হেভি মেটাল সঙ্গীত

হেভি মেটাল হলো রক ধারার সঙ্গীতের একটি উপধারা, যা পরিবর্ধিত হয়েছে ৬০-এর দশকের শেষের ও ৭০-এর দশকের প্রথম দিকে মূলত আমেরিকা ও ইংল্যান্ডে ।এ ধারার সঙ্গীতের মূল অবস্থিত সাইকেডেলিক রকব্লুজ রক-এ। এ ধারার ব্যান্ডগুলো বিকট শব্দের সৃষ্টি করেছিল খুব বিবর্ধিত বিকৃতির মাধ্যমে, দীর্ঘ সময়ের গিটার বাদন,শক্তিশালী আঘাত ও সর্বোপরি উচ্চ শব্দের মাধ্যমে। শুরুর দিকের ব্যান্ডগুলো যেমন-ব্ল্যাক সাবাথ, লেড জেপলিন, ডিপ পার্পল বিপুল সংখ্যক শ্রোতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। এই ব্যান্ডগুলোকে এই ধারার সঙ্গীতের পথিকৃৎ বলা যায়। মধ্য সত্তরের দশকে জুডাস প্রিস্ট ব্যান্ড হেভি মেটালের ব্লুজের মিশ্রণ অনেকাংশে দূর করেছিল। মোটরহেড ব্যান্ড এতে পাঙ্ক রক-এর স্বাদ ও দ্রুততা যোগ করে। ৮০-এর দশকে আন্ডারগ্রাউন্ড দৃশ্যপট যোগ করে আরো আক্রমণাত্নক ও চূড়ান্ত পরিণতি।থ্রাশ মেটাল ধারার সঙ্গীত মূলধারায় ভাগ হয়ে যায় মেগাডেথও মেটালিকা ব্যান্ডের মাধ্যমে এবং ডেথ মেটালব্ল্যাক মেটাল উপসাংস্কৃতিক ঘটনা হিসেবে প্রতীয়মান হতে থাকে। ৯০-এর দশকের মাঝামাঝিতে জনপ্রিয় ধারা ন্যু মেটাল-এর আবির্ভাব ঘটে।এতে গ্রুঞ্জ ও হিপহপ উপাদানের সাথে এক্সট্রিম মেটালহার্ডকোর পাঙ্ক ধারার গানের মিশ্রণ লক্ষণীয়, যা হেভি মেটালের সংজ্ঞাকে বিবর্ধিত করে।

গঠন

জুডাস প্রিস্ট ব্যান্ড ২০০৫ সালে এক কনসার্টে

হেভি মেটাল ব্যান্ডে থাকে একজন বেজিস্ট, একজন ড্রামার, একজন রিদম গিটারিস্ট, একজন লিড গিটারিস্ট এবং একজন গায়ক যার কাছে বাদ্যযন্ত্র থাকতে পারে আবার নাও থাকতে পারে। কিবোর্ড মাঝে মাঝে ব্যবহৃত হয় শব্দকে পূর্ণতা দিতে,তবে এছাড়া অন্য বাদ্যযন্ত্র খুব কম ব্যবহার করা হয়। হেভি মেটাল গানে ইলেকট্রিক গিটারের ব্যবহার হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এটা গানের ভোকালের সাথের সাংগীতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করে যাকে এক প্রকার স্নেহপূর্ণ বিরোধ বলা যেতে পারে।

বিষয়

হেভি মেটাল ভোকালের অধীনস্ততা আশা করে ব্যান্ডের অন্যান্য শব্দের চেয়ে এবং গায়কের গলায় আবেগের সুস্পষ্টতা কামনা করে। সমালোচক সিমোন ফ্রিথ বলেন গানের কথার চেয়ে গায়কের গলার স্বর গুরুত্বপূর্ণ। মনস্তত্ববিদ জেফিরী আরনেট তার মেটালহেড নামক বইয়ে হেভি মেটাল কনসার্টকে যুদ্ধের সাথে তুলনা করেন। হেভি মেটাল গানের কথার বিষয়ে আমরা দেখি যুদ্ধবিরোধী মানসিকতা, রাজনীতি সচেতনতা, মাদকাসক্তির কুফল, মৃত্যু এবং যৌনতা। মেলোডিক ডেথ মেটাল, প্রোগ্রেসিভ মেটাল ও ব্ল্যাক মেটাল ধারার গানের কথায় দার্শনিক ভাবনাই বেশি উঠে আসে।

রক্ষণশীলতা

কিস ব্যান্ড ২০০৪ সালে বোস্টনের এক কনসার্টে

কিছু রক্ষণশীল দেশ এ ধারার গানকে তাদের সংস্কৃতির উপর আঘাত হিসেবে বিবেচনা করে। মরক্কো, মিশর,লেবানন এবং মালয়শিয়া-র মতো কিছু দেশে অনেকসময় হেভি মেটাল গানের শিল্পী ও তাদের ভক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।সমালোচক গ্যারি শার্প ইয়ং আন্ডারগ্রাউন্ড মেটালকে ৫টি ভাগে ভাগ করেছেনঃ থ্রাশ মেটাল, ডেথ মেটাল, ব্ল্যাক মেটাল,পাওয়ার মেটালগোথিক মেটাল

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.