তালেশ্বর শিবমন্দির

তালেশ্বর শিব মন্দির ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ভুবনেশ্বরে অবস্থিত একটি হিন্দু মন্দির।

তালেশ্বর শিব মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
শ্বরশিব
অবস্থান
অবস্থানভুবনেশ্বর
রাজ্যওড়িশা
দেশভারত
ওড়িশাতে অবস্থান
ভৌগোলিক স্থানাঙ্ক২০°১৫′২″ উত্তর ৮৫°৫০′২৯″ পূর্ব
স্থাপত্য
ধরনকলিঙ্গ স্থাপত্যশৈলী
সম্পূর্ণ হয়৮ম শতক
উচ্চতা২২ মি (৭২ ফু)

অবস্থান

তালেশ্বর শিব মন্দির ভুবনেশ্বরের পুরাতন শহরের পরশুরামেশ্বর মন্দির থেকে বেতাল মন্দিরে যাওয়ার পথে কেদার গৌরী রাস্তার বাম দিকে অবস্থিত। মন্দিরটির ৯০ মি. পশ্চিমে কেদারগৌরী মন্দির, ২০০ মি. উত্তরে অনন্তবাসুদেব মন্দির এবং ৫০ মি. পূর্বে উত্তরেশ্বর মন্দির অবস্থিত। মন্দিরটি পূর্বমুখী। মন্দিরটির অধিষ্ঠাতা দেবতা চক্রাকার যোনীপিঠের উপর শিবলিঙ্গ। বর্তমান মন্দিরটি পুরোটাই সংস্কারসাধন করা হয়েছে।

ইতিহাস

মন্দিরটি এককমালিকানাধীন এবং বর্তমানে শ্রী সুদর্শন পান্ডা এবং তার পরিবার এটা দেখাশুনা করেন। তিনি কেদার গৌরী চকে বাস করেন।

মন্দিরটির নির্মাণশৈলী থেকে ধারণা করা হয় এটা অষ্টম শতকে নির্মিত।

স্থাপত্যশৈলী

মন্দির ভবনটি রেখা দেউল ধরনের কিন্তু বর্তমানে এর উপরিকাঠামোর কোন অস্তিত্ব নেই। মন্দির চত্বরটি ল্যাটেরাইট ব্লক দিয়ে ঘেরা। মন্দির চত্বরের দেয়ালের পরিমাপ হচ্ছে ৩২ মিটার দৈর্ঘ্যে, ১৬.৬০ মি. প্রস্থে, ২.০০৩৯৮ মি. উঁচু এবং গড়ে ০.৩০ মিটার পুরু। দক্ষিণ পূর্ব কোণায় একটি পাথরে বাধানো প্রাচীন কুয়া আছে যা বিমান থেকে ৬ মি. দূরে অবস্থিত। কুয়াটির মুখের পরিমাপ ২.৬ বর্গমিটার।

মন্দিরটি নিচু বর্গাকার বেদীর উপর দাঁড়িয়ে আছে যার পরিমাপ ৩.৫০ বর্গমিটার এবং উচ্চতা ০.৪৫ মিটার। মন্দিরটিতে তিন বর্গমিটারের একটি বিমান আছে। মন্দিরটির তলা থেকে উপর পর্যন্ত একটাই বড়া অংশ আছে। এতে মস্তক অনুপস্থিত। ২.২০ মি. বড়’র তিনটি অংশ পভগ (০.৬৫মি.) , জঙ্ঘ (১.৩০ মি.) এবং বারান্দা (০.২৫ মি.)।

তিনপাশে কুলুঙ্গি আছে যার প্রতিটির পরিমাপ ০.৮৫ মি. উচ্চতা, ০.৪৫ মি. প্রস্থ এবং ০.২৪ মি. চওড়া। এগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ের ক্ষুদ্র মূর্তি রাখা আছে। মন্দিরের সব থেকে আকর্ষণীয় দেবতা হচ্ছে অজ-একপদ ভৈরব উত্তরের দেয়ালের একটি পার্শ্ব কুলুঙ্গিতে রাখা আছে। দেবতার উপরের ডান হাতে তীর এবং বাম হাতে ত্রিশূল ধরা। নিচের ডান হাতে বারদা মুদ্রা এবং বাম হাতে জপমালা ধরা। দেবতার মাথায় জটামুকুট পরা। কুলুঙ্গির ডান কোনায় একটি পুরুষ মূর্তি অঞ্জলী মুদ্রায় বসে আছে।

মন্দিরের বড় চৈত্য মোটিফে অলংকৃত ছিলো। পভগ অংশের খুরা অংশ সাধারণ, খুম্বা অংশ হাতি, সিংহ দিয়ে সজ্জিত এবং পাতা অংশ চৈত্য মোটিফে সজ্জিত।

দরজার চৌকাঠ ১.৮০ মি. এবং ১.১৫ মি. চওড়া। চৌকাঠের নিচে দ্বারপাল কুলুঙ্গি আছে যেখানে রক্ষী দ্বারপাল অধিষ্ঠান করছে। ডান পাশের কুলুঙ্গিতে চার হাত যুক্ত দ্বারপালের হাতে অক্ষমালা, পদ্ম ডাঁটা, ত্রিশুল এবং বারদা মুদ্রা শোভা পাচ্ছে। মূর্তিটি উপবীত, পদ্ম কুণ্ডল এবং জটামুকুট পরে আছে। দ্বারপালের কাছে দুটি পুরুষ মূর্তি আছে। একজন ত্রিশুলের ডান্ডা ভালোভাবে ধরে আছে এবং অন্যজন অঞ্জলি মুদ্রায় বসে আছে। বাম পাশের অংশ নতুন সংযোজন যা খুবই সাধারণ। দ্বারপাল কুলুঙ্গির পিছে নদীদেবী কুলুঙ্গি যেখানে যমুনা আছে যার মাথায় একজন নারী ছাতা ধরে আছে। ললাটবিম্বতে গজলক্ষ্মী পদ্মাসনে বসে আছে যার উভয়পাশে পূর্ণফোটা পদ্মের উপরে দুটি হাতি দাঁড়িয়ে আছে। দেবীর ডান হাতে পদ্মকুড়ি এবং বাম হাতে বারদামুদ্রা।

চৌকাঠের উপরে ১.৬৫ মি. উপবৃত্তে অষ্টগ্রহ পদ্মাসনে বসে আছেন। এখানে কেতু অনুপস্থিত। মন্দির। মন্দিরটি বর্তমানে পূজা অর্চনার কাজে ব্যবহৃত হয়। পূর্বে এর ব্যবহার সম্পর্কে কোন তথ্য পাওয়া যায় না। সাম্প্রতিক সংস্কারকাজের আগে এটা ধ্বংসাবশেষ ছিলো।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

    বহিঃসংযোগ

    This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.