কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল

কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল (神奈川県? কানাগাওয়া কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর কান্তোও অঞ্চলের দক্ষিণে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল[1] কানাগাওয়া বৃহত্তর টোকিও এলাকার অংশ। এর রাজধানী য়োকোহামা নগর।[2]

কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল
神奈川県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
  জাপানি神奈川県
  রোমাজিKanagawa-ken

পতাকা

কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের প্রতীক
স্থানাঙ্ক: ৩৫°২৬′৫১.০৩″ উত্তর ১৩৯°৩৮′৩২.৪৪″ পূর্ব
দেশজাপান
অঞ্চলকান্তোও
দ্বীপহোনশু
রাজধানীয়োকোহামা
আয়তন
  মোট২৪১৬.০৪ কিমি (৯৩২.৮৪ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম৪৩ তম
জনসংখ্যা (১লা সেপ্টেম্বর, ২০১৪)
  মোট৯০,৯৮,৯৮৪
  ক্রম২য়
  জনঘনত্ব৩৭৭০/কিমি (৯৮০০/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-14
জেলা
পৌরসভা৩৩
ফুলসোনালি রশ্মিযুক্ত লিলি (লিলিয়াম অরেটাম)
গাছগিংকো (গিংকো বাইলোবা)
পাখিসাধারণ গাল (ল্যারাস ক্যানাস)
ওয়েবসাইটwww.pref.kanagawa.jp

ইতিহাস

মধ্যযুগের জাপানে কানাগাওয়া অঞ্চলটি সাগামি ও মুসাশি প্রদেশের অন্তর্গত ছিল।[3] কামাকুরা যুগে সাগামি প্রদেশের কেন্দ্রীয় কামাকুরা নগর জাপানের রাজধানী ছিল।

এদো যুগে সাগামির পশ্চিমাংশ শাসন করতেন ওদাওয়ারা দুর্গের দাইমিয়ো, আর পূর্বাংশ শাসন করতেন এদোয় অধিষ্ঠিত তোকুগাওয়া শোগুন স্বয়ং।

কমোডোর ম্যাথিউ পেরি ১৮৫৩-৫৪ খ্রিঃ কানাগাওয়ার সমুদ্রসৈকতে পদার্পণ করেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে জাপানের বন্দরগুলি খুলে দিতে জোর করে কানাগাওয়া চুক্তি স্বাক্ষর করান। ১৮৫৯ এ য়োকোহামা বন্দর বিদেশী বাণিজ্যের জন্য খুলে দেওয়া হয়। মেইজি সরকার ১৮৭২ এ টোকিওর শিন্‌বাশি থেকে য়োকোহামা পর্যন্ত জাপানের প্রথম রেলপথ নির্মাণ করে।

১৯২৩ এর বৃহৎ টোকিও ভূমিকম্পের উপকেন্দ্র ছিল সাগামি উপসাগরের ইযু ওশিমা দ্বীপের নিচে। পার্শ্ববর্তী অঞ্চলগুলির সাথে কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলও এতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়।[4] কেবলমাত্র কামাকুরা নগরেই ভূমিকম্প, সুনামি ও অগ্নিকাণ্ডের উপদ্রবে ২০০০ মানুষের প্রাণহানি ঘটে।[5]

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বৃহত্তর টোকিওর অংশ হিসেবে কানাগাওয়ার দ্রুত নগরায়ন হয়। ২০১৪ এর ১লা সেপ্টেম্বরের হিসেব অনুযায়ী কানাগাওয়ার জনসংখ্যা ছিল ৯১ লক্ষ।[6]

ভূগোল

কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চল কান্তোও সমভূমির দক্ষিণ-পূর্ব কোণে অবস্থিত।[7] এর উত্তরে টোকিও, উত্তর-পশ্চিমে ফুজি পর্বতের পাদদেশীয় পাহাড়ের সারি, পশ্চিমে য়ামানাশিশিযুওকা প্রশাসনিক অঞ্চল আর দক্ষিণ ও পূর্বে যথাক্রমে সাগামি উপসাগর ও টোকিও উপসাগর। অঞ্চলটির পূর্বভাগ অপেক্ষাকৃত সমতল হওয়ায় ঘনবসতিপূর্ণ; য়োকোহামা ও কাওয়াসাকি নগরের অবস্থান এখানে।

২০১২ এর এপ্রিলের হিসেব অনুযায়ী কানাগাওয়া প্রশাসনিক অঞ্চলের ২৩ শতাংশ ভূমি সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে ফুজি-হাকোনে-ইযু জাতীয় উদ্যান; তানাযাওয়া-ওওয়্যামা উপ-জাতীয় উদ্যান এবং জিন্‌বা সাগামিকো, মানাযুরু হান্তোও ও ওকুয়ুগাওয়ারা প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[8]

ভূপ্রকৃতি

ভূপ্রকৃতিগতভাবে কানাগাওয়াকে তিন ভাগে ভাগ করা যায়। পার্বত্য পশ্চিমাঞ্চলে আছে তানাযাওয়া পর্বতমালা ও হাকোনে আগ্নেয়গিরি। পাহাড়ময় অসমতল পূর্বাঞ্চলে আছে তামা পাহাড় ও মিউরা উপদ্বীপ। মধ্যভাগে আছে ছোট ছোট নদীর একটি অববাহিকা ক্ষেত্র, যার মধ্যে পড়ে সাগামি নদী, সাকাই নদী, ৎসুরুমি নদী ও তামা নদী।

তামা নদী কানাগাওয়া ও টোকিওর অধিকাংশ সীমানা নির্দেশ করে। পশ্চিমে পার্বত্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত সাকাওয়া নদী একটি সংকীর্ণ নিম্নভূমি বরাবর প্রবাহিত হয়ে সাগামি উপসাগরে মিশেছে।

তথ্যসূত্র

  1. Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Kanagawa" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 466, পৃ. 466,; "Kantō" in গুগল বইয়ে p. 479, পৃ. 479,.
  2. Nussbaum, "Yokohama" in গুগল বইয়ে pp. 1054–1055, পৃ. 154,.
  3. Nussbaum, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে p. 466, পৃ. 466,.
  4. Hammer, Joshua. (2006). গুগল বইয়ে Yokohama Burning: the Deadly 1923 Earthquake and Fire that Helped Forge the Path to World War II, p. 278, পৃ. 278,.
  5. Hammer, গুগল বইয়ে pp. 115-116, পৃ. 115,.
  6. 神奈川県人口統計調査公表資料 (প্রতিবেদন)। ২০১৪।
  7. Kanagawa terrain (জাপানি) (অনুবাদের ভাষা হচ্ছে বাংলা: গুগল, বিং)
  8. "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (PDF)Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১২
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.