চিলমারী বন্দর

চিলমারী বন্দর বা চিলমারী নদীবন্দর হল কুড়িগ্রাম জেলা এর চিলমারী উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র নদ এর তীরে অবস্থিত।বন্দরটির জলের গভভীরতা ২ মিটার।বন্দরটিতে বর্তমানে ইঞ্জিনচালীত নৌকা পণ্য পরিবহন করা হয়।নদী পথে যাত্রী পারাপার করা হয়।এখানে একটি ভাসমান তেল ডিপো রয়েছে।

চিলমারী নদীবন্দর
অবস্থান
দেশ বাংলাদেশ
অবস্থানচিলমারী, কুড়িগ্রাম জেলা
বিস্তারিত
পরিচালনা করেবাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ জলপথ কর্তৃপক্ষ
মালিকবাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ জলপথ কর্তৃপক্ষ
পোতাশ্রয়ের প্রকারনদীবন্দর
জেটি১ (নির্মাণাধিন)
পণ্য দ্রব্যধান, পাট, পাথর, রাসায়নিক সার
পরিসংখ্যান
বন্দরের গভীরতা২ মিটার (৬ ফু ৭ ইঞ্চি)

ইতিহাস

নদী ভাঙ্গনের কবলে চিলমারী নদীবন্দর

এক সময় পাটের জন্য বিখ্যাত ছিল কুড়িগ্রাম জেলার এতিহ্যবাহী চিলমারী বন্দর। ব্রহ্মপুত্রের তীর ঘেঁষে গড়ে উঠা এই বন্দরটি পাট বেচা-কেনা, প্রসেসিং, দেশি-বিদেশী জাহাজের আসা-যাওয়া, দেশের নানা অঞ্চল থেকে আসা ব্যবসায়ী ও পাইকারদের আনাগোনায় মুখরিত ছিল রাতদিন। চিলমারী বন্দরে পাটের কারবার শুরু হয় তিরিশের দশকে। ব্রহ্মপুত্রের কোল ঘেঁষে কয়েক কিলোমিটার ব্যাপী ছিল বন্দরের অবস্থান। প্রশাসনিক ভবন, কাষ্টমস্ অফিস, বড় বড় পাটের গোডাউন। সীমান্তের ওপার আসামের সঙ্গে ফেরি সার্ভিস চালু ছিল এক সময়। জুট ট্রেডিং কোম্পানীসহ প্রায় ৩০টি পাটকল ও কোম্পানী এখানে কারবার জুড়ে বসে। স্থাপন করে বিশাল বিশাল পাট গুদাম। পাট প্রসেসিং ও বেল তৈরীর মেশিন স্থাপন করা হয়। পাট ক্রয়, বাছাই ও বেল তৈরীর কাজে প্রায় ৯‘শ শ্রমিক এখানে কাজ করত প্রতিদিন। এর বাইরে শত শত ব্যাপারী, কৃষক, ফড়িয়াদের আগমন হত এখানে। প্রায় ৩‘শ গরুর গাড়ির মাধ্যমে দূর-দূরান্ত থেকে পাট এনে নারায়ণগঞ্জ, দৌলতপুর, খুলনা ও চট্টগ্রামসহ নানা এলাকায় সরবরাহ করা হতো। বিদেশেও রপ্তানি করা হতো এখানকার উন্নতমানের পাট। কালের আবর্তে ব্রহ্মপুত্র নদের কড়াল গ্রাসে চিলমারী বন্দরটি সম্পূর্ণ রুপে নিশ্চিহ্ন হয়েছে। তাই চিলমারী উপজেলা সদর বর্তমানে থানাহাট ইউনিয়নে স্থানান্তরিত হয়েছে। রমনা ঘাট কুড়িগ্রাম জেলার অধিকাংশ মানুষের নিকট একটি দর্শনীয় স্থান। এখানে নৌকা ভ্রমণ যেমন আনন্দদায়ক, তেমনি নদী তীরে দাঁড়িয়ে বিবর্ণ চরাঞ্চল, মেঘালয়ের পর্বতরাশি এবং ব্রহ্মপুত্র নদের জলরাশি পর্যটকের মনে সৃষ্টি করে এক আবেগঘণ মুহুর্ত। শীতকালে এখানকার অষ্টমীরচর, নয়ারহাট ও চিলমারী ইউনিয়নে ব্রক্ষপুত্রের শাখা নদসমুহের এবং তার তীর জুড়ে বিভিন্ন প্রজাতির পাখীর আগমনে এলাকাটিকে আকর্ষণীয় করে তোলে। চিলমারীর রমনা, ফকিরেরহাট ও জোড়গাছ ঘাট থেকে প্রতিদিন বাহাদুরাবাদ, নারায়নগঞ্জ, চট্রগ্রাম, বাঘাবাড়ী, ফুলছড়ি, রৌমারী ও রাজিবপুরে নৌকা চলাচল করে।[1]

আধুনীকরন

চিলমারি বন্দরটি নদী ভাঙনে সম্পূর্ণ রূপে বিলিন হয়ে গেছে বর্তমান নদীর পাড়ে অস্থায়ি ভাবে পণ্য খালাস হয়।বাংলাদেশ সরকার বন্দরটি নতুন ভাবে গড়ে তুলার ঘষানা করেছে।বন্দরটি নির্মাণের ভিত্তি পস্তর স্থাপন করেছেন নৌমন্ত্রি।

তথ্যসূত্র

  1. "জোরালো হচ্ছে চিলমারী বন্দরের দাবি"। সংগ্রহের তারিখ ০৫-০২-২০১৭ এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.