ডারউইন, নর্দার্ন টেরিটরি
ডারউইন (ইংরেজি: Darwin) উত্তর-মধ্য অস্ট্রেলিয়াতে টপ এন্ড নামক অঞ্চলে অবস্থিত একটি শহর। এটি অতীতে পোর্ট ডারউইন বা ডারউইন বন্দর নামেও পরিচিত ছিল। ডারউইন অস্ট্রেলিয়ার নর্দার্ন টেরিটরি প্রদেশের রাজধানী এবং প্রধান বন্দর। শহরটি টিমোর সাগরের ক্ল্যারেন্স প্রণালীতে, মেলভিল দ্বীপের বিপরীতে অবস্থিত। এখানে একটি চমৎকার পোতাশ্রয় ও একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর আছে। ডারউইনে প্রায় ১ লক্ষ ২১ হাজার লোকের বাস। এটি নর্দার্ন টেরিটরির সবচেয়ে জনবহুল শহর।
ডারউইন Northern Territory | |||||||
![]() ইস্ট পয়েন্ট ডারইন শহরের স্কাইলাইন | |||||||
Population: | ১,২০,৯০০ (2006) [1] (১৬তম) | ||||||
• Density: | ৯২৬/km² (/sq mi) (2006)[2] | ||||||
Established: | ১৮৬৯ | ||||||
Area: | ১১২.০১ km² ( sq mi) | ||||||
Time zone: | ACST (UTC+৯:৩০) | ||||||
Mayor: | গ্রেম সইয়ার | ||||||
Location: | |||||||
LGA: | ডারউইন, পামার্সটন | ||||||
County: | পামার্সটন কাউন্টি | ||||||
State District: | পোর্ট ডারউইন (এবং আরও ১৪টি) | ||||||
Federal Division: | সলোমন | ||||||
|
ডারউইন থেকে দক্ষিণে স্টুয়ার্ট হাইওয়ে নামের ২,৮৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি মহাসড়ক অ্যালিস স্প্রিংস এবং অ্যাডেলেইড শহর পর্যন্ত চলে গেছে।
ডারউইনের শহরতলী এলাকাতে নর্দান টেরিটরি বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ডারউইন থেকে ২০০ কিলোমিটার পূর্বে কাকাডু জাতীয় উদ্যান অবস্থিত। শহরের কাছেই ইউরেনিয়াম ও তামার খনি আছে। শহরে ফল, সবজি, মদ, আইসক্রিম, ও মাংস উৎপাদিত হয়। ডারউইন অস্ট্রেলিয়ার সবচয়ে বহুসাংস্কৃতিক শহরগুলির একটি। শহরটি ইন্দোনেশিয়া ও পূর্ব তিমুরের কাছেই অবস্থিত হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া থেকে এশিয়া যাওয়ার পথে শহরটি পড়ে।
ডারউইন ১৮৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তখন এর নাম ছিল পামার্সটন। ১৯১১ সালে বিখ্যাত বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের সম্মানে এর নাম বদলে ডারউইন রাখা হয়। লাররাকিয়া জাতির লোকেরা বৃহত্তর ডারউইন এলাকার আদিবাসী। ১৮৩৯ সালের ৯ই সেপ্টেম্বর এইচ এম এস বিগল জাহাজটি ডারউইন পোতাশ্রয়ে প্রবেশ করে এবং জাহাজের ক্যাপ্টেন জন ক্লেমেন্টস উইকহ্যাম জাহাজের প্রাক্তন অভিযাত্রী ও বিখ্যাত বিজ্ঞানী চার্লস ডারউইনের নামানুসারে অঞ্চলটির নাম দেন পোর্ট ডারউইন। বর্তমানে ডারউইনের কাছেই ১৯৮১ সাল থেকে শহরটির আদি নামানুকরণে পামার্সটন নামের একটি উপগ্রহ শহর গড়ে তোলা হয়েছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানি যুদ্ধবিমানগুলি ১৯৪২ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত শহরটির উপর ক্রমাগত বোমাবর্ষণ করে। ১৯৭৪ সালের শেষের দিকে সাইক্লোন ট্রেসি নামের এক ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ে শহরের ৫০ লোকের প্রাণহানি হয় এবং শহরের অবকাঠামোর ৯০%-ই ধ্বংস হয়ে যায়। এর সাথে সাথেই শহরটি পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু হয় এবং নতুন পরিকল্পনামাফিক ১৯৭০-এর দশকের শেষ দিকে এই কাজ সমাপ্ত হয়।
টপ এন্ড অঞ্চলের বাকী এলাকাগুলির মত ডারউইনের জলবায়ুও ক্রান্তীয় ধরনের এবং বর্ষাকাল ও শুষ্ক ঋতুতে বিভক্ত। বর্ষাকালে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয় এবং এখানকার বজ্রবিদ্যুত দর্শনীয়।[3]
তথ্যসূত্র
- Australian Bureau of Statistics (২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "Australian Demographic Statistics" (PDF)। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৬-২৪।
- Australian Bureau of Statistics (১৭ মার্চ ২০০৮)। "Explore Your City Through the 2006 Census Social Atlas Series"। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৫-১৯।
- "Lightning Storms in the [[Top End]]"। Australian Broadcasting Corporation। Scribbly Gum। ২০০২-১২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০৭-২৭। ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)