' সম্পাদনা করার অপরাধে তার জেল হয় ১৯২৮ খ্রিষ্টাব্দে। মুক্তি পেয়ে আবার মেছুয়াবাজার বোমা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে হিজলি ডিটেনশন ক্যাম্পে বিনাবিচারে আটক থাকেন কিছুকাল। হিজলি জেল থেকে পালালেও ১৯৩৪ সালে পূনরায় ধরা পড়েন এবং সিঙ্গা রাজনৈতিক ডাকাতির (সিঙ্গা গ্রামের একটি দোকান লুঠ করার সময় তার গুলিতে পাহারাদারের মৃত্যু হয়) মামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও দ্বীপান্তরের আদেশ হয়। আন্দামানে সেলুলার জেলে বন্দী থাকার সময় তার স্বাস্থ্য চুড়ান্ত অবনতি ঘটে। তিনি মুক্তির জন্যে অনশন করেছিলেন।[1][2]

পরিবার

বিপ্লবী ফণিভূষণের স্ত্রী সুধারানী দাশগুপ্ত বহু পলাতক বিপ্লবীকে আশ্রয় ও নিরাপত্তা দিয়েছেন। ফণিভূষণের পরিবার নানা রকম বিপর্যয় ও অর্থনৈতিক অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছে। তার মৃত্যুর সময় একমাত্র পুত্র বিপ্লব দাশগুপ্তের বয়েস ছিল মাত্র ২ বছর। সুধারানী মারা যান ১৯৪৪ সালে।[2]

মৃত্যু

মুক্তিলাভ করলেও দীর্ঘ কারাজীবনে তার শরীর ভেঙ্গে গিয়েছিল, মানসিকভাবেও বিপর্যস্ত হয়ে যান। দুরারোগ্য যক্ষা রোগে, বরিশালে নিজের বাড়িতে নিতান্তই অবহেলায়, লোকচক্ষুর আড়ালে মারা যান এই বিপ্লবী ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে, মাত্র ৩৫ বছর বয়েসে।[3]

তথ্যসূত্র

  1. "POLITICAL PRISONERS IN THE CELLULAR JAIL (1932-38)"। Cabal Times। সংগ্রহের তারিখ 28.01.17 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "Revolutionaries, revisited"। The Week। ১০ মে ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ 28.01.17 এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  3. প্রথম খন্ড, সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত (২০০২)। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৩২২। আইএসবিএন 81-85626-65-0।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.