এক্সট্রিম মেটাল

এক্সট্রিম মেটাল হালকাভাবে সংজ্ঞায়িত একটি শব্দ যা ১৯৮০-এর দশকে উদ্ভাবিত নানা হেভি মেটাল উপধারার সাথে সম্পর্কীত। যদিও এই শব্দটি কোন নির্দিষ্ট ধরনের শব্দ বা ধারাকে নির্দিষ্ট করে না, এটা ব্যবহার করা হয় সঙ্গীত যা ডেথ মেটাল, ব্ল্যাক মেটাল, ডুম মেটাল, থ্রাশ মেটালগ্রিন্ডকোর ধারার সাথে জড়িত। মূলধারার সঙ্গীত ভক্তদের কাছে এটা খুব পরিচিত না হলেও হেভি মেটাল ধারার বা বাইরের সঙ্গীত পরিবেশনকারীরা এক্সট্রিম মেটালের মাধ্যমে প্রভাবিত।

গঠন

এক্সট্রিম মেটালসঙ্গীত খুব দ্রুতলয়ের, আক্রমণাত্নক ও ভারী হয়ে থাকে। এর গানের কথায় বিভিন্ন স্পর্শকাতর বিষয় উঠে আসে, কন্ঠ কর্কশ এবং মঞ্চ পরিবেশনা ও উপস্থিতিতে থাকে মুখে সাদা রঙ মাখা মৃতদেহের মতো, স্যাটানিক ও রহস্যময় ছবি। কেউ কেউ কিসএ্যালিস কুপারকে এক্সট্রিম মেটাল শিল্পী হিসেবে গণ্য করেন। ইথনোগ্রাফার কিথ কান হ্যারিসের মতে এক্সট্রিম মেটালের বৈশিষ্ট্যকে সম্পূর্ণভাবে লঙ্ঘনকারী ধরনের মনে করেন, যার ‘’চূড়ান্ত’’ বিশেষত্ব হচ্ছে সবধরনের সাংস্কৃতিক, নন্দনতাত্ত্বিক, সামাজিক ও সৌন্দর্যতত্ত্বের বাধা অতিক্রম করা। সংজ্ঞার অস্পষ্টতা ও সীমাবদ্ধতা বিবেচনা করে অনেক শিল্পী বিষয়টাকে একটি বিতর্কের ব্যাপার বলে মনে করেন। কিথ কান হ্যারিস আরও বলেন যে এমন ধরনের বিতর্ককে অনেক মিউজিশিয়ান ওসঙ্গীত ভক্তরা অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করেন। রক্ষণশীল মেলোডি একটি মূল উপাদান জনপ্রিয়সঙ্গীতের যার খুবই কম এক্সট্রিম মেটাল ধারার গানে। এক্সট্রিম মেটালে ভোকাল উচ্চমাত্রার চিৎকার (যা ব্ল্যাক মেটালের বৈশিষ্ট্য), কর্কশতা ও গর্জন (যা ডেথ মেটালের বৈশিষ্ট্য) ব্যবহার করেন। এক্সট্রিম মেটাল ভোকাল আরো নানা রকম কৌশল প্রয়োগ করেন তাদের গায়কীতে, অনেক ব্যান্ড আবার একাধিক ভোকাল রাখেন। ড্রামাররা ব্ল্যাস্ট বীট, ডাবল বেজ ও ডাবল কিক কৌশল প্রয়োগ করেন। এ ধারার গানের টেম্পো খুব বেশি হয়। চাহিদাসম্পন্ন ও জটিল ড্রাম বাজনার নমুনা ব্যবহার করে ড্রামাররা গর্ব অনুভব করেন।সাত তারের গিটার ব্যবহার খুব একটা অস্বাভাবিক ঘটনা না এ ধারার গানে।

বিস্তার

১৯৯০ সালের শুরু ও মাঝামাঝিতে এক্সট্রিম মেটাল নজিরবিহীন মনোযোগ আকর্ষণ করে আন্তর্জাতিক মূলধারার সংগীতের।অগ্রবর্তী রেকর্ড লেবেল ইয়ারাচি রেকর্ডস কলম্বিয়া রেকর্ডসের সাথে বন্টন চুক্তি সম্পাদন করে। ভেনম এ ধারার গান সৃষ্টি করতে মূল ভূমিকা পালন করে। ভেনম ব্যান্ডের সদস্যরা তাদের মঞ্চের পরিবেশনার জন্য আলাদা নাম ঠিক করত যা তাদের জন্য ভয় প্রদর্শনকারী ও রহস্যময় ভাবমূর্তি সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখত। এ ধরনের ব্যাপার সার্বজনীন ছিল না সে সময়। তাদের দেখাদেখি অনেক এক্সট্রিম মেটাল মিউজিশিয়ান এরকম আলাদা নাম ঠিক করত, বিশেষ করে ব্ল্যাক মেটাল শিল্পীরা। প্রথম ৪টি বড় থ্রাশ মেটাল ব্যান্ড (মেটালিকা, স্লেয়ার,মেগাডেথ ও অ্যানথ্রাক্স ব্যান্ড) প্রমাণ করে যে এক্সট্রিম মেটালও বাণিজ্যিক উপাদান হতে পারে। তবে নরওয়েতে চার্চ পোড়ানো ও খুনের ঘটনা একটা নেতিবাচক ভাবমূর্তিও সৃষ্টি করে এক্সট্রিম মেটাল সম্পর্কে।

ইতিহাস

নিচের ইতিহাস আমাদের দেখায় কিভাবে ৩টি প্রাথমিক এক্সট্রিম মেটাল উওপধারা তৈরি হলোঃ

এক্সট্রিম মেটাল প্রকারভেদ

প্রাথমিক ধারা

প্রাথমিক উপধারা

ফিউশন ধারা

    • ব্ল্যাকেন্ড ডেথ
    • ব্ল্যাকেন্ড ডুম
    • ডেথেন্ড ডুম

পাঙ্ক ও হার্ডকোর ধারার সাথে ফিউশন

  • ক্রসওভার থ্রাশ
  • ক্রুস্ট পাঙ্ক
  • গ্রিন্ড কোর
    • গোরগ্রিন্ড
    • ডেথ গ্রিন্ড
  • মেটালকোর
    • ডেথকোর
    • ম্যাথকোর
  • স্লুডজ মেটাল

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.