লিয়েন্ডার পেজ

লিয়েন্ডার পেজ (পুরো নাম লিয়েন্ডার আর্দ্রিয়ান পেজ)(জন্ম জুন ১৭, ১৯৭৩) একজন ভারতীয় টেনিস খেলোয়াড়। তার জন্ম কলকাতা ১৯৭৩ সালের ১৭ ই জুন। বড় হয়েছেন কলকাতায় । মা জেনিফার পেজ ছিলেন নামকরা বাস্কেটবল খেলোয়াড় ১৯৮০ এশীয় বাস্কেটবল লড়াইতে ভারতীয় দলের নেতৃত্ব দেন । বাবা ভাস পেজ হকি খেলোয়াড় ব্রোঞ্জপদক জয়ী ১৯৭২ মিউনিখ অলিম্পিক দলের সদস্য। লিয়েন্ডার পেইজ তার মায়ের দিক থেকে বাঙালি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের বংশধর।

লিয়েন্ডার পেজ
দেশ ভারত
বাসস্থানমুম্বাই, মহারাষ্ট্র
জন্মস্থান (1973-06-17) জুন ১৭, ১৯৭৩
কলকাতা,পশ্চিমবঙ্গ, ভারত
উচ্চতা১.৭৮ মিটার (৫ ফুট ১০ ইঞ্চি)
পেশাদারীর সময়১৯৯১
খেলার ধরণডানহাতি
পুরস্কারের মূল্যমান$৭,৫৯৭,৫৩৪
একক
খেলোয়াড়ী  রেকর্ড৯৯-৯৮
শিরোপা
সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং৭৩ নং (২৪ আগষ্ট, ১৯৯৮)
গ্র্যান্ড স্ল্যাম এককের ফলাফল
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনদ্বিতীয় রাউন্ড (১৯৯৭, ২০০০)
ফ্রেঞ্চ ওপেনদ্বিতীয় রাউন্ড (১৯৯৭)
উইম্বলেডনদ্বিতীয় রাউন্ড (২০০১)
ইউএস ওপেনতৃতীয় রাউন্ড (১৯৯৭)
অন্যান্য প্রতিযোগিতা
অলিম্পিক গেমস ব্রোঞ্জ (১৯৯৬)
দ্বৈত
খেলোয়াড়ী  রেকর্ড৬৫৫–৩৪০
শিরোপা৫৫
সর্বোচ্চ র‌্যাঙ্কিং১নং (২১শে জুন, ১৯৯৯)
বর্তমান র‌্যাঙ্কিং২৯ নং (৩১শে আগস্ট, ২০১৫)
গ্র্যান্ড স্ল্যাম দ্বৈতের ফলাফল
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন'জয় (২০১২)
ফ্রেঞ্চ ওপেনজয় (১৯৯৯, ২০০১, ২০০৯)
উইম্বলেডনজয় (১৯৯৯)
ইউএস ওপেনজয় (২০০৬, ২০০৯, ২০১৩)
অন্যান্য দ্বৈত প্রতিযোগিতা
Tour FinalsF (1997, 1999, 2000, 2005)
অলিম্পিক গেমসচতুর্থ (২০০৪)
মিশ্র দ্বৈত
Career titles
গ্র্যান্ড স্ল্যাম মিশ্র দ্বৈতের ফলাফল
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনজয় (২০০৩, ২০১০ ২০১৫
ফ্রেঞ্চ ওপেনফাইনাল (২০০৫)
উইম্বলেডনজয় (১৯৯৯, ২০০৩, ২০১০ ২০১৫)
ইউএস ওপেনজয় (২০০৮২০১৫)
Other Mixed Doubles tournaments
Olympic Gamesকোয়ার্টার ফাইনাল (২০১২)
সর্বশেষ হালনাগাদকরণ: ৯ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩
লিয়েন্ডার পেজের স্বাক্ষর

১৯৮৫ এ লিয়েন্ডার মাদ্রাজের ব্রিটানিয়া টেনিস আকাডেমীতে যোগ দেন । ১৯৯১ লিয়েন্ডার পেজ প্রথম জয় লাভ করেন ইউএস ওপেন ও জুনিয়ার উইম্বলেডন। তিনি পেশাদার হিসেবে ১৯৯১ সালে আত্নপ্রকাশ করেন । একই বছর ১৯৯২ সালে তিনি রমেশ কৃষ্ণনর সাথে বার্সেলোণা অলিম্পিকের দ্বৈত প্রতিযোগীতায় কোয়ার্টার ফাইনালে পৌছান। আটলান্টা অলিম্পিকে ১৯৯৬ সালে ফার্নান্দ মেলিজেনিকে পরাজিত করে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন। একই বছর তিনি ওয়ার্ল্ড জুনিয়ার র্যাংকিং-এ প্রথম হন । এ উইম্বলডন জুনিয়ার খেতাব জয় তাকে আন্তর্জাতিক পরিচিতি প্রদান করে। দ্রুত তিনি জুনয়ার বিশ্বতালিকার শীর্ষস্থান লাভ করেন। আটলান্টা অলিম্পিকে ১৯৯৬ সালে ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেন। মহেশ ভূপতির সাথে জুটি বেঁধে বিশ্ব ডাবলস টেনিসে দীর্ঘসময় প্রথম স্থানটি ধরে রাখেন। ১৯৯৯ সালে তারা সবকটি লড়ায়ের ফাইনালে যান। ভারতের অন্যতম অনন্য ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসাবে তাকে প্রদান করা হয় দেশের সর্বসেরা ক্রীড়া সম্মান রাজীব গান্ধী খেল রত্ন ( ১৯৯৬-১৯৯৭ বর্ষ )। ২০০১পদ্মশ্রীতে ভূষিত হয়েছেন।

১৯৯২ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে অলিম্পিক গেমসে তিনি অংশগ্রহণ করেন,[1] তিনি প্রথম ভারতীয় এবং একমাত্র টেনিস খেলোয়াড় যিনি সাত সাতটি অলিম্পিক গেমসে প্রতিযোগিতা করেছেন। তিনি প্রাক্তন ডেভিস কাপ দলের অধিনায়ক ছিলেন এবং ডেভিস কাপে সবচেয়ে বেশিবার পুরুষদের দ্বৈত ইভেন্টে জেতার রেকর্ড গড়েন, মোট ৪৩ টি ম্যাচে জয় করেন (নিকোলা পিট্রেঞ্জেলিক ৪২ টি জয়ী)।[2] তিনি ওয়াশিংটন ক্যাস্তেলস দলের হয়ে ওয়ার্ল্ড টিম টেনিসে খেলেছেন এবং ২০০৯, ২০১১, ২০১২, ২০১৩, ২০১৪, এবং ২০১৫ সালের চ্যাম্পিয়নশিপ টিমে ছিলেন। ২০০৯ এবং ২০১১ সালে বিশ্ব টিম টেনিসের জন্য পুরুষ এমভিপি হন।[3] তিনি হরিয়ানা রাজ্যের ক্রীড়া রাষ্ট্রদূত।[4]

প্রাথমিক জীবন

লিয়েন্ডার জন্ম ১৯৭৩ সালের ১৭ জুন কলকাতায়। তার পিতা ভেস পেজ এবং মা জেনিফার পেজ। তিনি কলকাতার লা মার্টিনায়ার এবং সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে থেকে শিক্ষা লাভ করেন। তার বাবা-মা উভয়ই ক্রীড়াবিদ ছিলেন। তার পিতা ১৯৭২ সালের মিউনিখ অলিম্পিকে ব্রোঞ্জ পদক জয়ী ভারতীয় হকি টিমের একজন মিডফিল্ডার ছিলেন।[5] এবং মা ১৯৮০ সালে এশিয়ান বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতীয় বাস্কেটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। লিয়েন্ডার ১৯৮৫ সালে মাদ্রাজে (চেন্নাই) ব্রিটানিয়া অমৃতরাজ টেনিস একাডেমীতে যোগ দেন, যেখানে ডেভ ও'মায়ারা তার কোচ ছিলেন।[6] একাডেমী তার প্রাথমিক উন্নয়নে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন যখন তিনি ১৯৯০ সালে উইম্বলডন জুনিয়র শিরোপা জেতেন এবং বিশ্ব জুনিয়র র্যাংকিংয়ে ১ নম্বর স্থান পান।

ব্যক্তিগত জীবন

লিয়েন্ডার তার মায়ের মাধ্যমে বাংলা কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের সরাসরি বংশধর। ২০০৫ সালে তার রিয়া পিল্লাই সাথে লাইভ ইন সম্পর্ক ছিল। দম্পতির একটি কন্যা আছে, আয়ইয়ানা। রিয়া ২০১৩ সালে লিয়েন্ডারের বিরুদ্ধে একটি স্থানীয় মেট্রোপলিটন আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন, অভিযোগ করেন যে তার সম্পত্তি তার বাড়ির একটি অংশ থেকে সরানো হয়েছে যাতে লিয়েন্ডারের পিতা-মাতা সেখানে থাকতে পারবেন যখন তারা আসবেন।[7]

২০১০ সালে, তিনি অলিম্পিক গোল্ড কোয়েস্টের [8] পরিচালনা পর্ষদের সাথে যোগদান করেন, অলিম্পিক পদক জেতার জন্য ভারত থেকে প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের সমর্থন করার জন্য গীত শেঠী এবং প্রকাশ পাদুকুনে কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থাপন।[9]

অভিনয় ক্যারিয়ার

লিয়েন্ডার একটি সামাজিক-রাজনৈতিক থ্রিলার, অশোক কোহলি'র রাজধানী এক্সপ্রেসে তার প্রথম চলচ্চিত্র হিসাবে মুক্তি পায়।[10] এছাড়াও তিনি হলিউড থেকেও চলচ্চিত্রে অভিনয় করবার প্রস্তাব পান।[11]

বছর ফিল্ম ভূমিকা মন্তব্য
২০১৩ রাজধানী এক্সপ্রেস কেশব প্রথম চলচ্চিত্র

গ্র্যান্ড স্লাম খেতাব

  • পুরুষদের ডাবলস বিভাগে
    • ফরাসি ওপেন ১৯৯৯
    • উইম্বলডন ১৯৯৯
    • ফরাসি ওপেন ২০০১
  • মিশ্র ডাবলস বিভাগে
    • উইম্বলডন ১৯৯৯
    • অস্ট্রেলিয়া ওপেন ২০০৩
    • উইম্বলডন ২০০৩
    • উইম্বলডন ২০১০

এছাড়া তিনি ১৯৯৯ এ ইউ এস ওপেনে পুরুষদের ডাবলস বিভাগে ফাইনালে পৌঁছান।

তথ্যসূত্র

  1. "Leander Paes Bio, Stats, and Results"। ২৯ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
  2. "Davis Cup: Paes' record doubles win keeps India alive against China"। www.espn.in। ৭ এপ্রিল ২০১৮।
  3. "World TeamTennis"। ১০ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৮
  4. "Leander Paes to be Haryana's sports ambassador"। The Times of India। ১২ এপ্রিল ২০১২। ২৫ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৪
  5. James H. Mills (২০০৫)। Subaltern Sports: Politics and Sport in South Asia। Anthem Press। পৃষ্ঠা 215। আইএসবিএন 1-84331-168-2।
  6. Rahul Chandawarkar (৯ সেপ্টেম্বর ২০০৮)। "The hero in young Leander"। The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৩১ জানুয়ারি ২০০৯
  7. "Archived copy"। ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
  8. "Leander Paes' profile at Olympic Gold Quest"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৮
  9. "Leander Paes joins Olympic Gold Quest – The Times of India"
  10. "'Rajdhani Express' Sudhanshu's next"The Times Of India। ১৫ জুলাই ২০১২।
  11. Paes seeks to extend streak in World Team Tennis Finals – The Post and Courier ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে. Postandcourier.com (11 September 2012). Retrieved on 6 September 2013.

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.