সিরিয়ার ইতিহাস
বর্তমান সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্রে সংঘটিত ঘটনাবলি অথবা বৃহত্তর সিরিয়ায় সংঘটিত ঘটনাবলি উভয়ই সিরিয়ার ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত। এই নিবন্ধে প্রথমটির উপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
সিরিয়ার ইতিহাস |
---|
ধারাবাহিকের একটি অংশ |
![]() |
Prehistory |
|
Bronze Age |
|
Antiquity |
|
Middle Ages |
|
Early modern |
|
Modern |
|
Timeline |
![]() |
বর্তমান সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্র যে অঞ্চল জুড়ে গঠিত তা সর্বপ্রথম খ্রিস্টপূর্ব দশম শতাব্দীতে নব্য অ্যাসিরিয়ান সাম্রাজ্যের অধীনে একীভূত হয়। এই সাম্রাজ্যের রাজধানী ছিল আশুর। সম্ভবত এ থেকেই সিরিয়া নামটির উৎপত্তি। পরবর্তীতে বিভিন্ন শাসক এই অঞ্চলটি দখল করেন এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ এতে বসবাস করে। ১৯৪৫ সালের ২৪ অক্টোবর সিরিয়ার সরকার জাতিসংঘ সনদে স্বাক্ষর করে। এর ফলে ফ্রান্সের জারিকৃত ও লিগ অফ নেশনস কর্তৃক আরোপিত "সিরিয়ার জনগণকে প্রশাসনিক উপদেশ এবং সহযোগিতা দেয়ার" আদেশনামা রদ হয়ে যায়। সিরিয়া প্রথমবারের মতো স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ১৯৫৮ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি সিরিয়া মিশরের সাথে একীভূত হয় এবং সংযুক্ত আরব প্রজাতন্ত্র গঠন করে। উভয় দেশে গণভোটের মাধ্যমে প্রস্তাবটি সমর্থিত হয়। ১৯৬১ সালে সিরিয়া এই প্রজাতন্ত্র থেকে আলাদা হয়ে আসে এবং তার স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করে। সিরিয়ান আরব প্রজাতন্ত্র ১৯৬৩ সাল থেকে বা'থ পার্টি দ্বারা শাসিত হয়ে আসছে। এই দলটি ১৯৭০ সাল থেকে শুধুমাত্র আসাদ পরিবার দ্বারা পরিচালিত। বর্তমানে সিরিয়া সিরিয়ান গৃহযুদ্ধের বিভিন্ন বিরোধী দলের অধীনে বিভক্ত।
প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস

সবচেয়ে প্রাচীন যে ধ্বংসাবশেষ সিরিয়াতে পাওয়া যায় তা প্রত্নপ্রস্তর যুগীয় (খ্রিস্টপূর্ব ৮০০,০০০ অব্দ)। ১৯৯৩ সালের ২৩ আগস্ট জাপান ও সিরিয়ার একটি যৌথ খননকারী দল দামাস্কাসের প্রায় ৪00 কিলোমিটার উত্তরে ডেডেরিয়েহ গুহায় প্রত্নপ্রস্তরযুগীয় মানুষের দেহাবশেষের জীবাশ্ম আবিষ্কার করে। এই বিশাল গুহায় একটি নিয়ানডার্থাল শিশুর হাড় পাওয়া যায়। ধারণা করা হয় শিশুটির বয়স ২ বছর এবং সে মধ্য প্রত্নপ্রস্তর যুগে (আনুমানিক ২০০,০০০ থেকে ৪০,০০০ বছর আগে) বসবাস করত। যদিও এর আগে অনেক নিয়ানডার্থাল হাড় আবিষ্কৃত হয়েছিল, এই প্রথমবার একটি শিশুর প্রায় সম্পূর্ণ কঙ্কাল অবিকৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।[1]
প্রত্নতাত্ত্বিকেরা দেখিয়েছেন যে সিরিয়ান সভ্যতা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীন সভ্যতাগুলোর একটি। সিরিয়া উর্বর চন্দ্রকলা নামে পরিচিত অঞ্চলের অংশ। এটি খ্রিস্টপূর্ব ১০০০০ অব্দ থেকে নব্যপ্রস্তর (পি.পি.এন.এ) সংস্কৃতির একটি কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠে। পৃথিবীতে চাষাবাদ ও গবাদি পশু পালন এখানেই সর্বপ্রথম দেখা যায়। মুরেইবেত সংস্কৃতির চতুষ্কোণ ঘর দ্বারা নব্যপ্রস্তর যুগ (পি.পি.এন.বি) চিহ্নিত হয়। নব্যপ্রস্তর যুগের শুরুতে মানুষ পাথর, জিপসাম ও পোড়া চুন দিয়ে তৈরী পাত্র ব্যবহার করত। আনাতোলিয়ার অবসিডিয়ান যন্ত্রের অবশেষ প্রাচীন ব্যবসায়িক সম্পর্কের প্রমাণ দেয়। নব্যপ্রস্তর যুগে এবং ব্রোঞ্জ যুগে হামোকার ও ইমার শহর দুটির প্রচুর উন্নতি হয়।
প্রাচীন প্রাচ্য
টেমপ্লেট:Main articles
১৯৭৫ সালে উত্তর সিরিয়ার ইদলিবের নিকটে এবলার ধ্বংসাবশেষ আবিষ্কৃত হয় এবং খনন করা হয়। এবলা একটি পূর্ব সেমিটিকভাষী শহর-রাষ্ট্র যা খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দে স্থাপিত হয়। খ্রিস্টপূর্ব ২৫০০ থেকে ২৪০০ অব্দে এবলা উন্নতির শীর্ষে ছিল। সম্ভবত এটি এ সময় উত্তরে আনাতোলিয়া, পূর্বে মেসোপটেমিয়া এবং দক্ষিণে দামাস্কাস পর্যন্ত একটি সাম্রাজ্য নিয়ন্ত্রণ করত। এবলা সুমের, আক্কাদ ও অ্যাসিরিয়া নামক মেসোপটেমিয়ান রাষ্ট্রগুলোর পাশাপাশি উত্তর-পশ্চিমের জনগণের সাথে বাণিজ্যে নিযুক্ত ছিল।[2] খননকাজের সময় ফারাওদের কাছ হতে প্রাপ্ত উপহার খুঁজে পাওয়া যায়। এ থেকে মিশরের সাথে এবলার যোগাযোগ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন এবলার ভাষা পূর্ব সেমিটিক মেসোপটেমিয়ার আক্কাদীয় ভাষার সাথে সম্পর্কযুক্ত।[3] এটি প্রাচীনতম লিখিত ভাষাগুলোর মধ্যে একটি।[2]
খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় সহস্রাব্দ থেকে সুমেরীয়, এবলাইট, আক্কাদীয়, অ্যাসিরিয়, মিশরীয়, হিট্টি, হুরীয়, মিটানি, অ্যামোরাইট ও ব্যবিলনীয়রা সিরিয়াকে পর্যায়ক্রমে দখল করে ও এর জন্য যুদ্ধ করে।[2]


খ্রিষ্টপূর্ব ২৩৩০ অব্দের দিকে আক্কাদের সারগন এবলা জয় করেন এবং এবলা মেসোপটেমিয়ার আক্কাদীয় সাম্রাজ্যের (২৩৩৫-২১৫৪ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) অন্তর্ভুক্ত হয়। কয়েক শতাব্দী পরে শহরটির পুনরুত্থান ঘটে উত্তর-পশ্চিম সেমিটিকভাষী অ্যামোরাইট জাতির অংশ হিসেবে। খ্রিষ্টপূর্ব দ্বিতীয় সহস্রাব্দের শুরুতে ইন্দো-ইউরোপিয়ান হিট্টিদের দ্বারা দখল হওয়ার আগ পর্যন্ত এর উন্নতি ঘটতে থাকে।[4] মেসোপটেমিয়ার সুমেরীয়, আক্কাদিয় ও অ্যাসিরিয়রা খ্রিষ্টপূর্ব ২৪ শতাব্দী থেকে এ অঞ্চলটিকে মার.টু অথবা আমুরুদের ভূমি (অ্যামোরাইট) বলে অভিহিত করে।
খ্রিস্টপূর্ব দ্বাবিংশ হতে অষ্টাদশ শতাব্দীর মধ্যে নব্য-সুমেরীয় সাম্রাজ্য, আদি অ্যাসিরিয় সাম্রাজ্য এবং ব্যাবিলনিয় সাম্রাজ্য সিরিয়ার অংশবিশেষ নিয়ন্ত্রণ করত।
খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চদশ হতে ত্রয়োদশ শতাব্দীর মধ্যে হিট্টি, মিশরীয়, অ্যাসিরিয় ও মিটানি সাম্রাজ্য অঞ্চলটির অধিকারের জন্য লড়াই করে। অবশেষে মধ্য অ্যাসিরিয় সাম্রাজ্য (১৩৬৫-১০৫০ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ পায়।
খ্রিস্টপূর্ব একাদশ শতাব্দীর শেষের দিকে যখন মধ্য অ্যাসিরিয় সাম্রাজ্য দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করে, ক্যানানাইট ও ফিনিশিয়রা সামনে এগিয়ে আসে এবং উপকূল দখল করে নেয়। আরামীয় এবং সুতীয়রা মধ্যবর্তী অঞ্চলগুলো থেকে অ্যামোরাইটদেরকে উচ্ছেদ করে। ব্রোঞ্জ যুগের পতন এবং সমুদ্র মানবদের আবির্ভাবের সাথে যে ভাঙন এবং পরিবর্তনের জোয়ার এসেছিল এ তারই অংশ। এ সময় সিরিয়ার বেশিরভাগ অংশ এবের নারি ও আরামিয়া নামে পরিচিত হয়ে উঠে।
খ্রিস্টপূর্ব দশম শতাব্দী হতে নব্য-অ্যাসিরিয় সাম্রাজ্যের (৯৩৫-৬০৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) উত্থান ঘটে। পরবর্তী তিন শতাব্দী ধরে, অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীর শেষ পর্যন্ত সিরিয়া অ্যাসিরিয়া দ্বারা শাসিত হয়। পুরো সময়কাল জুড়ে এটি এবের নারি ও আরাম নামে পরিচিত ছিল। এই সময়কাল হতেই সিরিয়া নামটি প্রথম আবির্ভূত হয়। নামটি বর্তমান সিরিয়ার সাথে সম্পর্কযুক্ত নয়, বরং অ্যাসিরিয়ার একটি ইন্দো-ইউরোপীয় বিকৃতি, যা বর্তমান উত্তর ইরাক, উত্তর-পূর্ব সিরিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্ক এবং উত্তর-পশ্চিম ইরান জুড়ে অবস্থিত। (দেখুন সিরিয়া)
এই সাম্রাজ্য পতনের পর কিছু সময় ধরে নব্য-ব্যাবিলনীয় সাম্রাজ্যের (৬১২-৫৩৯ খ্রিস্টপূর্বাব্দ) সাথে সাথে মেসোপটেমিয় আধিপত্য চালু থাকে। তারা প্রায় ৭০ বছরের মতো এলাকাটি শাসন করেছিল।
ধ্রুপদী সভ্যতা
পারস্যের সিরিয়া
৫৩৯ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পারস্যের আকিমেনিড রাজবংশের রাজা সাইরাস দ্য গ্রেট সিরিয়াকে তার সাম্রাজ্যের অংশ করে নেন। ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে সিরিয়ার অবস্থান, এর নৌবহর এবং প্রচুর বনসম্পদের কারণে পারস্য জাতি এ অঞ্চলটি শাসন করার সময় উদার নীতি গ্রহণ করে। এর ফলে দেশী ফিনিশিয়দের উপর আরোপিত কর ছিল অনেক কম। মিশরের বাৎসরিক ৭০০ ট্যালেন্ট করের তুলনায় তাদের বাৎসরিক শুধুমাত্র ৩৫০ ট্যালেন্ট কর দিতে হত। উপরন্তু সিরিয়ানদের তাদের নিজেদের শহরগুলো শাসন করার অধিকার দেয়া হয়েছিল। সেখানে তারা তাদের নিজস্ব ধর্ম পালন করত, তাদের নিজস্ব ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করত এবং ভূমধ্যসাগর উপকূলের সর্বত্র কলোনি প্রতিষ্ঠা করেছিল। সিরিয়ার প্রাদেশিক শাসকেরা দামাস্কাস, সিডন অথবা ট্রিপোলিতে বসবাস করত।
৫২৫ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে পেলুসিয়ামের যুদ্ধের পর দ্বিতীয় ক্যাম্বাইসেস মিশর জয় করে নেন। পরবর্তীতে তিনি সিওয়া ওয়েসিস ও কার্টহেজে অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ফিনিশিয়রা তাদের স্বজাতির বিরুদ্ধে কাজ করতে অসম্মত হওয়ায় তার চেষ্টা বৃথা যায়।
পরবর্তীতে প্রথম জারজেসের গ্রিস আক্রমণের সময় ফোনেশীয়রা প্রচুর অবদান রাখে। আরওয়াদ তার নৌবহর দিয়ে এ অভিযানটিকে সহায়তা করেছিল। পদাতিক সৈন্যরা বসফরাস অতিক্রম করার জন্য একটি সেতু নির্মাণ করে যাতে জারজেসের সেনারা গ্রিসের মূল ভূখন্ডে প্রবেশ করতে পারে।
তৃতীয় আর্টাজারজেসের শাসনামলে সিডন, মিশর ও এগারটি ফিনিশিয় শহর পারস্যের শাসকদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা শুরু করে। এই বিদ্রোহগুলো কঠোরভাবে দমন করা হয়। সিডনকে তার অধিবাসীদেরসহ জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।[5]
হেলেনীয় সিরিয়া

৩৩৩ থেকে ৩৩২ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে প্রাচীন আইসাস শহরের দক্ষিণে আইসাসের যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এটি বর্তমান তুরস্কের ইস্কেন্দেরুন শহরের নিকটে অবস্থিত। এই যুদ্ধে মেসিডোনিয়ান গ্রিক রাজা আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটের জয়ের সাথে সাথে পারস্যের আধিপত্যের সমাপ্তি ঘটে। পরবর্তীতে জেনারেল সেলুকাস সিরিয়াকে সেলুকিড সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করে নেন। তিনিই প্রথম সিরিয়ার সম্রাট উপাধি ব্যবহার করা শুরু করেন এবং তার পরবর্তী সেলুকিড রাজারা তা অব্যাহত রাখেন। এই সাম্রাজ্যের রাজধানী (৩১২ খ্রিস্টপূর্বাব্দে প্রতিষ্ঠিত) অ্যান্টিওকে অবস্থিত ছিল। এটি তৎকালীন ঐতিহাসিক সিরিয়ার অংশ হলেও বর্তমান তুরস্কের সীমানার ঠিক ভিতরে অবস্থিত।
খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় ও দ্বিতীয় শতাব্দীতে সেলুকিড সাম্রাজ্য এবং মিসরের টলেমিক সাম্রাজ্যের মধ্যে ছয়টি যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই সিরিয়ান যুদ্ধগুলো কোল-সিরিয়া নামক অঞ্চলের অধিকারের জন্য হয়েছিল। এটি ছিল মিশরে প্রবেশের কয়েকটি পথের একটি। এই সংঘর্ষগুলোর ফলে উভয় সাম্রাজ্যের মানবসম্পদ ও বস্তুগত সম্পদ শেষ হয়ে যায়। পরিণামে রোম ও পার্থিয়া তাদের ধ্বংস করে ও রাজ্যদ্বয় জয় করে নেয়। পার্থিয়ান সাম্রাজ্যের রাজা দ্বিতীয় মিথ্রিডেট ১১৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে দুরা-ইউরোপোস দখল করার মাধ্যমে আরো পশ্চিমে তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেন।[6]
খ্রিষ্টপূর্ব ১০০ অব্দের দিকে একসময়ের সমীহ জাগানো সেলুকিড সাম্রাজ্য হয়ে পড়েছিল একেবারেই ছোট। এন্টিওক ও কিছু সিরিয়ান শহর বেষ্টন করে ছিল তার অবস্থান। ৮৩ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে সেলুকিডরা সিরিয়ার সিংহাসনের জন্য এক রক্তাক্ত যুদ্ধ পরিচালনা করে। অতঃপর সিরিয়ানরা আর্মেনিয়ার রাজা টাইগ্রেইন দ্য গ্রেটকে তাদের রাজ্যের রক্ষাকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করে এবং তাকে সিরিয়ার রাজমুকুট প্রদান করে।[7]
- http://www.kochi-tech.ac.jp/akazawa/english/body.html
- "Syria: A country Study – Ancient Syria"। Library of Congress। ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭।
- "The Aramaic Language and Its Classification" (PDF)। Journal of Assyrian Academic Studies। 14 (1)।
- Relations between God and Man in the Hurro-Hittite Song of Release, Mary R. Bachvarova, Journal of the American Oriental Society, Jan–Mar SAAD 2005
- Bounni, Adnan। "Achaemenid: Persian Syria 538-331 BCE. Two Centuries of Persian Rule"। Iran Chamber Society। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭।
- Curtis 2007, পৃ. 11–12
- Manaseryan, Ruben (১৯৮৫)। "Տիգրան Բ [Tigran II]"। Armenian Soviet Encyclopedia (আর্মেনিয় ভাষায়)। 11। Yerevan: Armenian Encyclopedia Publishing। পৃষ্ঠা 697–698।