সুধীন দাশগুপ্ত

সুধীন দাশগুপ্ত (জন্ম: ৯ অক্টোবর ১৯২৯ - মৃত্যু: ১০ জানুয়ারি ১৯৮২) একজন খ্যাতিমান বাঙালি কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক বাঙালি সঙ্গীত পরিচালক। তিনি হিন্দি, অসমিয়া এবং ওড়িয়া প্রভৃতি বিভিন্ন ভারতীয় ভাষায় কাজ করেছিলেন। তার রচনা ও পরিচালনায় বাংলা আধুনিক গানে স্পন্দনের সৃষ্টি করে। পাশাপাশি বাংলা চলচ্চিত্রের গানে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিল।

সুধীন দাশগুপ্ত
স্থানীয় নামসুধীন দাশগুপ্ত
জন্ম নামসুধীন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত
আরো যে নামে
পরিচিত
সুধীন দাশগুপ্ত
জন্ম(১৯২৯-১০-০৯)৯ অক্টোবর ১৯২৯
দার্জিলিং, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমানে - ভারত)
উদ্ভবপশ্চিমবঙ্গ
মৃত্যু১০ জানুয়ারি ১৯৮২(1982-01-10) (বয়স ৫২)
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
ধরনচলচ্চিত্রের গান, আধুনিক গান
পেশাকণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সঙ্গীত পরিচালক
বাদ্যযন্ত্রসমূহকণ্ঠশিল্পী
কার্যকাল১৯৫০-১৯৮২

ব্যক্তিগত জীবন

সুধীন দাশগুপ্তের সাথে মনজুশ্রী দাশগুপ্ত

১৯২৯ সালের ৯ই অক্টোবর সুধীন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে, সুধীন দাশগুপ্ত নামেই সমধিক পরিচিতি পান। তিনি দার্জিলিংয়ে শৈশবকাল অতিবাহিত করেন।[1] তার পৈতৃক বাড়ি ছিল বাংলাদেশের যশোর জেলা 'কালিয়া' গ্রামে। তার বাবা মহেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত দার্জিলিং সরকারী বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ছিলেন এবং তার মা একজন সমাজকর্মী ছিলেন। সুধীন দাশগুপ্ত প্রথম থেকেই সংগীতে দক্ষ ছিলেন। তিনি সমান দক্ষতার সাথে বিভিন্ন ধরনের বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারতেন, যেমন সেতার, সরোদ, হারমোনিয়াম, পিয়ানো, ম্যান্ডোলিন, পিকলু, গিটার, বেহালা, এসরাজ ইত্যাদি। এ ছাড়া তবলা ও ড্রামে পারদর্শী ছিলেন।[2] তিনি রয়্যাল স্কুল অব মিউজিক লন্ডন থেকে সংগীতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।

সঙ্গীতযাত্রা

অল ইন্ডিয়া রেডিওতে স্টেশন মাস্টার হিসেবে সুধীন দাশগুপ্ত

১৯৫০ থেকে ১৯৭০-এর দশকগুলি বাংলা আধুনিক গানের পাশাপাশি বাংলা মৌলিক গানের স্বর্ণযুগ বলে বিবেচিত হয়। এই সময় গৌরী প্রসন্ন মজুমদার, শ্যামল গুপ্ত, প্রণব রায়, রবিন চট্টোপাধ্যায়, পবিত্র চিত্রোপাধ্যায়, অনোল চট্টোপাধ্যায়, অনুপম ঘটক, অনিল বাগচী, জ্ঞান প্রকাশ ঘোষ, সলিল চৌধুরী, নচিকেতা ঘোষ, হেমন্ত কুমার মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র, ভূপেন হাজারিকা এবং সুধীন দাশগুপ্ত প্রমূখ বিখ্যাত সংগীত পরিচালক এবং গীতিকারদের অবদানের মাধ্যমে বাংলা সংগীত সমৃদ্ধ হয়েছিল। তিনি তবলা, সেতার, পিয়ানো, হারমোনিয়াম, এসরাজ, বেহালা এবং অন্যান্য বিভিন্ন ভারতীয় এবং পাশ্চাত্য বাদ্যযন্ত্রগুলি দক্ষতার সাথে বাজাতে পাড়তেন।

প্রারম্ভিক দিনগুলি

সুধীন দাশগুপ্তকে পঞ্চাশের দশকের শেষেরদিকে গীতা দত্ত এবং গুরু দত্ত তাদের বোম্বের (মুম্বাই) প্রোডাকশন হাউসে যোগদান করবার জন্য আমন্ত্রণ করেছিলেন। সুবীর সেন এবং সুধীন দাশগুপ্ত মুম্বাইয়ের তারদেও সোনাওয়ালা ভবনে একসাথে থাকেন। এ সময় সুধীনবাবু একটি গান রচনা করেছিলেন "এতো সুর আর এতো গান", যা সুবীর সেন অনেক পরে রেকর্ড করেছিলেন।[3] ১৯৫৬ সালে সুবীর সেনের দ্বিতীয় রেকর্ডটিতে সুধীন দাশগুপ্তের দুটি রচনা "ঐ উজ্জ্বল দিন ডাকে স্বপ্ন রঙ্গীন" এবং "স্বর্ণঝরা সূর্যরঙে" মুক্তি পেয়েছিল। এই অমর সৃষ্টিগুলির সুরকার এবং গীতিকারক সুধীন দাশগুপ্তকে বিখ্যাত করে তুলেছিল এবং বাংলা গানের জগতে তার জন্য একটি স্থায়ী জায়গা করে দিয়েছিল।[4]

তথ্যসূত্র

  1. "পূর্ব-পশ্চিম মিলেছিল তাঁর সুরে"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০২-২৪
  2. "Subir Sen Interview: Part 1: KOLKATA GAAN"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২৩
  3. "সম্পাদক সমীপেষু: প্রথম রেকর্ড অন্য"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১১-২৩

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.