সিম্ফোনিক মেটাল

সিম্ফোনিক মেটাল হলো এক প্রকার হেভি মেটাল সঙ্গীত যার সিম্ফোনিক উপাদান থাকবে; যা শাস্ত্রীয় সঙ্গীত অথবা প্রোগ্রেসিভ রক থেকে সংগৃহীত এবং এমন একটা ধরন সৃষ্টি করবে যা উভয়ের আমেজ বহন করবে, যেমন-অপেরার গায়িকার মতো মেয়ে মূল ভোকাল, বাদ্যযন্ত্র নানা ধরনের হবে শুধুমাত্র ইলেকট্রিক গিটারের ওপর নির্ভরশীল হবে না, অ্যাকুস্টিক গিটার ও নানা প্রকারের কি-বোর্ড ব্যবহৃত হবে, অসামঞ্জস্যপূর্ণ মিটার ব্যবহৃত হবে যেমন-৫/৪ এবং ৭/৮, ক্ল্যাসিক্যাল থিম ব্যবহার করা যেতে পারে এবং অবশ্যই থাকবে হেভি মেটাল পাওয়ার রিফ।

সিম্ফোনিক মেটালের মূল অনুপ্রেরণা হলো শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, গোথিক মেটাল এবং পাওয়ার মেটাল।কি-বোর্ড এখানে মূল ভূমিকা পালন করে। কি-বোর্ডের অংশগুলো থাকে খুব জটিল ও কারিগরিভাবে কঠিন যেখানে ক্ল্যাসিক্যাল ধরনের ও অর্কেস্টাল আমেজ থাকে, আর অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের অংশ অপেক্ষাকৃত সহজ থাকে। এ ধরনের ব্যান্ডগুলোতে মূলত মেয়ে ভোকাল থাকে যাকে তাদের প্রচারের কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সোপরানো ধরনের মেয়ে ভোকালই মূলত ব্যবহার করা হয়। গোথিক মেটালের মতো এখানে পুরুষ দ্বিতীয় ভোকাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যে ডেথ মেটালের ভোকালের মতো গর্জনশীল হলেও হতে পারে।আরও চাইলে ব্যাকআপ ভোকাল হিসেবে গির্জার গায়কদলও ভাড়া করা যেতে পারে। সিম্ফোনিক পাওয়ার মেটাল-এ ছেলে ভোকাল বেশি পাওয়া যায়। গোথিক মেটালের মতো সিম্ফোনিক মেটালে রক ও মেটাল ধরনের সঙ্গীতের সংশ্লেষণ করা হয়ে থাকে, যেখানে ব্ল্যাক মেটাল, ডেথ মেটাল, পাওয়ার মেটালপ্রোগ্রেসিভ মেটাল উপাদান প্রায়ই ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

সিম্ফোনিক মেটালের মূল পাওয়া যায় প্রাথমিক ব্ল্যাক মেটালডেথ মেটাল ব্যান্ডগুলোতে, যারা তাদের গানে কিছু সিম্ফোনিক উপাদান ব্যবহার করেছিল। নাইটউইশ এবং উইথইন টেম্পটেশন উভয় ব্যান্ডই ১৯৯৭ সালে প্রথম অ্যালবাম বের করে। উইথইন টেম্পটেশন গোথিক মেটালের মাধ্যমে বেশি প্রভাবিত,অন্যদিকে নাইটউইশ পাওয়ার মেটালের মাধ্যমে বেশি প্রভাবিত।কিন্তু তাদের উভয়ের সিম্ফোনিক মেটালের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শক্তিশালী মহিলা মূল গায়িকা আছে এবং তাদের ক্ল্যাসিক্যাল প্রভাবিত কি-বোর্ড বাজনা আছে। ২০০০ সহস্রাব্দের প্রথম দিকে কিছু নতুন সিম্ফোনিক মেটাল ব্যান্ড আলোচনায় চলে আসে যেমন-রেইন ফেল উইথইন, আফটার ফরএভার, এপিকা, হ্যাগার্ড ও ইডেন ব্রিজ, তাদের সবারি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ কি-বোর্ড বাজনা ও মেয়ে ভোকাল আছে। সিম্ফোনিক মেটাল শব্দটা ব্যবহার করা যেতে পারে কোন ব্যান্ডের শুধুমাত্র একটা গান বা একটা অ্যালবামের ক্ষেত্রেও যদিও তারা হয়তবা প্রথমদিকের ডেথ মেটাল, ডুম মেটাল, গোথিক মেটাল, পাওয়ার মেটাল বা ব্ল্যাক মেটাল ব্যান্ড। সিম্ফোনিক মেটাল মূলত উত্তর ও মধ্য ইউরোপে জনপ্রিয়। সিম্ফোনিক ব্ল্যাক মেটালে একই ধরনের উপাদান থাকে মেলোডিক ব্ল্যাক মেটালের মতো; তবে কি-বোর্ড বাজনা ও যন্ত্রপাতি মূলত ব্যবহার করা হয় সিম্ফোনিক বা ক্ল্যাসিক্যাল মিউজিকের মতো।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.