প্রাপ্তবয়স্ক
প্রাপ্ত বয়স্ক হচ্ছেন একজন মানুষ যা জীবিত প্রাণী যার তুলনা মূলকভাবে পরিণত বয়স হয়েছে যা যৌন পরিপক্কতা ও পুনরূপাৎদনের ক্ষমতা অর্জনের সাথে জড়িত। সামাজিক ও আইনগত কিছু ব্যাখাও আছে প্রাপ্তবয়স্কতার। আইনগতভাবে প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে স্বাধীন, স্বনির্ভর, দায়িত্বশীল হিসেবে ধরা হয় ও তিনি এমন একজন ব্যক্তি যিনি সংখ্যাগরিষ্ঠ বয়স অর্জন করেছেন। প্রাপ্তবয়স্কতাকে সামাজিক অবস্থান, ব্যক্তির চরিত্র, মনোবিজ্ঞান ও মনোবৈজ্ঞানিক বিকাশ ও আইন ইত্যাদি বিষয়ের মাধ্যমেও ব্যাখা করা যায়। প্রাপ্তবয়স্ক (ইংরেজীঃ Adult) এমন মানব বা জীবিত প্রানীকে বোঝানো হয় যার তুলনা মূলকভাবে পরিণত বয়স হয়েছে এবং যাদের যৌন পরিপক্কতা এবং সন্তানধারণ ক্ষমতা অর্জিত হয়েছে। মানুষের ক্ষেত্রে এই বয়সটির আলাদা সামাজিক ও আইনগত তাৎপর্য রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ একজন সামাজিক ভাবে স্ব্বীকৃত প্রাপ্তবয়স্কের, যে সংখ্যাগরিষ্ঠ লোকের বয়স অর্জন করেছে, তাকে স্বাধীন, স্বনির্ভর ও অধিক দায়িত্বশীল হিসেবে বিবেচনা করা হয়। প্রাপ্তবয়সকে শারীরিক, মনোবৈজ্ঞানিক, আইনি, ব্যক্তিকেন্দ্রিক ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে বর্ননা করা হয়ে থাকে
মানব বৃদ্ধি ও উন্নয়ন |
---|
নিম্নোক্ত বিষয়ের উপর ধারাবাহিকের একটি অংশ |
ধাপসমূহ |
|
জীববৈজ্ঞানিক মাইলফলক |

জীববৈজ্ঞানিক প্রাপ্তবয়স্কতা
নানা সংস্কৃতি ও ইতিহাসে প্রাপ্ত বয়স্কতা নানা লক্ষণ দেখে নির্ণয় করা হয় যৌবনের আগমনের সাথে সাথে। যেমন- স্ত্রীলোকের ঋতুস্রাব হওয়া, পুরুষের উত্থিত হওয়া ও যৌনকেশ গজানো উভয়ের ইত্যাদি লক্ষণ। বর্তমানে ছেলেদের ১২ বছরে ও মেয়েদের ১০ বছরেই এসব লক্ষণ দেখা দেয়, যদিও তা ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে পরিবর্তিত হয়।[1] নানান অভিধানে জীব বৈজ্ঞানিক প্রাপ্ত বয়স্কতার সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এভাবেঃ ”এটা জীবন চক্রের এমন এক পর্যায় যখন প্রাণী পুনরূপাৎদনের ক্ষমতা অর্জন করে।”[2][3] প্রাপ্তবয়সের সূচনা হিসেবে ধরা হয় যখন একজন মানুষ বয়ঃসন্ধিতে পা রাখে। এসময় উভয়লিঙ্গের মানুষের মধ্যেই গৌণ যৌন বৈশিষ্ট প্রকাশ পায়। যেমন নারীতে ঋজঃচক্র শুরু হয়, পুরুষের বীর্যপাতের ক্ষমতা তৈরী হয় এবং উভয় লিঙ্গতেই জনন অঙ্গে কেশোদগম হয়।[4] নানান অভিধানে জীব বৈজ্ঞানিক প্রাপ্ত বয়স্কতার সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে এভাবেঃ ”এটা জীবন চক্রের এমন এক পর্যায় যখন প্রাণী পুনরূপাৎদনের ক্ষমতা অর্জন করে।”[2][3] বয়ঃসন্ধি তথা জীববৈজ্ঞানিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রাপ্তবয়সের শুরু হয়, ছেলেদের ক্ষেত্রে ১০ বা ১১ বছর বয়সে এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে ১১ বা ১২ বছর বয়সে। যদিও এটি বিভিন্ন মানুষের জন্য বিভিন্ন হতে পারে। [5][6]
আইনত প্রাপ্তবয়স্কতা
আইনগতভাবে প্রাপ্তবয়স্কতা হলো একটা চুক্তির মতো, যেখানে তার ওপর থেকে মা-বাবার চিন্তা, ভরণ পোষণের দায়িত্ব শেষ হয়, বিয়ে, ভোট দেয়া, চাকুরী করা, সামরিক বাহিনীতে যোগ দেয়া, ক্যাসিনোতে জুয়া খেলা (যদি তা স্থানীয়ভাবে বৈধ হয়), যৌনকর্মীর কাছে যাওয়া বা নিজে যৌনকর্মী হওয়া (যদি তা স্থানীয়ভাবে বৈধ হয়), গাড়ি চালানোর অধিকার পাওয়া, পর্ণোগ্রাফির মডেল হওয়া (যদি তা স্থানীয়ভাবে বৈধ হয়) ও মদ্যপান করা (যদি তা স্থানীয়ভাবে বৈধ হয়), প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রার্থীত্ব ইত্যাদি ব্যাপার ঘটে। ভারত, চীন, আমেরিকা ও ইংল্যান্ড-এ ১৮ বছর বয়সকে ধরা হয় প্রাপ্তবয়স্কতার বয়স, তবে কিছু ব্যতিক্রমও আছে। যেমন- স্কটল্যান্ডে ১৬ বছরকে, জাপান ও ইন্দোনেশিয়াতে ২০ বছরকে, দক্ষিণ কোরিয়াতে ১৯ বছরকে প্রাপ্তবয়স্কতার বয়স হিসেবে দেখা হয়। নেইল পোস্টম্যানের লেখা দ্যা ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স অব চাইল্ডহুড নামক গ্রন্থে আমরা দেখি যে মধ্যযুগে খ্রিস্টিয়ান চার্চ মাত্র ৭ বছর বয়সকে ধরত প্রাপ্তবয়স্কতার বয়স হিসেবে।
তথ্যসূত্র
- Chumlea, 1982
- International Dictionary of Medicine and Biology (1986)
- Churchill’s Medical Dictionary (1989)
- http://www.nytimes.com/2010/08/22/magazine/22Adulthood-t.html?pagewanted=3&_r=1
- (Chumlea, 1982).
- http://www.pamf.org/teen/parents/health/growth-11-14.html