এহিমে প্রশাসনিক অঞ্চল
এহিমে প্রশাসনিক অঞ্চল (愛媛県? এহিমে কেন্) হল জাপানের শিকোকু দ্বীপে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[2] এর রাজধানী মাৎসুয়্যামা নগর।[3]
এহিমে প্রশাসনিক অঞ্চল 愛媛県 | |||
---|---|---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |||
জাপানি প্রতিলিপি | |||
• জাপানি | 愛媛県 | ||
• রোমাজি | Ehime-ken | ||
| |||
![]() | |||
দেশ | জাপান | ||
অঞ্চল | শিকোকু | ||
দ্বীপ | শিকোকু | ||
রাজধানী | মাৎসুয়্যামা | ||
আয়তন | |||
• মোট | ৫৬৭৬.৪৪ কিমি২ (২১৯১.৬৯ বর্গমাইল) | ||
এলাকার ক্রম | ২৬শ | ||
জনসংখ্যা (১লা নভেম্বর ২০১০) | |||
• মোট | ১৪,৩০,০৮৬ | ||
• ক্রম | ২৭শ | ||
• জনঘনত্ব | ২৫১.৯৩/কিমি২ (৬৫২.৫/বর্গমাইল) | ||
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-38 | ||
জেলা | ৭ | ||
পৌরসভা | ২০ | ||
ফুল | Satsuma mandarin (Citrus unshiu)[1] | ||
গাছ | পাইন (পাইনাস)[1] | ||
পাখি | জাপানি রবিন (এরিথাকাস আকাহিগে)[1] | ||
মাছ | লাল সী ব্রীম (প্যাগ্রাস মেজর)[1] | ||
ওয়েবসাইট | www |
ইতিহাস
মেইজি পুনর্গঠনের আগে পর্যন্ত এহিমে অঞ্চল ইয়ো প্রদেশ নামে পরিচিত ছিল। হেইয়ান যুগেরও আগে থেকে অঞ্চলটি মৎস্যজীবী ও নাবিক জনসাধারণের জীবিকার অন্যতম কেন্দ্র ছিল, এবং জলদস্যু ও মঙ্গোল আক্রমণ থেকে জাপানকে রক্ষা করতে এঁদের ভূমিকা বরাবর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থেকেছে।
সেকিগাহারার যুদ্ধের পর তোকুগাওয়া ইয়েআসু তার মিত্রদের মধ্যে এই অঞ্চলটি ভাগ করে দেন। অন্যতম বন্ধু কাতো য়োশিয়াকি মাৎসুয়্যামা দুর্গ নির্মাণ করেন। এই দুর্গ বর্তমান মাৎসুয়্যামা নগরের কেন্দ্র।
কোজিকি গ্রন্থের কুনিউমি অংশ থেকে এহিমে নামটি এসেছে। কুনিউমি অর্থাৎ জাপানের সৃষ্টির সময় ইয়ো প্রদেশকে “এহিমে” বা “প্রেমাস্পদা রাজকুমারী” বলে ডাকা হয়েছিল।[4]
২০১২ খ্রিঃ টোকিও ও এহিমে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মিলিত গবেষক দল বলেন তারা মাৎসুয়্যামায় বিরল মৃত্তিকা জাতীয় খনিজ সম্পদের সন্ধন পেয়েছেন।[5]
ভূগোল
এহিমে প্রশাসনিক অঞ্চল শিকোকু দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। এর উত্তরে সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের উপকূল, পূর্বে কাগাওয়া ও তোকুশিমা প্রশাসনিক অঞ্চল এবং দক্ষিণে কোওচি প্রশাসনিক অঞ্চল।
এহিমের দক্ষিণে উঁচু পর্বতমালা ও উত্তরে দীর্ঘ উপকূলীয় সমভূমি অবস্থিত। এছাড়া সেতো অন্তর্দেশীয় সাগরের অনেকগুলি দ্বীপও এই প্রশাসনিক অঞ্চলের আওতায় পড়ে। এহিমের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত সাদামিসাকি উপদ্বীপটি জাপানের সংকীর্ণতম উপদ্বীপ।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী এহিমে প্রশাসনিক অঞ্চলের ৭ শতাংশ এলাকা সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে আশিযুরি-উওয়াকাই ও সেতোকাইনাই জাতীয় উদ্যান; ইশিযুচি উপ-জাতীয় উদ্যান এবং সাতটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[6]
অর্থনীতি
ইমাবারি ও সাইজোও সন্নিহিত উপকূলীয় অঞ্চলে অনেক শিল্প গড়ে উঠেছে। জাপানের বৃহত্তম জাহাজ নির্মাতা ইমাবারি জাহাজ নির্মাণ কোম্পানির ডকইয়ার্ডও এখানে অবস্থিত। রাসায়নিক শিল্প, তেল শোধন, কাগজ ও বস্ত্রবয়ন শিল্পও উল্লেখযোগ্য। গ্রামাঞ্চলের প্রধান অর্থনৈতিক ক্রিয়া চাষাবাদ ও মাছ ধরা। এছাড়া মিকান ও ইয়োকান লেবু ও প্রক্রিয়াকৃত মুক্তোও এহিমের বৈশিষ্ট্য। ইকাতায় অবস্থিত পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি শিকোকু দ্বীপের বিদ্যুতের মোট চাহিদার অনেকাংশ পূরণ করে।
পর্যটন
জাপানের প্রাচীনতম উষ্ণ প্রস্রবণভিত্তিক বিনোদন ভবন ‘দোগো ওনসেন’ মাৎসুয়্যামায় অবস্থিত। এছাড়া এহিমে ইতিহাস ও সংস্কৃতি জাদুঘর অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ১৬০০ খ্রিঃ থেকে সমগ্র মেইজি যুগ ধরে স্থানীয় শাসক ছিল দাতে পরিবার। তাদের বাসভবনটিকে এখন জাদুঘরের চেহারা দেওয়া হয়েছে; এখানে বহুমূল্য ঐতিহাসিক শিল্পসামগ্রী, সমরসজ্জা ইত্যাদি দ্রষ্টব্য।
তথ্যসূত্র
- "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি" 愛媛県の紹介 > 愛媛県のシンボル। Ehime prefectural website (Japanese ভাষায়)। Ehime Prefecture। ৯ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- Nussbaum, Louis-Frédéric. (2005). "Ehime" in গুগল বইয়ে Japan Encyclopedia, p. 170, পৃ. 170,.
- Nussbaum, "Matsuyama" at গুগল বইয়ে p. 621, পৃ. 621,.
- Chamberlain, Basil Hall. 1882. A translation of the "Ko-ji-ki" or Records of ancient matters. section V
- "Japan Discovers Domestic Rare Earths Reserve"। BrightWire। ২৩ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ নভেম্বর ২০১৬।
- "General overview of area figures for Natural Parks by prefecture" (PDF)। Ministry of the Environment। সংগ্রহের তারিখ ১৯ আগস্ট ২০১২।