ধূসর পাণ্ডুলিপি

ধূসর পান্ডুলিপি কবি জীবনানন্দ দাশের দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ। এই কাব্যগ্রন্থটি ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে (১৩৪৩ বঙ্গাব্দ) ভারতে প্রকাশিত হয়। জীবনানন্দ এই বইটি কবি বুদ্ধদেব বসুকে উৎসর্গ করেন।[1]

ধূসর পাণ্ডুলিপি
লেখকজীবনানন্দ দাশ
মূল শিরোনামধূসর পাণ্ডুলিপি
অঙ্কনশিল্পীঅণিলকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
প্রচ্ছদ শিল্পীঅণিলকৃষ্ণ ভট্টাচার্য
দেশভারত
ভাষাবাংলা
ধরনআধুনিক বাংলা কবিতা
প্রকাশনার তারিখ
১৯৩৬, ডিসেম্বর
১৩৪৩, অগ্রহায়ণ বঙ্গাব্দ
মিডিয়া ধরনমুদ্রিত গ্রন্থ
পৃষ্ঠাসংখ্যা১০+১০১ (প্রথম প্রকাশ)
পূর্ববর্তী বইঝরা পালক (১৯২৭) 
পরবর্তী বইবনলতা সেন (১৯৪২) 

সারাংশ

ধূসর পান্ডুলিপি কাব্যগ্রন্থের ভূমিকায় জীবনানন্দ লিখেছেন:[1]

"আমার প্রথম কবিতার বই প্রকাশিত হয়েছিল—১৩৩৪ সালে। কিন্তু সে বইখানা অনেকদিন আমার নিজের চোখের আড়ালেও হারিয়ে গেছে। আমার মনে হয় সে তার প্রাপ্য মূল্যই পেয়েছে।

১৩৩৬ সালে আর একখানা বই বার করবার আকাঙ্ক্ষা হয়েছিল। কিন্তু নিজ মনে কবিতা লিখে এবং কয়েকটি মাসিক পত্রিকায় প্রকাশিত ক'রে সে ইচ্ছাকে আমি শিশুর মত ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিলাম। শিশুকে অসময়ে এবং বারবার ঘুম পাড়িয়ে রাখতে জননীর যেরকম কষ্ট হয়, সেইরকম কেমন একটা উদ্বেগ—খুব স্পষ্টও নয়, খুব নিরুত্তেজও নয়—এই ক'বছর ধ'রে বোধ ক'রে এসেছি আমি।
আজ ন'বছর পরে আমার দ্বিতীয় কবিতার বই বার হ'ল। এর নাম "ধূসর পান্ডুলিপি" এর পরিচয় দিচ্ছে। এই বইয়ের সব কবিতাই ১৩৩২ থেকে ১৩৩৬ সালের মধ্যে রচিত হয়েছে। ১৩৩২ সালে লেখা কবিতা, ১৩৩৬ সালে লেখা কবিতা—প্রায় এগারো বছর আগের প্রায় সাত বছর আগের রচনা সব আজ ১৩৪৩ সালে এই বইয়ের ভিতর ধরা দিল। আজ যে-সব মাসিক পত্রিকা আর নেই—প্রগতি, ধুপছায়া, কল্লোল—এই বইয়ের প্রায় সমস্ত কবিতাই সেইসব মাসিকে প্রকাশিত হয়েছিল একদিন।

সেই সময়কার অনেক অপ্রকাশিত কবিতাও আমার কাছে রয়েছে—যদিও ধূসর পাণ্ডুলিপির অনেক কবিতার চেয়েও তাদের দাবি একটুও কম নয়—তবুও সম্প্রতি আমার কাছে তারা ধূসরতর হয়ে বেঁচে রইল।"

কবিতাসূচী

এই কাব্যগ্রন্থে মোট কুড়িটি (২০) কবিতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কবিতাগুলোর শিরোনাম হলোঃ[1][2]

বৈশিষ্ট্য

যে কাব্যগ্রন্থ গুলো দিয়ে বাংলা আধুনিক কবিতার যাত্রা শুরু তার মধ্যে ধূসর পান্ডুলিপি অন্যতম বলে অনেকে মনে করেন।[3] প্রথম কাব্যগ্রন্থ ঝরা পালকের কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম, মোহিতলাল মজুমদারসত্যেন্দ্রনাথ দত্তের প্রভাব ছিলো লক্ষ্যণীয়। ধূসর পাণ্ডুলিপি-তেই তার স্বকীয় কাব্য কৌশল পরিস্ফুট হয়ে ওঠে।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. আবদুল মান্নান সৈয়দ, সম্পাদক (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮)। "পরিশেষ ২"। প্রকাশিত–অপ্রকাশিত কবিতাসমগ্রঢাকা: অবসর প্রকাশনা সংস্থা। পৃষ্ঠা ৬১৯। আইএসবিএন 984-446-008-5।
  2. রনেশ দাশগুপ্ত সম্পাদিত জীবনানন্দ দাশের কাব্য সম্ভার, খান ব্রাদার্স এ্যান্ড কোম্পানি, ১৪০০ বঙ্গাব্দ।
  3. হুমায়ুন আজাদ সম্পাদিত আধুনিক বাঙলা কবিতা, আগামী প্রকাশনী, ১৯৯৬।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.