ইওয়াতে প্রশাসনিক অঞ্চল

ইওয়াতে প্রশাসনিক অঞ্চল (岩手県? ইওয়াতে কেন্‌) হল জাপানের মূল দ্বীপ হোনশুর তোওহোকু অঞ্চলের অন্তর্গত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। হোনশুর পূর্বতম প্রান্ত এই অংশের অন্তর্গত।[2] এর রাজধানী মোরিওকা নগর।[3]

ইওয়াতে প্রশাসনিক অঞ্চল
岩手県
প্রশাসনিক অঞ্চল
জাপানি প্রতিলিপি
  জাপানি岩手県
  রোমাজিIwate-ken

পতাকা
দেশজাপান
অঞ্চলতোওহোকু
দ্বীপহোনশু
রাজধানীমোরিওকা
সরকার
  গভর্নরতাকুয়্যা তাস্‌সো
আয়তন
  মোট১৫২৭৮.৪০ কিমি (৫৮৯৯.০২ বর্গমাইল)
এলাকার ক্রম২য়
জনসংখ্যা (1 Oct 2010[1])
  মোট১৩,৩০,৫৩০
  ক্রম৩০তম
  জনঘনত্ব৯০/কিমি (২০০/বর্গমাইল)
আইএসও ৩১৬৬ কোডJP-03
জেলা১০
পৌরসভা৩৩
ফুলপলোনিয়া (পলোনিয়া টোমেন্টোসা)
গাছনান্‌বু লাল পাইন (পাইনাস ডেন্সিফ্লোরা)
পাখিসবুজ দোয়েল (ফেজিয়ানুস কোলচিকাস)
ওয়েবসাইটwww.pref.iwate.jp

হোক্কাইদোর বাইরে সমস্ত প্রশাসনিক অঞ্চলগুলোর মধ্যে ইওয়াতের জনঘনত্ব জাপানের মধ্যে সর্বনিম্ন। এখানকার মূল আকর্ষণের মধ্যে আছে ধনসম্পদে সমৃদ্ধ চুউসোন-জি ও মোওৎসুউ-জি সমেত হিরাইযুমির বৌদ্ধ মন্দির, ফুজিওয়ারা নো সাতো, এসাশি ওয়ার্ডের বিনোদন-উদ্যান, ওশু নগর, তেন্‌শো চি, কিতাকামি নগরের প্রাচীন চেরিগাছযুক্ত পার্ক ও মোরিওকা নগরের মোরিওকা দুর্গ।

কবি বাশো তার ওকু নো হোসোমিচি গ্রন্থে ইওয়াতের মধ্য দিয়ে ভ্রমণের কথা লিখে গেছেন। তিনি মূলত হিরাইযুমি থেকে অনুপ্রেরণা পেয়েছিলেন অনুমান করা হয়।

ইতিহাস

বর্তমানে ইওয়াতে প্রশাসনিক অঞ্চল যেখানে অবস্থিত, সেখান থেকে প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্যের মাধ্যমে জোমোন সংস্কৃতির নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে।[4][5] নিশিদা অঞ্চলে মধ্য জোমোন সংস্কৃতির (২৮০০-১৯০০ খ্রিঃপূঃ) সমাধিস্তূপ পাওয়া গেছে। তাতেইশি, মাকুমায়ে ও হাত্তেন অঞ্চলে প্রাপ্ত নব্য জোমোন নিদর্শনের (১৯০০-১৩০০ খ্রিঃপূঃ) মধ্যে পড়ে মাটির পুতুল, মুখোশ ও নাক ও কানের মাটির গয়না। কিতাকামি নগরের কুরেন্‌বাশি ক্ষেত্র থেকে প্রাপ্ত চূড়ান্ত জোমোন সংস্কৃতির (১৩০০-৩০০ খ্রিঃপূঃ) নিদর্শনের মধ্যে পুতুল, কানের দুল ও পাত্র ছাড়াও আছে পাথরের তরবারি, ফলক ও যন্ত্রাংশ।

প্রাচীন কাল থেকেই য়ামাতো তথা জাপানি জাতি স্বর্গীয় অধিকারবলে সমগ্র হোনশু দ্বীপের কর্তৃত্ব দাবি করে এলেও শক্তিশালী স্থানীয় এমিশি জাতিকে পরাস্ত করে জাপানিরা অধুনা ইওয়াতে অঞ্চলের উপর প্রকৃত অধিকার কায়েম করতে পারেনি। দীর্ঘ সংঘর্ষের পর ৮০২ খ্রিঃ এমিশি নেতা আতেরুই ও মোরে, ইসাওয়া কেল্লায় আত্মসমর্পণ করলে এখানে জাপানি শাসন আরম্ভ হয়। এই আত্মসমর্পণের পর কিতাকামি নদীপথ বরাবর চীনা মডেলে অনেকগুলো দুর্গ নির্মাণ করা হয়। ৮০২ খ্রিঃ বর্তমান মুযুসাওয়া ওয়ার্ডের ওশু নগরাঞ্চলে তৈরি হয় ইসাওয়া কেল্লা, পরের বছর বর্তমান মোরিওকা নগরে তৈরি হয় শিওয়া কেল্লা এবং ৮১২ খ্রিঃ ঐ অঞ্চলেই তৈরি হয় তোকুতান কেল্লা।

হেইয়ান যুগের শেষদিকে হিরাইযুমি শহর উত্তর ফুজিওয়ারার রাজধানী হিসেবে গড়ে ওঠে।[6] মেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত ইওয়াতে এলাকাটি মুৎসু প্রদেশের অংশ ছিল।[7]

ভূগোল

শিযুকুইশি নদী; পিছনে ইওয়াতে পর্বত।

ইওয়াতের পূর্বদিকে প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলের বেশির ভাগই প্রস্তরময় ও খাড়া পাহাড়ে অধ্যুষিত, কেবল বিচ্ছিন্ন কয়েকটি স্থানে বালুচর দেখা যায়। পশ্চিমে ওওউ পর্বতের সর্বোচ্চ চূড়াগুলি আকিতা প্রশাসনিক অঞ্চলের সীমা নির্দেশ করে। ইওয়াতের উত্তরে আওমোরি এবং দক্ষিণে মিয়াগি প্রশাসনিক অঞ্চল

ওওউ পর্বতমালায় কয়েকটি সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে, যেমন ইওয়াতে পর্বত (২০৩৮ মিটার, ইওয়াতের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ) ও কুরিকোমা পর্বত (১৬২৭ মিটার)। কিন্তু তার সমান্তরাল কিতাকামি পর্বতমালা অনেক বেশি প্রাচীন এবং বহু সহস্রাব্দ ধরে সুপ্ত। হায়াচিনে শৃঙ্গ (১৯১৭ মিটার) কিতাকামি পর্বতমালার সর্বোচ্চ।

তথ্যসূত্র

  1. National Census 2010 Preliminary Results
  2. Frédéric, "Tōhoku" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, পৃ. 970,, p. 970.
  3. Frédéric, "Morioka" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, পৃ. 661,, p. 661.
  4. 細井計「風と人間」2ページ
  5. 細井計 (1999-08)। 岩手県の歴史। 県史 児玉幸多 監修 3। 山川出版社। আইএসবিএন 4-634-32030-4। অজানা প্যারামিটার |1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য); অজানা প্যারামিটার |coauthors= উপেক্ষা করা হয়েছে (|author= ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য); এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  6. "言い伝えられた平泉"। Iwate Prefectural Office। ১৩ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০১৩
  7. Frédéric, "Provinces and prefectures" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, পৃ. 780,, p. 780.
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.