তালিম হোসেন

তালিম হোসেন (১৯১৮ - ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৯) একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী কবি, অনুবাদক ও সাহিত্য সম্পাদক। তিনি ছিলেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের অনুসারী।[1] তার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্ম হল দিশারী, শাহীননূহের জাহাজ। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি ১৯৬৫ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত একুশে পদক-এ ভূষিত হন।

তালিম হোসেন
জন্মতালিম হোসেন
১৯১৮
বদলগাছি, নওগাঁ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যু২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৯(1999-02-21) (বয়স ৮০–৮১)
ঢাকা, বাংলাদেশ
পেশাসাহিত্য সম্পাদক, লেখক
ভাষাবাংলা
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব বাংলাদেশ
ধরনকবিতা, উপন্যাস
বিষয়ইসলামি চিন্তাধর্মী
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি
  • দিশারী
  • শাহীন
  • নূহের জাহাজ
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার
একুশে পদক
সক্রিয় বছর১৯৫৬১৯৮৩
দাম্পত্যসঙ্গীমাফরুহা চৌধুরী
সন্তানশবনম মুশতারী (মেয়ে)
পারভীন মুশতারী (মেয়ে)
ইয়াসমিন মুশতারী (মেয়ে)
শাহরিয়ার চৌধুরী (ছেলে)
হাসনাইন চৌধুরী (ছেলে)

পারিবারিক জীবন

তালিম হোসেন ১৯৪৮ সালে মাফরুহা চৌধুরীকে বিয়ে করেন। মাফরুহা চৌধুরী ছিলেন দৈনিক বাংলা পত্রিকার মহিলা বিষয়ক পাতার সম্পাদিকা।[2] তাদের তিন মেয়ে এবং দুই ছেলে। তিন মেয়ে শবনম মুশতারী, পারভীন মুশতারীইয়াসমিন মুশতারী নজরুল সঙ্গীত শিল্পী। বড় মেয়ে শবনম মুশতারী ১৯৯৭ সালে সঙ্গীতে অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন।[3] এক ছেলে শাহরিয়ার চৌধুরী কম্পিউটার বিজ্ঞানী ও অন্যজন হাসনাইন চৌধুরী বাংলাদেশ বিমানের বৈমানিক ক্যাপ্টেন।[4]

কর্মজীবন

উনিশ শতকের মাঝামাঝিতে তিনি তৎকালীন মাহে নও পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি ছিলেন একজন দক্ষ সংগঠক। তার প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠে নজরুল একাডেমি[1]

সাহিত্যচর্চা

তালিম হোসেন তার রচনায় ইসলামি আদর্শ, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ ফুটিয়ে তুলেছেন।[5] তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ দিশারী ১৯৫৬ সালে প্রকাশিত হয়। তার অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল শাহীননূহের জাহাজ[1] এছাড়া তিনি অনুবাদ করেছেন স্বর্গচরণদানবীর এন্ড্রুর কার্নেগী উপন্যাস।

গ্রন্থতালিকা

কাব্যগ্রন্থ

  • দিশারী (১৯৫৬)
  • শাহীন (১৯৬২)
  • নূহের জাহাজ (১৯৮৩)

অনুবাদ

  • স্বর্গচারণ (১৯৫৯)
  • দানবীর এন্ড্রুর কার্নেগী (১৯৬২)

পুরস্কার ও সম্মাননা

  • বাংলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৬৫)
  • সিতারা-ই-ইমতিয়াজ (১৯৭২)
  • একুশে পদক (১৯৮২)
  • বাংলা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮২)
  • নজরুল একাডেমি পুরস্কার (১৯৯৩)

মৃত্যু

তালিম হোসেন ১৯৯৯ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় মারা যান।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "কবি তালিম হোসেন"দৈনিক নয়া দিগন্ত। ঢাকা, বাংলাদেশ। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  2. মেরীনা চৌধুরী (আগষ্ট ১২, ২০১৪)। "সাহিত্যিক মাফরুহা চৌধুরী"যায়যায়দিন। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  3. রওশন আরা বিউটি (২৭ নভেম্বর ২০১৪)। "স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পী শবনম মুশতারী"দৈনিক আজাদী। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  4. মুহম্মদ ইকবাল হোসেন তালুকদার (২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৩)। "কবি তালিম হোসেনকে শ্রদ্ধা"দৈনিক ইত্তেফাক। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  5. মাহবুবুল হক (২২ জানুয়ারি ২০১৬)। "বাংলাদেশের কবিতা : এক পলকে"দৈনিক ভোরের কাগজ। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.