সেস্‌ ফাব্রিগাস

ফ্রান্সেস ‘‘সেস’’ ফাব্রিগাস সোলের (জন্ম মে ৪, ১৯৮৭) একজন পেশাদার স্পেনীয় ফুটবলার, যিনি বর্তমানে স্পেন জাতীয় ফুটবল দল এবং চেলসি ফুটবল ক্লাব এ একজন সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার হিসেবে খেলছেন।

সেস্‌ ফাব্রিগাস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম ফ্রান্সেস ফাব্রিগাস সোলের
জন্ম (1987-05-04) ৪ মে ১৯৮৭
জন্ম স্থান আরেনিস দি মার, কাতালুনিয়া, স্পেন
উচ্চতা ১.৭৫ মিটার (৫ ফুট ৯ ইঞ্চি)
মাঠে অবস্থান মধ্যমাঠের খেলোয়াড়
ক্লাবের তথ্য
বর্তমান ক্লাব চেলসি
জার্সি নম্বর
যুব পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন
১৯৯৫–১৯৯৭ মাতারো
১৯৯৭–২০০৩ বার্সেলোনা
২০০৩ আর্সেনাল
জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ী জীবন*
বছর দল উপস্থিতি (গোল)
২০০৩–২০১১ আর্সেনাল ২১২ (৩৫)
২০১৪– চেলসি ১৩২ (১৫)
জাতীয় দল
২০০২–২০০৩ স্পেন অনূর্ধ্ব ১৬ (০)
২০০৩–২০০৪ স্পেন অনূর্ধ্ব ১৭ ১৪ (৭)
২০০৫ স্পেন অনূর্ধ্ব ২০ (০)
২০০৪–২০০৫ স্পেন অনূর্ধ্ব ২১ ১২ (৮)
২০০৬– স্পেন ১১০ (১৫)
২০০৪– কাতালোনিয়া (০)
  • পেশাদারী ক্লাবের উপস্থিতি ও গোলসংখ্যা শুধুমাত্র ঘরোয়া লিগের জন্য গণনা করা হয়েছে এবং ১০ মে ২০১৮ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

† উপস্থিতি(গোল সংখ্যা)।

‡ জাতীয় দলের হয়ে খেলার সংখ্যা এবং গোল ২৭ অগাস্ট ২০১৭ তারিখ অনুযায়ী সঠিক।

ফাব্রিগাস বার্সেলোনায় একজন শিক্ষানবিস হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করলেও, ২০০৩ সালের সেপ্টেম্বরে প্রিমিয়ার লীগের দল আর্সেনালে যোগ দেন। সেখানে তিনি নিজেকে দলের একজন নিয়মিত খেলোয়াড়ে পরিণত করেন এবং মাত্র ২১ বছর বয়সেই দলের অধিনায়কের দায়িত্ব নেন। ২০১১ সালে ব্যাপক দর কষাকষি শেষে প্রাথমিক ২৯ মিলিয়ন ইউরো এবং পরবর্তীতে আরও ৫ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে তিনি পুনরায় বার্সেলোনায় ফিরে আসেন। ২০১৪ সালে তিনি তিন কোটি পাউন্ডের বিনিময়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ এর দল চেলসিতে যোগ দেন।

প্রারম্ভিক সময়

ফাব্রিগাস বার্সেলোনার অ্যারিনেস দি মার শহরে জন্মগ্রহণ করেন।[1] তার বাবা ফ্রান্সেস ফাব্রিগাস সিনিয়র একজন আবাসন ব্যবসায়ী এবং মা নুরিয়া সলের পেস্ট্রি কোম্পানির মালিক। কাতালান ক্লাব সিই মাতারো’র হয়ে ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেন ফাব্রিগাস। অবশ্য ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন বার্সেলোনার সমর্থক। ১৯৯৭ সালে ১০ বছর বয়সে তিনি বার্সেলোনার যুব একাডেমী লা মাসিয়ায় যোগ দেন।[2]

লোক মুখে শোনা যায় যে তার প্রথম কোচ, সেনিয়র ব্লাই বার্সেলোনার বিপক্ষে খেলায় তাকে মাঠে নামাতেন না। বার্সেলোনার স্কাউটদের নজর থেকে ফাব্রিগাসকে লুকিয়ে রাখার জন্য তিনি এই কাজ করতেন।[3] তবে, বার্সেলোনার কাছে তাদের এই কৌশল বেশি দিন টেকেনি, তারা ফাব্রিগাসকে সপ্তাহে একদিন করে বার্সেলোনার সাথে প্রশিক্ষনের অনুমতি দেন। অবশেষে তিনি পুরোপুরিভাবে বার্সার যুব একাডেমীতে যোগ দেন।

প্রাথমিকভাবে, তাকে একজন ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে প্রশিক্ষন দেওয়া হত। যদিও তিনি একজন দূর্দান্ত গোল স্কোরার ছিলেন, এমনকি যুব দলের হয়ে এক মৌসুমে ৩০ এরও অধিক গোল করতেন, তিনি বার্সেলোনার প্রথম একাদশে নিজের নাম লেখাতে পারেননি।[4]

বার্সেলোনার যুব একাডেমীতে থাকার সময়, বার্সেলোনার তত্‍কালীন অধিনায়ক এবং নম্বর ৪ পেপ গার্দিওলাকে নিজের আদর্শ হিসেবে মানতে শুরু করেন ফাব্রিগাস। পরবর্তীতে তার বাবা-মা’র বিচ্ছেদ ঘটলে গার্দিওলা তাকে সেই চার নম্বর জার্সি সান্ত্বনা হিসেবে দেন।[5]

ক্লাব ক্যারিয়ার

আর্সেনাল

বার্সেলোনা

আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার

খেলার ধরণ

ক্যারিয়ার পরিসংখ্যান

ক্লাব পরিসংখ্যান

৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ অনুসারে।[6]

ক্লাব মৌসুম লীগ কাপ[7] ইউরোপ মোট
বিভাগ উপস্থিতি গোল সহায়তা উপস্থিতি গোল সহায়তা উপস্থিতি গোল সহায়তা উপস্থিতি গোল সহায়তা
আর্সেনাল ২০০৩–০৪ প্রিমিয়ার লীগ
২০০৪–০৫ ৩৩৪৬
২০০৫–০৬ ৩৫১৩৫০
২০০৬–০৭ ৩৮১৩১০৫৪১৬
২০০৭–০৮ ৩২২০১০৪৫১৩২৩
২০০৮–০৯ ২২১১১০৩৩১৬
২০০৯–১০ ২৭১৫১৩৩৬১৯১৭
২০১০–১১ ২৫১১৩৬১৪
মোট ২১২৩৫৭৭৩০৬১১৭১৫৩০৩৫৭৯৮
বার্সেলোনা ২০১১–১২ লা লিগা ২৮১০১১৪৮১৫২০
২০১২–১৩ ৩২১১১১৪৮১৪১২
২০১৩–১৪ ২১১০৩৪১২১২
মোট ৮১২৭৩০২৫২৪১৩০৪১৪৪
ক্যারিয়ারে সর্বমোট ২৯৩৬২১০৭৫৫১৪১৪৮৫২২২০৪৩৩৯৮১৪২
২০০৮ সালের জানুয়ারিতে নিউকাসল ইউনাইটেডের বিপক্ষে একটি খেলার পূর্বে ফাব্রিগাস।

আন্তর্জাতিক

১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ অনুসারে।[8]

স্পেন জাতীয় ফুটবল দল
সালউপস্থিতিগোল
২০০৬১৪
২০০৭
২০০৮১৫
২০০৯১০
২০১০১১
২০১১
২০১২১৩
২০১৩১০
মোট৮৫১৩

সম্মাননা

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী রোদ্রিগেজ জাপাতেরো (বামে) এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের (ডানে) সাথে ফাব্রিগাস।

আর্সেনাল

বার্সেলোনা

জাতীয় দল

ব্যক্তিগত অর্জন

  • ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ স্বর্ণজুতা: ২০০৩
  • ফিফা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ স্বর্ণগোলক: ২০০৩
  • উয়েফা ইউরোপীয়ান অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ গোল্ডেন প্লেয়ার: ২০০৪
  • ব্রাভো এওয়ার্ড: ২০০৬
  • গোল্ডেন বয়: ২০০৬
  • উয়েফা বর্ষসেরা দল: ২০০৬, ২০০৮
  • প্রিমিয়ার লীগ মাসের সেরা খেলোয়াড়: জানুয়ারি ২০০৭, সেপ্টেম্বর ২০০৭
  • ইএসএম বর্ষসেরা দল: ২০০৭–০৮, ২০০৯–১০
  • পিএফএ বর্ষসেরা যুব খেলোয়াড়: ২০০৭–০৮
  • পিএফএ বর্ষসেরা দল: ২০০৭–০৮, ২০০৯–১০
  • উয়েফা ইউরো প্রতিযোগিতার সেরা দল: ২০০৮, ২০১২

সম্মানসূচক পদক

  • প্রিন্স অফ আস্তুরিয়াস পুরস্কার: ২০১০
  • রয়্যাল অর্ডার অফ স্পোর্টিং মেরিট স্বর্ণপদক: ২০১১[9]

আরো দেখুন


তথ্যসূত্র

  1. "Francesc Fabregas"। ইএসপিএনসকারনেট। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৩
  2. "Cuando todo era un sueño"। EL PAÍS। ১৬ মে ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৩
  3. Lowe, Sid (৩১ মার্চ ২০১০)। "Cesc Fàbregas faces the Barcelona Dream Team he left behind"দ্য গার্ডিয়ান। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৩
  4. "Cesc Fabregas"উয়েফা। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৩
  5. Sheringham, Sam (২ জুন ২০১০)। "The one that got away"। বিবিসি স্পোর্ট। সংগ্রহের তারিখ ৪ মে ২০১৩
  6. কাপের মধ্যে রয়েছে এফএ কাপ, লীগ কাপ এবং এফএ কমিউনিটি শিল্ড
  7. National-Football-Teams.com-এ সেস্‌ ফাব্রিগাস (ইংরেজি)
  8. "Royal Order of Sporting Merit 2011"মুন্দো দেপোর্তিভো। সংগ্রহের তারিখ ১১ নভেম্বর ২০১৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.