সিরিল ভিনসেন্ট
সিরিল লেভারটন ভিনসেন্ট (ইংরেজি: Cyril Vincent; জন্ম: ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯০২ - মৃত্যু: ২৪ আগস্ট, ১৯৬৮) ট্রান্সভাল প্রদেশের জোহেন্সবার্গে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। এছাড়াও, প্রশাসনিক ক্ষেত্রেও সমান ভূমিকা রেখে গেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন সিরিল ভিনসেন্ট। ১৯২৭ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
![]() ১৯৩১ সালে সিরিল ভিনসেন্ট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | ১ ফেব্রুয়ারি ১৯০২|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৪ আগস্ট ১৯৬৮ ৬৬) জোহেন্সবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকা | (বয়স|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট-আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ১১৮) | ২৪ ডিসেম্বর ১৯২৭ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ১৭ আগস্ট ১৯৩৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৬ আগস্ট ২০১৭ |
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গটেংয়ের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বোলারের ভূমিকায় পালন করতেন। স্লো বামহাতি অর্থোডক্স বোলিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে কার্যকরী ব্যাটিংয়ের দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন তিনি।
খেলোয়াড়ী জীবন
১৯২০-২১ মৌসুম থেকে ১৯৪২-৪৩ মৌসুম পর্যন্ত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে গটেংয়ের পক্ষে খেলেছেন। পর্যাপ্ত সময় না থাকায় কারি কাপের মাত্র দুই খেলায় অংশ নিতে পেরেছেন। একনাগাড়ে দীর্ঘ সময় ধরে বোলিং করার সক্ষমতার জন্য পরিচিত ছিলেন তিনি। ১৯২৭ থেকে ১৯৩৫ সময়কালে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে ২৫ টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পান।[1] ২৪ ডিসেম্বর, ১৯২৭ তারিখে জোহেন্সবার্গে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে। ১৭ আগস্ট, ১৯৩৫ তারিখে একই দলের বিপক্ষে ওভাল টেস্টে সর্বশেষ অংশ নেন।
১৯২৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেন। পাঁচ টেস্ট নিয়ে গড়া সিরিজে কেবলমাত্র দ্বিতীয় টেস্টে তার আঘাতপ্রাপ্তির কারণে কুইন্টিন ম্যাকমিলানের টেস্ট অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। সিরিল ভিনসেন্ট সুস্থ হয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ টেস্টে অংশ নেন। এ সফরের শুরুরদিকের খেলাগুলোর মধ্যে গ্ল্যামারগনের বিপক্ষে দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাকমিলান ৫/৩৬ বোলিং পরিসংখ্যান গড়লেও ভিনসেন্ট খেলায় ৮৯ রান খরচায় এগারো উইকেট লাভ করেছিলেন।[2]
১৯৩০-৩১ মৌসুমে নিজস্ব সেরা বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান ৬/৫১। এরফলে ডারবানে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। ১৯৩৫ সালে হেডিংলি টেস্টে ৮/১৪৯ তুলে খেলায় ব্যক্তিগত সেরা বোলিং গড়েন।
ব্যক্তিগত জীবন
খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার দল নির্বাচকমণ্ডলীর সভাপতি মনোনীত হন। ২৪ আগস্ট, ১৯৬৮ তারিখে ৬৬ বছর বয়সে নাটাল প্রদেশের ডারবানের বুলওয়ার এলাকায় সিরিল ভিনসেন্টের দেহাবসান ঘটে।
তথ্যসূত্র
- "Cyril Vincent"। www.cricketarchive.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০১-১২।
- "Scorecard: Glamorgan v South Africans"। www.cricketarchive.com। ১৮ মে ১৯২৯। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে সিরিল ভিনসেন্ট
(ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে সিরিল ভিনসেন্ট
(সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)