আশুগঞ্জ বন্দর

আশুগঞ্জ বন্দর বাংলাদেশের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আশুগঞ্জ শহরে মেঘনা নদীর তীরে গড়ে উঠেছে। এই বন্দরটি ভারত ও বাংলাদেশের "নৌ-ট্রানজিট চুক্তি"-র অধীনে পূর্ব ভারত থেকে আসা মাল খালাস করে উত্তর পূর্ব ভারত পৌঁছে দেবার জন্য আখাউরা সীমান্ত দিয়ে।[1] বন্দরটির জলের গভীরতা ৪ মিটার ও বর্ষার সময় গভীরতা বাড়ে।

আশুগঞ্জন বন্দর
অবস্থান
দেশবাংলাদেশ
অবস্থানআশুগঞ্জন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা, বাংলাদেশ
বিস্তারিত
পোতাশ্রয়ের প্রকারকৃত্রিম নদী বন্দর
উপলব্ধ নোঙরের স্থান

নির্মাণ

২০০৯ সালে আশুগঞ্জ বন্দরকে আধুনিক ও পূর্ণাঙ্গ বন্দরের উদ্যোগ গ্রহণ করে। একে আন্তর্জাতিক মানের অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনাল (আইসিটি) স্থাপনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। এ লক্ষ্যে ২০১০-এর জানুয়ারি মাসে একনেকের বৈঠকে আশুগঞ্জ বন্দর উন্নয়নে প্রায় ২৪৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়। ভারতীয় ঋণের টাকায় (এলওসি) এ বন্দর আধুনিকায়নের কথা ছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ঋণ সহায়তা পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, শুরুর দিকে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যে টাকা প্রাক্কলন করা হয়েছিল, তা এখন বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বাড়তি অর্থ কোথা থেকে আসবে, সে বিষয়ে নৌ মন্ত্রণালয় এখনও পরিষ্কার করে কিছু বলেনি।বন্দরটিতে একটি জেটি রয়েছে যা নদীতে চলাচলকারি ছোট জাহাজ বা নৌকার ক্ষেত্রে উপযোগি হলেও সমুদ্রগামি বড় জাহাজ গুলির ক্ষেত্রে উপযুক্ত নয়।ফলে বন্দরটি মাল খালাসে সমস্যার সমুখিন হয়েছে।এছাড়া এখানে জলের গভিরতা কম।এই সমস্য সমাধানে বন্দরটিতে নতুন জেটি ও নদীর ড্রেজিং করার কথা চলছে।

আরও

তথ্যসূত্র

  1. "আশুগঞ্জ বন্দর কতটা প্রস্তুত"দৈনিক সমকাল। ১৯ জুন ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.