চাঁদপুর বন্দর

চাঁদপুর বন্দর বাংলাদেশের একটি প্রাচীন নদীবন্দর। এই বন্দরটি মেঘনা নদী এর পূর্ব তীরে অবস্থিত। এই বন্দরটি এখন যাত্রী পরিবহনকারী বন্দর হিসাবে কাজ করছে। তবে এই বন্দরের সামান্য কিছু পণ্য দ্রব্য ও পরিবহন করা হয়। এই বন্দর থেকে ঢাকাবরিশাল রুটে জাহাজ বা যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করে।

চাঁদপুর নৌ-বন্দর
অবস্থান
দেশ বাংলাদেশ
অবস্থানচাঁদপুর, চাঁদপুর জেলা, চট্টগ্রাম বিভাগ
বিস্তারিত
মালিকবাংলাদেশ সরকার
পোতাশ্রয়ের প্রকারনদীবন্দর

ইতিহাস

চাঁদপুর বন্দর প্রতিষ্ঠার সঠিক সময় জানা যায়নি, তবে অনুমান করা হয় এই বন্দরটি হাজার বছরের পুরনো।[1] এই বন্দরটি মেঘনা নদীর ভাঙ্গনের ফলে ক্রমে পূর্ব দিকে সরে এসেছে। এই ভাবে বন্দরটি প্রায় ৯ কিলোমিটার পূর্বে সরে এসেছে। এই বন্দরটির ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয় ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশ ভারত এর একটি নদীবন্দর হিসাবে। এই সময় এই বন্দর থেকে পাট জাহাজে করে কলকাতা নিয়ে যাওয়া হত। দেশ বিভাগের পর চাঁদপুর বন্দর পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে চলে যায়। ১৯৭১ সাল থেকে এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী বন্দর হিসাবে পরিচিত হতে থাকে।

সমস্যা

চাঁদপুর বন্দরটি প্রধানত ব্যবহৃত হয় যাত্রী পরিবহনের জন্য। কিন্তু এই বন্দরটিতে গত ২০০ বছরেও কোনো স্থায়ী নৌ-টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়নি। যা বন্দরটির যাত্রী পরিবহনকে করে তুলেছে কঠিন। ২০০১ সালে নদীর ভাঙ্গনের ফলে বন্দরটি আরও সমস্যায় পড়ে। কিন্তু এখনও এর কোনো প্রতিকার করা হয়নি।[2]

যাত্রী পরিবহন

এই বন্দর থেকে ঢাকা ও বরিশাল রুটে জাহাজ চলে। এই বন্দরকে ব্যবহার করে বহু মানুষ ঢাকা শহরে পাড়ি দেন।

পণ্য পরিবহন

এই বন্দরটি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহনের সময় ব্যবহৃত হয়।

ভারত-বাংলাদেশ নৌ চুক্তি

ভারত ও বাংলাদেশ পণ্য পরিবহনের জন্য নৌ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তিতে ভারত বাংলাদেশের বন্দর ও বাংলাদেশ ভারতের বন্দর ব্যবহার করতে পারবে। এই চুক্তির আওতায় চাঁদপুর বন্দরকে রাখা হয়েছে। এর ফলে এই বন্দরের উন্নয়ন এর কথা চলছে।

তথ্যসূত্র

  1. "ইতিহাস ঐতিহ্যের চাঁদপুর নদী বন্দর"চাঁদপুর বার্তা। সংগ্রহের তারিখ ৩০-১১-২০১৬ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  2. "চাঁদপুর নৌ-বন্দর বেহাল যাত্রী ভোগান্তির চরমে"দ্য ডেইলি সংবাদ। সংগ্রহের তারিখ ৩০-১১-২০১১৬ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.