দোলযাত্রা

দোলযাত্রা একটি হিন্দু বৈষ্ণব উৎসব। বহির্বঙ্গে পালিত হোলি উৎসবটির সঙ্গে দোলযাত্রা উৎসবটি সম্পর্কযুক্ত। এই উৎসবের অপর নাম বসন্তোৎসবফাল্গুন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দোলযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

দোলযাত্রা
রাধা ও অন্যান্য গোপীগণের সঙ্গে দোল খেলছেন কৃষ্ণ
অন্য নামদোল, দোলপূর্ণিমা, বসন্তোৎসব, হোলি
পালনকারীভারতীয় (হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধজৈন) নেপালি (প্রধানত হিন্দু এবং বহুসংখ্যক বৌদ্ধ) এবং বাংলাদেশ (প্রধানত হিন্দু এবং বহুসংখ্যক বৌদ্ধ)
উদযাপন৩ - ১৬ দিন
শুরুফাল্গুনী পূর্ণিমা
তারিখফাল্গুন (ফেব্রুয়ারি-মার্চ)

বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, ফাল্গুনী পূর্ণিমা বা দোলপূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির বা গুলাল নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীগণের সহিত রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই ঘটনা থেকেই দোল খেলার উৎপত্তি হয়। দোলযাত্রার দিন সকালে তাই রাধা ও কৃষ্ণের বিগ্রহ আবির ও গুলালে স্নাত করে দোলায় চড়িয়ে কীর্তনগান সহকারে শোভাযাত্রায় বের করা হয়। এরপর ভক্তেরা আবির ও গুলাল নিয়ে পরস্পর রং খেলেন। দোল উৎসবের অনুষঙ্গে ফাল্গুনী পূর্ণিমাকে দোলপূর্ণিমা বলা হয়। আবার এই পূর্ণিমা তিথিতেই চৈতন্য মহাপ্রভুর জন্ম বলে একে গৌরপূর্ণিমা নামেও অভিহিত করা হয়।

দোলযাত্রা উৎসবের একটি ধর্মনিরপেক্ষ দিকও রয়েছে। এই দিন সকাল থেকেই নারীপুরুষ নির্বিশেষে আবির, গুলাল ও বিভিন্ন প্রকার রং নিয়ে খেলায় মত্ত হয়। শান্তিনিকেতনে বিশেষ নৃত্যগীতের মাধ্যমে বসন্তোৎসব পালনের রীতি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সময়কাল থেকেই চলে আসছে। দোলের পূর্বদিন খড়, কাঠ, বাঁশ ইত্যাদি জ্বালিয়ে এক বিশেষ বহ্ন্যুৎসবের আয়োজন করা হয়। এই বহ্ন্যুৎসব হোলিকা দহন বা মেড়াপোড়া নামে পরিচিত। উত্তর ভারতে হোলি উৎসবটি বাংলার দোলযাত্রার পরদিন পালিত হয়।

তাৎপর্য

দোলযাত্রা বা হোলি উৎসব সংক্রান্ত পৌরাণিক উপাখ্যান ও লোককথাগুলি মূলত দুই প্রকার: প্রথমটি দোলযাত্রার পূর্বদিন পালিত বহ্ন্যুৎসব হোলিকাদহন বা মেড়াপোড়া সংক্রান্ত, এবং দ্বিতীয়টি রাধাকৃষ্ণের দোললীলা বা ফাগুখেলা কেন্দ্রিক কাহিনী।

২০১০ সালে রাজস্থানের উদয়পুরে হোলিকা দহন উৎসব

বিষ্ণুর কিংবদন্তি

ভাগবত পুরাণ এর সপ্তম অধ্যায় অনুসারে,[1][2][3][4][5] অসুর রাজা হিরণ্যকশিপুর অমর হতে চান। এজন্য ব্রহ্মার নিকট হতে অমরত্বের বরপ্রাপ্তির জন্য তিনি কঠোর ধ্যানে নিমজ্জিত হন। কিন্তু দেবতারা খুব কমই অমরত্ব দান করে। কিন্তু হিরণ্যকশিপু এমন বর চান যা তাকে মনে করায় যে পরোক্ষভাবে তিনি অমরত্ব লাভ করেছেন। তিনি যে বর লাভ করেন তা তাকে পাঁচটি বিশেষ ক্ষমতা দান করে। এগুলো হচ্ছে, তাকে মানুষও হত্যা করতে পারবে না, কোন প্রাণীও হত্যা করতে পারবে না; তাকে ঘরেও হত্যা করা যাবে না, আবার বাইরেও হত্যা করা যাবে না; তাকে দিনেও হত্যা করা যাবে না আবার রাতেও হত্যা করা যাবে না; তাকে অস্ত্রের (যা ছুড়ে মারা হয়) দ্বারাও হত্যা করা যাবে না আবার সস্ত্রের (যা হাতে থাকে) দ্বারাও হত্যা করা যাবে না; তাকে স্থল, জল বা বায়ু কোথাও হত্যা করা যাবে না। এই বর লাভ করে হিরণ্যকশিপু অহংকারী ও উদ্ধত হয়ে ওঠে। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, কেবল তাকেই দেবতা হিসেবে পূজা করা হবে। কেউ তার আদেশ পালন না করলে তিনি তাকে শাস্তি দেবেন বা হত্যা করবেন।[1] তার পুত্র প্রহ্লাদ তার সাথে সম্মত হয়নি। তিনি একজন বিষ্ণুভক্ত ছিলেন,[2] তার পিতাকে দেবতা হিসেবে পূজা করতে তাই তিনি অস্বীকার করেন। প্রহ্লাদ বিষ্ণুকেই পূজা করা চালিয়ে যান।

এতে হিরণ্যকশিপু খুব রাগান্বিত হন এবং প্রহ্লাদকে হত্যা করার বিভিন্ন চেষ্টা করেন। এগুলোর মধ্যে একবার হিরণ্যকশিপু তার বোন হোলিকার কাছে সাহায্য চান। হোলিকার একটি বিশেষ পোশাক ছিল যা তাকে আগুনে পুড়ে যাবার হাত থেকে রক্ষা করত। হিরণ্যকশিপুকে তিনি তার কোলে বসতে বলেন, আর হিরণ্যকশিপু তার কোলে বসলে তিনি প্রহ্লাদের উপর আগুন জ্বালিয়ে দেন।[1] এতে প্রহ্লাদ আগুনে পুড়ে মারা যাবে কিন্তু হোলিকার কাছে থাকা বিশেষ বস্ত্রের জন্য তার কোন ক্ষতি হবে না। কিন্তু সেই আগুন জ্বলতেই হোলিকার শরীর থেকে সেই বস্ত্র খুলে গিয়ে প্রহ্লাদের শরীরকে আবৃত করে।[2] এতে হোলিকা আগুনে পুড়ে যায়, আর প্রহ্লাদ ক্ষতি থেকে বেঁচে যায়।[1][2]

বিষ্ণু নৃসিংহ অবতার (অর্ধমানব-অর্ধসিংহ) রূপে গোধূলি লগ্নে (দিন ও রাতের মাঝামাঝি সময়ে) আবির্ভূত হন, হিরণ্যকশিপুকে ঘরের চৌকাঠে (না বাইরে না ঘরে) নিয়ে যান, তাকে নিজের কোলে (না বায়ুতে, না স্থলে) স্থাপন করেন, ও এরপর হিরণ্যকশিপুর নাড়িভুড়ি বের করে ও তার থাবা দিয়ে (না অস্ত্র না সস্ত্র) তাকে হত্যা করেন।[6] এভাবে হিরণ্যকশিপুর লাভ করা বর তাকে বাঁচাতে পারে নি। প্রহ্লাদ ও মানব জাতি বাধ্যবাধকতা ও ভয় থেকে মুক্তি পায়। নৃসিংহের দ্বারা হিরণ্যকশিপু বধ এর এই কাহিনী অশুভ এর উপর শুভের জয়কে নির্দেশ করে।[7] হোলিকা দহন বা নেড়াপোড়া উৎসব এই ঘটনাটিকেই নির্দেশ করে।[3] হোলিকার এই অগ্নিদগ্ধ হওয়ার কাহিনিই দোলের পূর্বদিনে অনুষ্ঠিত হোলিকাদহন বা চাঁচর উৎসবের সঙ্গে যুক্ত।[8] স্কন্দপুরাণ গ্রন্থের ফাল্গুনমাহাত্ম্য গ্রন্থাংশে হোলিকা ও প্রহ্লাদের উপাখ্যান বর্ণিত হয়েছে।

কৃষ্ণের কিংবদন্তি

হোলি খেলতে গিয়ে সেলফি তোলার আধুনিক মেজাজ

ভারতের ব্রজ অঞ্চলে, যেখানে কৃষ্ণ ছোট থেকে বড় হয়, সেখানে রাধা ও কৃষ্ণের স্বর্গীয় ভালোবাসার স্মৃতি হিসেবে দিনটি রঙ পঞ্চমি হিসেবে উদযাপিত হয়। বসন্তে উৎসবটি হয়, এবং প্রেমের উৎসব হিসেবে দিনটি পালিত হয়।[9] এছাড়া দিনটিতে কৃষ্ণকে স্মরণ করার জন্য আরেকটি পুরাণও রয়েছে। হোলিকে ফাগ্বাহ (Phagwah)-ও বলা হয়, এবং এক্ষেত্রে হোলিকাকে বলা হয় পুতানা। কৃষ্ণের মামা এবং রাজা কংশ তার শিশু ভাগ্নে কৃষ্ণকে নিজের জীবনের জন্য সংকট বলে মনে করে। কংশ রাক্ষসী পুতানাকে, নারীর বেশে কৃষ্ণকে হত্যা করতে পাঠায়, যেখানে পুতানা রাক্ষসী কৃষ্ণকে স্তন্যদান করাতে গিয়ে বিষ প্রয়োগ করে কৃষ্ণকে হত্যা করবে।[10] কিন্তু শিশু কৃষ্ণ কেবল পুতনার বিষাক্ত দুধই পান করেনি, সেইসাথে পুতানার রক্তও পান করে। এরফলে পুতনা একজন রাক্ষসীতে পরিণত হয়। এরপর পুতানা পালিয়ে যায় ও আগুনে জ্বলে ওঠে, এবং কৃষ্ণের গায়ের রঙ ঘন নীল হয়ে যায়।

ফাগ্বাহ (Phagwah) উদযাপনের আগের রাতে পুতনার দহন উদযাপিত হয়। হিন্দু পুরাণ অনুসারে, কৃষ্ণ তার যৌবনে হতাশ হয়ে ভাবে, উজ্জ্বল বর্ণের রাধা ও অন্যান্য গোপিরা তার শ্যাম বর্ণের কারণে পছন্দ করবে কিনা। এতে কৃষ্ণের মা কৃষ্ণের হতাশায় ক্লান্ত হয়ে তাকে বলেন, রাধার কাছে গিয়ে সে রাধার মুখমণ্ডলকে যেকোন রঙ দিয়ে রাঙ্গিয়ে দিতে পারে। কৃষ্ণ তাই করে, এবং এরপর রাধা ও কৃষ্ণ জুড়ি হয়ে যায়। রাধা ও কৃষ্ণের এই রঙ নিয়ে খেলাই হোলি বা দোলযাত্রা হিসেবে পালিত হয়।[11][12] ভারতের বাইরে, হোলি (ফাগ্বাহ) এর কিংবদন্তীটি কিছু ক্যারিবীয় এবং দক্ষিণ আমেরিকার ভারতীয় বংশদ্ভূত সম্প্রদায়ে দেখা যায়, যেমন গায়ানা এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোতে এটি দেখা যায়।[13][14] মরিশাসেও এই দিন পালন করা হয়।[15]

অন্যান্য হিন্দু ঐতিহ্য

পূর্ববঙ্গের তেওতা জমিদার বাড়ির দোলমঞ্চ

বৈষ্ণবধর্ম ছাড়া শৈবধর্মশাক্তধর্মেও হোলি উৎসবের তাৎপর্য রয়েছে। হোলি নিয়ে আরেকটি গল্প আছে যা ভালোবাসার জন্য আগুনে পুড়ে আত্মত্যাগ এর সাথে সম্পর্কিত। এই গল্পটি শিবকামদেবের। শিবের সাথে পার্বতীর বিবাহ হবার পূর্বে, পার্বতী শিবকে যোগ ও ধ্যান থেকে বাস্তব জগতে ফিরিয়ে আনবার জন্য বসন্ত পঞ্চমীর দিনে প্রেমের দেবতা কামদেবের সাহায্য প্রার্থনা করেন। কামদেব (প্রেমের দেবতা) এবং তার স্ত্রী রতি (প্রেমের দেবী) পার্বতীকে সাহায্য করার চেষ্টা করেছিলেন যাতে পার্বতী শিবকে তার স্বামী রূপে অর্জন করতে সক্ষম হন।[16] শিব যোগাসনে গভীর ধ্যানে মগ্ন ছিলেন। কামদেব ও রতি শিবের ধ্যান ভঙ্গ করে পার্বতির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ করানোর জন্য তার দিকে তীর ছোড়ে। কিন্তু ধ্যানে এই বিঘ্ন ঘটবার কারণে শিব তার তৃতীয় চক্ষু খোলেন এবং সেই চোক্ষুর তেজদীপ্ত চাহনিতে কামদেব দগ্ধ হয়ে ছাইয়ে পরিণত হয়। এই ঘটনায় কামদেবের স্ত্রী রতির বিমর্ষ হয়ে পড়ে। তাদের তীর কাজ করেনি, বরং শিবকে বিদ্ধ করার আগেই এগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। পরবর্তিতে শিব ও রতির বিবাহ হয়। এই বিবাহের সময় রতি শিবের কাছে প্রার্থনা করেন যাতে কামদেবকে তার কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়। শিব সম্মত হন, এবং কামদেবকে সত্যিকারের আবেগ এর একটি অবাস্তব সত্তা হিসেবে তাকে ফিরিয়ে দেন। প্রেমের দেবতার এই ফিরে আসা বসন্ত পঞ্চমি উৎসবের চল্লিশ দিন পর হোলি হিসেবে পালিত হয়।[17][18] এই কামদেবের কিংবদন্তি ও হোলি উৎসবে এর তাৎপর্যের বিভিন্ন প্রকরণ আছে, বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতে এই কিংবদন্তির বিভিন্ন রূপ দেখা যায়।[19]

সাংস্কৃতিক তাৎপর্য

ভারতবর্ষের বিভিন্ন হিন্দু ঐতিহ্যেই হোলি উৎসবের সাংস্কৃতিক তাৎপর্য রয়েছে। এটি একটি উৎসবমুখর দিন যখন একজন তার অতীতের ভুলগুলো ভুলে যায়। এই দিনে মানুষেরা একে অপরের মধ্যকার ঝগড়া-বিবাদ মিটমাট করে ফেলে, এই দিনে তারা এসব ঝগড়া বিবাদ ভুলে যায় ও ক্ষমা করে দেয়। তারা পুরনো ঋণ মাফ করে দেয়, এবং নতুন করে চুক্তি শুরু করে। হোলি উৎসব একই সাথে বসন্তের আগমন বার্তাও নিয়ে আসে। অনেকের কাছে এটা নতুন বছরের শুরুকে নির্দেশ করে। এটি মানুষের জন্য ঋতু পরিবর্তনকে উপভোগ করা ও নতুন বন্ধু বানাবার উৎসব।[3][20]

অন্যান্য ভারতীয় ধর্ম

ঐতিহ্যগতভাবে এই উৎসবটিকে অ-হিন্দুদের মধ্যে, যেমন জৈন[21] এবং নেপালের নেওয়ার বৌদ্ধদের মধ্যেও দেখা যায়।[22]

শিখরা একে ঐতিহ্যগতভাবে উৎসব হিসেবে পালন করেছে, অন্তত উনিশ শতক জুড়ে।[23] শিখ ধর্মের ঐতিহাসিক ধর্মে এই উৎসবকে হোলা বলা হয়।[24] শিখদের শেষ মানবগুরু গুরু গোবিন্দ সিংহ হোলিকে পরিবর্তন করে তিন দিনের হোলা মহল্লা উৎসবে পরিণত করেছিলেন, যেখানে হোলি উৎসব বর্ধিত হয়ে এতে মার্শাল আর্টও অন্তর্ভূক্ত হয়। আনন্দপুর সাহিব এর উৎসবের পর হোলি উৎসবের এই বৃদ্ধির সূচনা ঘটে। এই আনন্দপুর সাহিবে শিখ সৈন্যরা একটি নকল যুদ্ধে অংশগ্রহণ, ঘোড়দৌড়, শরীরচর্চা, তীর চালানো ও সামরিক-চর্চা করে।[25][26][27]

মহারাজা রঞ্জিত সিংহের সময় শিখ সাম্রাজ্যে হোলি খেলা হয় এবং সেই উৎসবের সংস্কৃতি ভারত ও পাকিস্তানের উত্তর অঞ্চলে বিস্তৃত হয়। ট্রিবিউন ইন্ডিয়া এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, শিখ দরবারের একটি নথি বলছে, ১৮৩৭ সালে লাহোরে রঞ্জিত সিংহ ও তার কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ ৩০০ মাউন্ড এর রঙ ব্যবহার করেছিলেন। রঞ্জিত সিংহ বিলাবল বাগানে অন্যদের সাথে হোলি উৎসব উদযাপন করেছিলেন, যেখানে বিভিন্ন সজ্জিত তাবু খাটানো হয়। ১৮৩৭ সালে স্যার হেনরি ফেন, যিনি তদকালীন বৃটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর সেনাপতি ছিলেন, তিনি রঞ্জিত সিংহের আয়োজিত হোলি উৎসবে যোগদান করেছিলেন। রঞ্জিত সিংহের উদ্যোগে লাহোর দুর্গে একটি দেয়াল চিত্র তৈরি করা হয়, যেখানে কৃষ্ণকে গোপিদের সাথে হোলি খেলতে দেখা যায়। রঞ্জিত সিংহের মৃত্যুর পর, তার শিখ পুত্রেরা এবং অন্যেরা রঙ দিয়ে আরম্বরপূর্ণভাবে হোলি উৎসব পালন করা চালিয়ে যান, এবং এই উৎসবগুলোতে ব্রিটিশ কর্মকর্তাগণও যোগদান করতেন।[28]

শান্তিনিকেতনের বসন্তোৎসব

দোলের দিন রঙমাখা অবস্থায় শিশু

দোলযাত্রা উৎসব শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসব নামে পরিচিত। অতীতে শান্তিনিকেতনের বিদ্যালয়ে বসন্তের আগমন উপলক্ষে একটি ছোটো ঘরোয়া অনুষ্ঠানে নাচগান, আবৃত্তি ও নাট্যাভিনয় করা হত। পরবর্তীকালে এই অনুষ্ঠানটি পরিব্যপ্ত হয়ে শান্তিনিকেতনের অন্যতম জনপ্রিয় উৎসব বসন্তোৎসবের আকার নেয়। ফাল্গুনী পূর্ণিমা অর্থাৎ দোলপূর্ণিমার দিনই শান্তিনিকেতনে বসন্তোৎসবের আয়োজন করা হয়। পূর্বরাত্রে বৈতালিক হয়। দোলের দিন সকালে ওরে গৃহবাসী খোল দ্বার খোল গানটির মাধ্যমে মূল অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। সন্ধ্যায় গৌরপ্রাঙ্গনে রবীন্দ্রনাথের কোনো নাটক অভিনীত হয়।[29]

তথ্যসূত্র

  1. Holi: Splashed with colors of friendship Hinduism Today, Hawaii (2011)
  2. Constance Jones, Holi, in J Gordon Melton (Editor), Religious Celebrations: An Encyclopedia of Holidays Festivals Solemn Observances and Spiritual Commemorations, আইএসবিএন ৯৭৮-১৫৯৮৮৪২০৬৭
  3. Wendy Doniger (Editor), Merriam-Webster's Encyclopedia of World Religions, January 2000, আইএসবিএন ৯৭৮-০৮৭৭৭৯০৪৪০, Merriam-Webster, page 455
  4. David N. Lorenzen (১৯৯৬)। Praises to a Formless God: Nirguni Texts from North India। State University of New York Press। পৃষ্ঠা 22–31। আইএসবিএন 978-0-7914-2805-4।
  5. Vittorio Roveda (২০০৫)। Images of the Gods: Khmer Mythology in Cambodia, Thailand and Laos। River Books। পৃষ্ঠা 70। আইএসবিএন 978-974-9863-03-9।;
    Sunil Kothari; Avinash Pasricha (২০০১)। Kuchipudi। Abhinav। পৃষ্ঠা 66–67। আইএসবিএন 978-81-7017-359-5।
  6. Roshen Dalal (২০১০)। Hinduism: An Alphabetical Guide। Penguin Books India। পৃষ্ঠা 275। আইএসবিএন 978-0-14-341421-6।
  7. Kumar, V. (Ed.). (2004), 108 Names of Vishnu. Sterling Publishers Pvt. Ltd., আইএসবিএন ৮১২০৭২০২৩৭
  8. দোললীলা ও হোরি বা হোলি খেলা, কাননবিহারী গোস্বামী, সাপ্তাহিক বর্তমান, ২৭ ফেব্রুয়ারি, ২০১০, পৃ. ৭-১০
  9. The Legend of Radha-Krishna, Society for the Confluence of Festivals in India (2009)
  10. R Deepta, A.K. Ramanujan's ‘Mythologies’ Poems: An Analysis, Points of View, Volume XIV, Number 1, Summer 2007, pp 74-81
  11. The Legend of Radha-Krishna (2009)
  12. The arrival of Phagwa - Holi ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১২ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে The Guardian, Trinidad and Tobago (12 March 2009)
  13. Eat, Pray, Smear Julia Moskin, New York Times (22 March 2011)
  14. Holi in Mauritius. "Just as the many other major Hindu festivals, the large Indian majority.. celebrate Holi with a lot of enthusiasm in the island of Mauritius. It is an official holiday in the country..."
  15. rati
  16. Robin Rinehart (২০০৪)। Contemporary Hinduism: Ritual, Culture, and Practice। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 135–137। আইএসবিএন 978-1-57607-905-8।
  17. Michelle Lee (২০১৬)। Holi। Scobre। পৃষ্ঠা 8–11। আইএসবিএন 978-1-62920-572-4।
  18. Usha Sharma (২০০৮)। Festivals In Indian Society। Mittal Publications। পৃষ্ঠা 80–82। আইএসবিএন 978-81-8324-113-7।
  19. Holi India Heritage: Culture, Fairs and Festivals (2008)
  20. Kristi L. Wiley (২০০৯)। The A to Z of Jainism। Scarecrow। পৃষ্ঠা 42। আইএসবিএন 978-0-8108-6337-8।
  21. Bal Gopal Shrestha (২০১২)। The Sacred Town of Sankhu: The Anthropology of Newar Ritual, Religion and Society in Nepal। Cambridge Scholars Publishing। পৃষ্ঠা 269–271, 240–241। আইএসবিএন 978-1-4438-3825-2।
  22. W. H. McLeod (২০০৯)। The A to Z of Sikhism। Scarecrow Press। পৃষ্ঠা 95। আইএসবিএন 978-0-8108-6344-6।
  23. Christian Roy (২০০৫)। Traditional Festivals: A Multicultural Encyclopedia। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 192–193। আইএসবিএন 978-1-57607-089-5।
  24. James K. Wellman Jr.; Clark Lombardi (২০১২)। Religion and Human Security: A Global Perspective। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 112 note 18। আইএসবিএন 978-0-19-982775-6।
  25. Nikky-Guninder Kaur Singh (২০১১)। Sikhism: An Introduction। I.B.Tauris। পৃষ্ঠা 93–94। আইএসবিএন 978-1-84885-321-8।
  26. Peter J. Claus; Sarah Diamond; Margaret Ann Mills (২০০৩)। South Asian Folklore: An Encyclopedia : Afghanistan, Bangladesh, India, Nepal, Pakistan, Sri Lanka। Taylor & Francis। পৃষ্ঠা 552। আইএসবিএন 978-0-415-93919-5।
  27. Holi on Canvas, The Sunday Tribune Holi on Canvas, Kanwarjit Singh Kang, 13 March 2011
  28. শান্তিনিকেতন ও শ্রীনিকেতন: সংক্ষিপ্ত পরিচয়, অনাথনাথ দাস, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ২০০৫, পৃ. ৫৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.