জিম লেকার

জেমস "জিম" চার্লস লেকার (ইংরেজি: Jim Laker; জন্ম: ৯ ফেব্রুয়ারি, ১৯২২ - মৃত্যু: ২৩ এপ্রিল, ১৯৮৬) ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তারকা ছিলেন। ১৯৫৬ সালে ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত লেকারের খেলা নামে পরিচিত টেস্টে জিম বার্ক বাদে ১৯ উইকেট দখল করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে চিরস্মরণীয় হয়ে আছেন। তার এই অসম্ভব ও বিরল কীর্তিগাঁথার ফলে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট জয় করেছিল। প্রথিতযশা অফ-স্পিনার জিম লেকার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য লাভ করেছিলেন। তার যোগ্য বোলিং সঙ্গী ছিলেন বামহাতি অর্থোডক্স স্পিনার টনি লকপ্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সারে ক্রিকেট দলকে সাতবার ধারাবাহিকভাবে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপে নেতৃত্ব দিয়েছেন।[1]

জিম লেকার
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজেমস চার্লস লেকার
জন্ম(১৯২২-০২-০৯)৯ ফেব্রুয়ারি ১৯২২
ব্র্যাডফোর্ড, ইয়র্কশায়ার, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
মৃত্যু২৩ এপ্রিল ১৯৮৬(1986-04-23) (বয়স ৬৪)
পুটনি, লন্ডন, ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩২৮)
২১ জানুয়ারি ১৯৪৮ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ টেস্ট১৮ জানুয়ারি ১৯৫৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৬২-১৯৬৪এসেক্স
১৯৪৬-১৯৫৯সারে
১৯৫১-১৯৫২অকল্যান্ড এইসেস
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৪৬ ৪৫০
রানের সংখ্যা ৬৭৬ ৭,৩০৪
ব্যাটিং গড় ১৪.০৮ ১৬.৬০
১০০/৫০ ০/২ ২/১৮
সর্বোচ্চ রান ৬৩ ১১৩
বল করেছে ১২,০২৭ ১০১,৩৭০
উইকেট ১৯৩ ১,৯৪৪
বোলিং গড় ২১.২৪ ১৮.৪১
ইনিংসে ৫ উইকেট ১২৭
ম্যাচে ১০ উইকেট ৩২
সেরা বোলিং ১০/৫৩ ১০/৫৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ১২/– ২৭০/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ৩০ মে ২০১৪

প্রারম্ভিক জীবন

তার চাচার মাধ্যমে তিনি সালতেয়ারে চলে আসেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর পূর্বে তিনি ইযর্কশায়ার ক্লাবে খেলার জন্য ডাক পান। সেখানে তিনি ব্যাটসম্যান হিসেবে সবাইকে বিমোহিত করেন। যুদ্ধের ফলে তিনি সাময়িকভাবে ক্রিকেট পরিকল্পনায় ছেদ নিয়ে আসে। ১৯৪৩ সালে উত্তর আফ্রিকা থেকে এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এক বল প্রিয় তরুণের কীর্তিগাঁথা। যুদ্ধ শেষ হলে লন্ডনে চলে আসেন ও সারে দলের সদস্য হন। এরপর ইয়র্কশায়ারে তিনি অংশগ্রহণ করেন এবং ওভালের মাঠে নিবন্ধিত হন ও আর কখনো নিজ কাউন্টির পক্ষে অংশগ্রহণ করেননি।

খেলোয়াড়ী জীবন

লেকার তার সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ১৯৪৮ থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে ৪৬ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ২১.২৪ রান বোলিং গড়ে ১৯৩ উইকেট লাভ করেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৮.৪১ গড়ে ১,৯৪৪টি উইকেট দখল করেন।

১৯৪৭-৪৮ মৌসুমে ব্রিজটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ১ম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ১০৩ রানে ৭ উইকেট দখল করে বিরাট সমস্যার সৃষ্টি করেন।[2] কিন্তু ১৯৪৮ সালে ডন ব্র্যাডম্যানের অস্ট্রেলিয়ার সামনে ছিলেন দূর্দান্ত নৈপুণ্যে ভাস্বর। ১৯৫৮-৫৯ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ইংল্যান্ডের স্বল্পকয়েকজন খেলোয়াড়ের একজন হিসেবে পিচের অসহযোগিতা স্বত্ত্বেও তিনি বেশ ভাল বোলিং করেছিলেন। লেকারের খেলার বাইরে ১৯৫০ সালে ব্র্যাডফোর্ডে অনুষ্ঠিত দ্য রেস্টের বিপক্ষে তিনি মাত্র ২ রান দিয়ে ৮ উইকেট পেয়েছিলেন।

অর্জনসমূহ

১৯৫২ সালে তিনি পাঁচজন ক্রিকেটারের একজনরূপে উইজডেন বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননা লাভ করেন।[3]

১৯৫৬ সালে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে প্রতিপক্ষের ১১ ব্যাটসম্যানের সকলকে আউট করার বিরল কৃতিত্ব প্রদর্শনে সক্ষমতা দেখান। পরবর্তীকালে ১৯৬৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতীয় অফ স্পিনার শ্রীনিবাসরাঘবন ভেঙ্কটরাঘবন ও ১৯৭৯ সালে ভারতের বিপক্ষে অস্ট্রেলীয় বামহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার জিওফ ডাইমক এ কৃতিত্ব অর্জন করেছিলেন।

২৩ আগস্ট, ২০০৯ তারিখে জ্যাক হবসলেন হাটনের সাথে তাকেও আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[4]

তথ্যসূত্র

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

ক্রীড়া অবস্থান
পূর্বসূরী
গর্ডন পিরি
বিবিসি বর্ষসেরা ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব
১৯৫৬
উত্তরসূরী
ডাই রিজ
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.