সর্বত্রেশ্বর শিবমন্দির
সর্বত্রেশ্বর শিব মন্দির ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ভুবনেশ্বরে অবস্থিত একটি শিবমন্দির।[1] মন্দিরটি শিশুপালগড়ের দিকে যাওয়া লুইস রাস্তার শাখা মহাবীর লেনের ডানপাশে অবস্থিত। বৃত্তাকার যোনিপীঠের উপর অধিষ্ঠিত শিবলিঙ্গ এই মন্দিরের আরাধ্য দেবতা। মন্দিরটি এখনো সচল আছে এবং বর্তমান প্রধান পুরোহিতের নাম বিভূতিভূষণ দাস। গাঙ্গুয়া জলধারার ডান তীরে মন্দির সীমানা অবস্থিত।
সর্বত্রেশ্বর শিবমন্দির | |
---|---|
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | হিন্দুধর্ম |
শ্বর | সর্বত্রেশ্বর |
অবস্থান | |
অবস্থান | Bhubaneswar |
রাজ্য | ওড়িশা |
দেশ | ভারত |
![]() ![]() ওড়িশায় অবস্থান | |
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক | ২০°১৪′৩৫″ উত্তর ৮৫°৫১′২৪″ পূর্ব |
স্থাপত্য | |
ধরন | কলিঙ্গ স্থাপত্যশৈলী |
সম্পূর্ণ হয় | ১০ শতক |
উচ্চতা | ১৮ মি (৫৯ ফু) |
বর্ণনা
সর্বত্রেশ্বর শব্দের অর্থ তিনি সব স্থানের ঈশ্বর। মন্দিরটির দেখাশোনার দায়িত্বে আছে গড় মহাবীর উন্নয়ন পরিষদ। পরিষদের সভাপতি প্রতাপ কুমার মহাপাত্র এবং সেক্রেটারি বিভূতিভূষণ দাস।
মন্দিরটির স্থাপত্যধারা থেকে ধারণা করা হয় যে এটা সম্ভবত দশম শতকের কাজ। মন্দিরটি পিধা দেউল ধরনের।
স্থানীয় জনশ্রুতি অনুযায়ী মন্দিরটি ছেদি শাসক খারাভেলা নির্মাণ করেন যিনি ১ম শতকে কলিঙ্গদেশ শাসন করতেন।
বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবাদি যেমন জগর, রাজা সংক্রান্তি এখানে পালিত হয়। এছাড়া বিবাহআসর, পৈতাধারণ, জন্মদিন পালন এবং সমাবেশ ইত্যাদির আয়োজন করা হয়ে থাকে।
মন্দিরটির ১০০ মিটার পূর্বে প্রাচীন দুর্গ শিশুপালগড় অবস্থিত এবং ১০০০ মিটার দূরে মদনেশ্বর শিবমন্দির অবস্থিত।
স্থাপত্যশৈলী
মন্দিরটি পূর্বমুখী। মন্দিরটিতে ৫.২০ বর্গমিটারের একটি বর্গাকার বিমান আছে যার সামনের পোর্চ ০.৯০ মিটার। বিমানটি পঞ্চরথ। নিচ থেকে উপর পর্যন্ত মন্দিরটি বড়, গান্দি এবং মস্তক অংশে বিভক্ত। জঙ্গ অংশ ০.৮৪ মিটারের তলজঙ্ঘ এবং ০.৮০ মিটারের উপরজঙ্ঘ নিয়ে গঠিত। এই দুটি অংশ ০.২৪ মিটারের বন্ধন দ্বারা পৃথক করা হয়েছে। বারান্দার পরিমাপ ০.৪০ মিটার।
পূর্বদিকের কুলুঙ্গিতে চারহাত যুক্ত কার্তিক আছে যার প্রধান ডান হাতে ধনুক ও বামহাতে অভয়মুদ্রা এবং উপরের বাম হাতে নাগপাশ ও ডান হাতে তীর ধরা। উত্তরের কুলুঙ্গিতে চারহাতযুক্ত পার্বতী সিংহের পিঠে বসা যার ডান হাতে অভয়মুদ্রা এবং বামহাতে পদ্ম ধরা। দক্ষিণের কুলুঙ্গিতে চারহাতের গণেশমূর্তি আছে। যার প্রধান বামহাতে লাড়ু এবং অন্যহাতে দাঁত ধরা। উপরে বামহাতে পরশু এবং ডান হাতে অক্ষমালা ধরা। তার মাথায় জটামুকুট।
সিমেন্ট আস্তরণ দেওয়ায় মন্দিরটি দেখতে সাধারণ ধরনের। দরজার চৌকাঠ ১.৯৫ মিটার উঁচু এবং ০.৯০ মিটার চওড়া। মন্দিরটি ধূসর চুনাপাথরে কলিঙ্গ শৈলীতে নির্মিত।
সংরক্ষণ
১৯৮০ সালে স্থানীয় জনগণ মন্দিরটি সংস্কার করে। বর্তমানে মন্দিরটি রক্ষণাবেক্ষণ করে পরিষদ।
তথ্যসূত্র
- Lesser Known Monuments of Bhubaneswar by Dr. Sadasiba Pradhan (আইএসবিএন ৮১-৭৩৭৫-১৬৪-১)