উত্তরাধুনিক নারীবাদ
উত্তরাধুনিক নারীবাদ হল নারীবাদী তত্ত্বের একটি উপাদান যাতে পোস্টমডার্ন থিওরি বা উত্তরাধুনিক তত্ত্ব এবং পোস্ট-স্ট্রাকচারালিস্ট থিওরি অন্তর্ভূক্ত এবং একে লিবারাল ফেমিনিজম বা উদারপন্থী নারীবাদ এবং রেডিকেল ফেমিনিজম বা আমূল-সংস্কারবাদী নারীবাদের আধুনিকতাবাদী প্রান্তিকতার ঊর্ধ্বে দেখা হয়।[1]
নারীবাদ | ||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ধারাবাহিকের একটি অংশ | ||||||||
![]() | ||||||||
ইতিহাস
|
||||||||
প্রকারসমূহ
|
||||||||
ধারণা
|
||||||||
|
||||||||
তালিকা এবং বিষয়শ্রেণী
|
||||||||
![]() | ||||||||
নারীবাদের সাথে উত্তরাধুনিক দর্শনের সম্পর্ক দেখা হয় এই দুই বিষয়েরই স্পিচ অ্যাক্টের (কার্যকারিতাযুক্ত উচ্চারণ) প্রতি আগ্রহের মধ্য দিয়ে।[2]
উৎপত্তি এবং তত্ত্ব
বাটলার
অন্যান্য নারীবাদী শাখা থেকে উত্তরাধুনিক নারীবাদের সবচেয়ে বড় বিচ্যুতির কারণ সম্ভবত এই ধারণাটি, যা অনুসারে, যৌনতা (sex), অথবা অন্তত লিঙ্গ (gender) নিজেই ভাষার মধ্যদিয়ে সামাজিকভাবে কনস্ট্রাকটেড। এই মতাদর্শটি আসে জুডিথ বাটলারের ১৯৯০ সালে প্রকাশিত হওয়া বই, জেন্ডার ট্রাবল থেকে। তিনি সিমোন দ্য বোভোয়ার, মিশেল ফুকো এবং জাক লাকাঁর কাজের সমালোচনা করেন, সেই সাথে লুসি ইরিগারের যুক্তির সমালোচনা করে তিনি বলেন, আমরা যাকে ঐতিহ্যগতভাবে "নারীসুলভ" বলে আসছি তা কেবলমাত্র সমাজে পুরুষসুলভ বলে যা কনস্ট্রাকটেড হয়ে আছে তারই প্রতিফলন।[3]
বাটলার পূর্বের নারীবাদী ধারাগুলো কর্তৃক (জীববিজ্ঞানগত) সেক্স এবং (সামাজিকভাবে কনস্ট্রাকটেড) জেন্ডারের মধ্যে পার্থক্য তৈরি করার সমালোচনা করেন। তিনি জিজ্ঞেস করেন, কেন আমরা ধরে নেই যে বস্তুগত জিনিসগুলো (যেমন আমাদের শরীর) নিজেরাই সামাজিকভাবে কনস্ট্রাকশনের বিষয়ে পরিণত হতে পারে না। এসেনশিয়ালিজম নামে একটি মতবাদ আছে যা বলে, যেকোন অস্তিত্ব বা এনটিটির কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্য থাকে যা তার পরিচয় এবং কার্যক্রমের জন্য প্রয়োজনীয়। বাটলার যুক্তি দেখান যে, এটা এসেনশিয়ালিজমের যথেষ্ট সমালোচনা করতে অনুমতি দিচ্ছে না: যদিও জেন্ডারকে সামাজিক বা সোশ্যাল কনস্ট্রাক্ট অথবা সমাজের তৈরি বলে স্বীকার করে নেয়া হচ্ছে, নারীবাদীরা ধরে নেয় যে এই জেন্ডারকে একইভাবে সবসময় সমাজে কনস্ট্রাক্ট বা তৈরি করা হয়েছে। তার যুক্তি বলে যে, নারীর অধীনতার কোন একটি কারণ নেই, বা এর কোন একটি সমাধান নেই: উত্তরাধুনিক নারীবাদ তাই কোন পরিষ্কার সমাধানের পথ না দেয়ার কারণে সমালোচিত হয়। বাটলার নিজেই "উত্তরাধুনিকতাবাদ" শব্দটিকে প্রত্যাখ্যান করেন, কারণ এই শব্দটি অর্থবহ হবার মত জন্য যথেষ্ট পরিষ্কার নয়।[4]
আবার বাটলার তার উত্তরাধুনিকতাবাদের প্রত্যাখ্যানের সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন শেরি মরাগার রচনাকে ভূল ভাবে পড়ার কারণে: তিনি মরাগার উক্তি 'নির্যাতনকে র্যাংকিং করার মধ্যেই বিপদ লুকিয়ে থাকে' কে বুঝেছিলেন, এর অর্থ হল আমাদের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের নির্যাতনকে বিচার করে নির্ণয় করা সম্ভব নয় - অর্থাৎ মানুষ ভুক্তভোগী হন এমন বিভিন্ন অপ্রেশন বা শোষণকে ক্রমোচ্চ শ্রেণীবিভাগ করলে তা সাম্রাজ্যবাদী, ঔপনিবেশিকতাদী এবং টোটালাইজিং ধারণার সৃষ্টি করে যা সমগ্র প্রচেষ্টাকেই অকার্যকর করে ফেলে...
তথ্যসূত্র
- R. Appignanesi/C. Garratt, Postmodernism for Beginners (1995) p. 100-1.
- "The emphasis on practices, which is one of the most radical powers of both postmodernism and feminism, throws renewed emphasis on speech acts and on the enacted, performative aspects of languages." E. D. Ermarth, Sequel to History (1992) p. 172-3.
- G. Gutting ed., The Cambridge Companion to Foucault (2002) p. 389
- Judith Butler, "Contingent Foundations" in Seyla Benhabib et al., Feminist Contentions: A Philosophical Exchange (New York: Routledge, 1995), pp. 35-58
গ্রন্থপঞ্জি
- Assiter, Alison (১৯৯৬)। Enlightened women modernist feminism in a postmodern age। London New York: Routledge। আইএসবিএন 9780415083386।
- Kottiswari, W. S. (২০০৮)। Postmodern feminist writers। New Delhi: Sarup & Sons। আইএসবিএন 9788176258210।
- Williams, Susan H.; Williams, David C. (১৯৯৭)। "A feminist theory of malebashing (paper 574)."। Michigan Journal of Gender & Law। Faculty Publications। 4 (1): 35–128.