অলংকার (চলচ্চিত্র)

অলংকার ১৯৭৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বাংলা ভাষার নাট্য-রোমান্টিকধর্মী চলচ্চিত্র। ছায়াছবিটি পরিচালনা করেছেন নারায়ণ ঘোষ মিতা[2] চলচ্চিত্রটির কাহিনী লিখেছেন জাকাউর রহমান এবং চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন পরিচালক মিতা নিজেই। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক, শাবানা, নূতন, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।[3] এই চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়ে সাবিনা ইয়াসমিন ৪র্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পীর পুরস্কার অর্জন করেন।[4]

অলংকার
অলংকার চলচ্চিত্রের পোস্টার
পরিচালকনারায়ণ ঘোষ মিতা
প্রযোজক
  • মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ফারুক
  • মোহাম্মদ জিয়া উদ্দিন
  • মোহাম্মদ ইফতেখার উদ্দিন
  • মোহাম্মদ রফি উদ্দিন
চিত্রনাট্যকারনারায়ণ ঘোষ মিতা
কাহিনীকারজাকাউর রহমান
শ্রেষ্ঠাংশে
সুরকারসত্য সাহা
চিত্রগ্রাহকরফিকুল বারী চৌধুরী
সম্পাদকআবু তালেব
পরিবেশকমোঃ সিরাজউদ্দিন প্রডাকশনস
মুক্তি৫ মে ১৯৭৮[1]
দৈর্ঘ্য১৩৪ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা ভাষা

কাহিনী সংক্ষেপ

মামুন একজন কবি। তার একটি কবিতার বই বাজারে বেরিয়েছে। মামুন ও নিলু একে অপরকে পছন্দ করে এবং সে কথা তাদের পরিবারের সবাই জানে। কিন্তু বাদ সাধে নিলুর চাচাত ভাই হাফিজ। সে নিলুর মায়ের কাছে নিলুকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। নিলুর মা হাফিজের সঙ্গে নিলুর বিয়ে দিতে চাইলেও নিলুর মত না থাকায় বিয়ে হয় না। পরবর্তীতে মামুন আর নিলুর বিয়ে হয় এবং দুজনে নতুন জীবন শুরু করে। রিতার বিয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠানে গিয়ে ঘটনা অন্যদিকে গড়ায়। সেখানে নিলুর গান শুনে মুগ্ধ চলচ্চিত্র প্রযোজক খান সাহেব তাকে তার পরবর্তী ছায়াছবিতে গান গাওয়ার অণুরোধ করে। নিলু তখন রাজি না হলেও পরে দুর্ঘটনায় মামুনের পা ভেঙ্গে গেলে হাসপাতালের টাকার জন্য সে গান গায় এবং অচিরেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে এসে তা জানতে পেরে রাগান্বিত হয় মামুন এবং এক পর্যায়ে নিলুকে আঘাত করে ও নিলুকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বলে। নিলু চলে যাওয়ার পর খবর আসে মামুন তার কবিতার জন্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছে। কিন্তু নিলু কি আবার মামুনের কাছে ফিরে আসবে...

শ্রেষ্ঠাংশে

  • রাজ্জাক - কবি মামুনুর রহমান
  • শাবানা - নিলু/শিরিন শবনম, মামুনের স্ত্রী ও গায়িকা
  • নূতন - রিতা, নিলুর বোন
  • আনোয়ার হোসেন - হারুন, নিলুর ভাই
  • আলতাফ হোসেন - সুলতান, প্রকাশক
  • খলিল উল্লাহ খান - খান, চলচ্চিত্র প্রযোজক
  • আরিফুল হক - চৌধুরী, রিতার স্বামী
  • সুমিতা দেবী - নিলুর মা
  • আয়েশা আখতার - মামুনের মা
  • রীনা আক্রাম - প্রতিবেশী ১
  • সুষমা আলম - প্রতিবেশী ২
  • প্রবীর মিত্র - হাফিজ, নিলুর চাচাত ভাই
  • মোনালিসা
  • সাইফুদ্দিন - হাওলাদার
  • আব্দুল মতিন - হেড ক্লার্ক
  • নাজমুল হুদা বাচ্চু - মামুনের সহকর্মী

সঙ্গীত

অলংকার ছায়াছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন সত্য সাহা। গীত রচনা করেছেন মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, ও মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিনখন্দকার ফারুক আহমেদ। এই ছায়াছবিতে ব্যবহৃত মোহাম্মদ রফিকুজ্জামান-এর গীতে ও সাবিনা ইয়াসমিন-এর কণ্ঠে "দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক" গানটি রেডিওর জন্য সুর করা হয়েছিল এবং জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। পরবর্তীতে গানটি অলংকার ছায়াছবিতে ব্যবহার করা হয়।[5]

গানের তালিকা

নং.শিরোনামকণ্ঠশিল্পীদৈর্ঘ্য
১."আমার কবিতা শুধু কবিতা নয়"সাবিনা ইয়াসমিনখন্দকার ফারুক আহমেদ 
২."রূপে এতো নজর দিও না"সাবিনা ইয়াসমিন ও খন্দকার ফারুক আহমেদ 
৩."আমি তো শিল্পী নই"সাবিনা ইয়াসমিন 
৪."আমি তোমার গানের পাখি"সাবিনা ইয়াসমিন 
৫."ভালোবাসা করতে মানা"সাবিনা ইয়াসমিন 
৬."দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক"সাবিনা ইয়াসমিন৫:১৫

পুরস্কার

৪র্থ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

  • বিজয়ী: শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী - সাবিনা ইয়াসমিন (গানঃ দুঃখ আমার বাসর রাতের পালঙ্ক)

তথ্যসূত্র

  1. "Movie List 1978"বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশক সমিতি। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৭
  2. আরিফ মাহমুদ (এপ্রিল ১৫, ২০১৫)। "বাংলা চলচ্চিত্রের প্রথীতযশা পরিচালক এবং তাঁদের নান্দনিক কাজ"বাংলা মুভি ডেটাবেজ। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬
  3. রফিক উদ্দিন চৌধুরী (২২ জানুয়ারি ২০১৫)। "বাংলা চলচ্চিত্রের জীবন্ত কিংবদন্তী নায়করাজ রাজ্জাক"দৈনিক আজাদী। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬
  4. রাশেদ শাওন (অক্টোবর ২৪, ২০১২)। "চার দশকে আমাদের সেরা চলচ্চিত্রগুলো"। ২৮ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬
  5. রওশন আরা বিউটি (২৪ জানুয়ারি ২০১৩)। "সঙ্গীতের অহংকার সাবিনা ইয়াসমিন"দৈনিক আজাদী। ঢাকা, বাংলাদেশ। সংগ্রহের তারিখ ১১ আগস্ট ২০১৬

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.