ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়ন

ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়ন বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের ঠাকুরগাও জেলার হরিপুর উপজেলার অন্তর্গত একটি ইউনিয়ন[1]

ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়ন,
ডাঙ্গীপাড়া
ইউনিয়ন
ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়ন,
স্থানাঙ্ক: ২৫.৮৫৪০° উত্তর ৮৮.১৬৪৮° পূর্ব / 25.8540; 88.1648
Country বাংলাদেশ
Divisionরংপুর বিভাগ
সরকার
  চেয়ারম্যানমো: মনিরুজ্জামান (মনি)
আয়তন
  মোট১২ কিমি (৫ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
  মোট২৭,৭৫৯
সময় অঞ্চলBST (ইউটিসি+6)
ওয়েবসাইটhttp://dangiparaup.thakurgaon.gov.bd

আয়তন

ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের মোট আয়তন ৩০১৫ হেক্টর বা ১২ বর্গকলোমিটার।

অবস্থান

মূলত ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নটি পূর্ব-পশ্চিমে বিস্তৃত। পশ্চিমে ভারতীয় সীমান্ত পর্যন্ত বিস্তৃত এবং উত্তর- দক্ষিণ বরাবর প্রবাহমান নাগর নদীটিই সীমানা হিসেবে ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়ন এবং ভারতকে বিভক্ত করেছে। ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ- পশ্চিমে উক্ত হরিপুর উপজেলার ৫ নং হরিপুর ইউনিয়নের অবস্থান। পূর্ব- দক্ষিণে ভাতুরিয়া ইউনিয়ন, পূর্ব- উত্তরে রানীশংকাইল উপজেলার হুসেনগাঁও ইউনিয়ন এবং উত্তর-পশ্চিমে হরিপুর উপজেলার ২ নং আমগাও ইউনিয়ন

প্রশাসনিক এলাকা

ইউনিয়ন পরিষদের সাংগাঠনিক কাঠামো অনুযায়ী মোট ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ।

  • ১ নং ওয়ার্ড- কান্ধাল
  • ২ নং ওয়ার্ড- রহমতপুর
  • ৩ নং ওয়ার্ড- ভাঙ্গামনি
  • ৪ নং ওয়ার্ড- ডাঙ্গীপাড়া
  • ৫ নং ওয়ার্ড- পাহারগাঁও-দস্তমপুর
  • ৬ নং ওয়ার্ড- রণহাট্টা- পতনডোবা- শিহিপুর
  • ৭ নং ওয়ার্ড- হলদিবাড়ী- লহুচাঁদ
  • ৮ নং ওয়ার্ড- দামোল
  • ৯ নং ওয়ার্ড- বীরগড়

ইতিহাস

স্বাধীণতা পরবর্তীতে হরিপুর থানা বৃহত্তর দিনাজপুর জেলার অধীন ছিল। বর্তমানের ৩ নং বকুয়া ইউনিয়ন ও ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়ন তখন ২ নং বীরগড় নামে একটি ইউনিয়নের অধীনেই ছিল। সে সময় ইউনিয়নের মূল ভবনটি ছিল ধীরগঞ্জের বর্তমান ৩ নং বকুয়া ইউনিয়নের ভবনটিতেই। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে ২ নং বীরগড় ইউনিয়নটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে একটির নামকরণ হয় ৩ নং বকুয়া এবং অপরটির নামকরণ হয় ৪ নং ডাঙ্গীপাড়া। ৪ নং ডাঙ্গীপাড়ার ভবনটি স্থান্তরিত হয়ে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয় বর্তমান চৌরঙ্গী চৌরাস্তার পূর্ব পাশে। উল্লেখ্য, সে সময়েই ১ নং গেদুরা ইউনিয়নটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে দুটি ইউনিয়ন গঠিত হয়। অপরটির নামকরণ হয় ২ নং আমগাঁও।[1]

গ্রামের সংখ্যা

১৪ টি

জনসংখ্যার উপাত্ত

২৭,৭৫৯ জন (২০১১আদমশুমারী অনুযায়ী)

যোগাযোগ ব্যবস্থা

পাকা রাস্তা ০৮ কি: মি, কাচা রাস্তা ৪০ কি: মি:

শিক্ষা

রণহাট্টা চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি ভবন।

ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নে দামোল আইডিয়াল কলেজ নামে ১টি কলেজ রয়েছে। এছাড়া রণহাট্টা চৌরঙ্গী উচ্চ বিদ্যালয়, রণহাট্টা চৌরঙ্গী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়সহ মোট মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে ৫টি। এছাড়া এই ইউনিয়নে ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ২টি মাদ্রাসা আছে।

অর্থনীতি

কৃষিই অর্থনীতির প্রধান চালিকাশক্তি। তবে কিছু ক্ষুদ্র কুটির শিল্প ও হস্তশিল্প রয়েছে। প্রতি পাড়ায় ও বিভিন্ন মোড়গুলোতে এখন ছোট ছোট দোকান চোখে পরার মত। ইউনিয়নে ইজারাকৃত হাটের সংখ্যা দুটি- ১. চৌরঙ্গী হাট ২. শিহিপুর হাট [1] । এছাড়াও বিভিন্ন পেশার পেশাজীবিরাও ইউনিয়নের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন।

দর্শনীয় স্থান

গন্দর নদী
  • নাগর নদী (ইউনিয়নের পশ্চিম প্রান্তে ভারত সীমান্ত ঘেষা)
  • নোনা নদী
  • গন্দর নদী
  • ফিশারিজ প্রকল্প, পাহারগাও, চৌরঙ্গী
  • পশর ও গুটলিয়া বিল (সারা বছর পানি ধরে রাখে), হলদিবাড়ী
  • বাংলাদেশের একমাত্র সাপের খামার যা তোতা মিয়ার সাপের খামার নামে পরিচিত (বিলুপ্ত প্রায়), চৌরঙ্গী
  • পীরদিঘি গোড়স্থান

কৃতী ব্যক্তিত্ব

মো: তোতা মিয়া এই ইউনিয়নের খ্যাতিমান ব্যক্তি ছিলেন। তিনি একটি সাপের খামার তৈরি করেছিলেন। দেশের নানা স্থান থেকে পর্যটক দর্শকেরা তার সাপের খামার দেখতে আসত। তিনি ২০০৭ সালের নভেম্বর মাসে সাপের কামড়েই মারা যান।[1][2]

বিবিধ

ডাঙ্গীপাড়া ইউনিয়নে আদিবাসী সাঁওতালদেরও বসবাস রয়েছে। যারা এখনও তাদের নিজস্ব সাঁওতালী ভাষা ও সংস্কৃতির স্বকীয়তা বজায় রেখেছে। তবে অনেক সাঁওতালেই এখন ধর্মান্তরিত হয়ে খ্রিস্ট ধর্ম পালন করছে। ইউনিয়নের শিহিপুর ও দামোল গ্রামে সাঁওতালদের বসবাস।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. http://dangiparaup.thakurgaon.gov.bd
  2. "তোতা মিয়ার সকল সাপ উপযুক্ত পরিবেশে সংরক্ষন করতে হবে"। ৯ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৫

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.