হাজিয়া সোফিয়া

হাজিয়া সোফিয়া (গ্রিক: Ἁγία Σοφία, "পবিত্র জ্ঞান"; লাতিন: Sancta Sophia বা Sancta Sapientia; তুর্কী: Ayasofya) মধ্যযুগের রোম স্রামাজ্যের সাবেক রাজধানী ইস্তাম্বুলের (বর্তমান তুরস্ক) প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত একটি মসজিদ যেটি আদিতে গির্জা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।।

হাজিয়া সোফিয়া
Ayasofya (তুর্কি)
Ἁγία Σοφία (গ্রিক)
Sancta Sophia (লাতিন)
হাজিয়া সোফিয়া, ইস্তানবুল
ইস্তানবুলে অবস্থান
স্থানাঙ্ক৪১.০০৮৫৪৮° উত্তর ২৮.৯৭৯৯৩৮° পূর্ব / 41.008548; 28.979938
অবস্থানইস্তানবুল (ঐতিহাসিকভাবে Constantinople) তুরস্ক
নকশাকারকIsidore of Miletus
Anthemius of Tralles
ধরন
  • ইস্টার্ন অর্থডক্স ক্যাথেড্রাল (৫৩৭–১২০৪)
  • রোমান ক্যাথলিক চার্চ (১২০৪–১২৬১)
  • ইস্টার্ন অর্থডক্স ক্যাথেড্রাল (১২৬১–১৪৫৩)
  • ইম্পিরিয়াল মসজিদ (১৪৫৩–১৯৩১)
  • জাদুঘর (১৯৩৫–বর্তমান)
উপাদানঅ্যাশলার, ইট
দৈর্ঘ্য৮২ মি (২৬৯ ফু)
প্রস্থ৭৩ মি (২৪০ ফু)
উচ্চতা৫৫ মি (১৮০ ফু)
শুরুর তারিখ৫৩২
সম্পূর্ণতা তারিখ৫৩৭ (537)

ইতিহাস

এটি স্থাপন করা হয়েছিল মূলত অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে। এই স্থাপনাটি অর্থোডক্স গির্জা হিসেবে স্থাপনের পর থেকে ১২০৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ব্যবহার করা হয়। এর এটিকে ক্যাথলি গির্জায় রুপান্তর করা হয় ১২০৪ খ্রিস্টাব্দে, যা ১২৬১ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয়। তারপর এটি পুনরায় অর্থোডক্স গির্জায় রূপান্তর করা হয়, যার মেয়াদকাল ১২৬১-১৪৫৩ সাল পর্যন্ত। কিন্তু এর পর মানে পঞ্চদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি তুরস্ক মুসলিম সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে এই স্থাপনাটিকে মসজিদে রুপান্তর করা হয়। যার নতুন নামকরণ হয় "ইম্পিরিয়াল মসজিদ", যা প্রায় ৫০০ বছর স্থায়ী হয়। বর্তমানে তুরস্কের প্রধান মসজিদ সুলতান আহমেদ মসজিদ, যা "ব্লু মসজিদ" নামে পরিচিত। যা স্থাপিত হয় ১৬১৬ সালে। কিন্তু এই মসজিদ স্থাপনের পূর্বে "ইম্পিরিয়াল মসজিদ" -ই ছিল তুরস্কের প্রধান মসজিদ।

এরপর এই স্থাপনাটি ১৯৩৫ সালে আধুনিক তুরস্কের স্থপতি ও স্বাধীন তুরস্কের প্রথম রাষ্ট্রপতি "মুস্তফা কামাল আতার্তুক" যাদুঘরে রূপান্তর করেন। যা বর্তমানেও বিদ্যমান।[1]

মসজিদে রূপান্তরের পর এর দেয়ালে মার্বেল পাথরে অঙ্কিত যীশু খ্রিস্টের অনেক গুলো ছবি সিমেন্ট দিয়ে মুছে দেওয়া হয়। ছবিগুলো প্রায় ৫০০ বছরের জন্য সিমেন্টের নিমে চাপা পড়ে। কিন্তু এই স্থাপনাটিকে যাদুঘরে রূপান্তরের পর ছবিগুলো পুনরুদ্ধার করা হয়। ফলে যীশুখ্রিস্টের ছবিগুলো অনেকটা অস্পষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তীতে অঙ্কিত "আল্লাহুমুহাম্মদ (সঃ)" এর আরবিতে অঙ্কিত মার্বেল পাথরও এর পাশাপাশি সংরক্ষিত হয়। তাই এই নামগুলোর পাথর অনেক বেশি উজ্জ্বল থাকে।

এরপর থেকে এই স্থাপনায় নতুন নিয়ম প্রবর্তন হয়। প্রধান নিয়মটি হল। "এই স্থাপনার মূল অংশ বা হলরুম ধর্মীয় কাজে ব্যবহার করা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ, সেটি মুসলিম অথবা খ্রিস্টান ধর্ম উভয়ের জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু এই স্থাপনার উভয় ধর্মের জন্য আলাদা সংরক্ষিত জায়গা রয়েছে। অর্থাৎ এই কমপ্লেক্ষটিতে একটি মসজিদ ও একটি গির্জা নির্মাণ করা হয়। যা শুধুমাত্র যাদুঘরের কর্মচারী কর্মকর্তাদের জন্য সংরক্ষিত।"

৩১ মার্চ ,২০১৮, তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান কুরআন তিলাওয়াত করে মুহামেত সহ হাজিয়া সোফিয়ার জন্য করা সকলের রহুের মাগফেরাতে মোনাজাত করেন।[2]

ভ্রমণ

এই জাদুঘর রবিবার-বৃহস্পতিবার সকাল ৯.৩০ থেকে বিকাল ৪.৩০ পর্যন্ত খোলা থাকে। এর প্রবেশ মূল্য ২৫ তুর্কি লিরা (প্রায় ৳১,০০০)। এটি তুরস্কের সবচেয়ে বেশি পর্যটক ভ্রমণশীল স্থান।[3]

গ্যালারি

তথ্যসূত্র

  1. Magdalino, Paul, et al. "Istanbul: Buildings, Hagia Sophia" in Grove Art Online. Oxford Art Online. http://www.oxfordartonline.com. accessed 28 February 2010.
  2. Turkish President Erdoğan recites Islamic prayer at the Hagia Sophia
  3. "Hagia Sophia still Istanbul's top tourist attraction"। hurriyet।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.