লালবুক গুরগুরি

লাল-বুক গুরগুরি (বৈজ্ঞানিক নাম: porzana fusca) সুন্দরবন সংলগ্ন জেলাগুলোর জলজ ঝোপঝাড়বহুল বিল-ঝিল-হাওরসহ যেকোনো জলাশয়-খেতে দেখা যেতে পারে এই পাখিটি। এদেরকে প্রধানত দেখতে পাওয়া যায় ভারত, গণচীন, জাপান প্রভৃতি দেশে।

লালবুক গুরগুরি
কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত

ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত  (আইইউসিএন ৩.১)[1]
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ: Animalia
পর্ব: কর্ডাটা
শ্রেণী: পক্ষী
বর্গ: Gruiformes
পরিবার: Rallidae
গণ: Porzana
প্রজাতি: P. fusca
দ্বিপদী নাম
Porzana fusca
Linnaeus, 1766

পাখিটির মাপ ২০-২১ সেন্টিমিটার। ওজন ৮০-১০০ গ্রাম। এদের শরীরের রং এদের পোড়া ইটের মতো এবং লালচে বাদামি রঙের আভা মাখানো। এদের গলা সাদা রঙের হয়। পেটের দুপাশে ও লেজের তলায় আড়াআড়ি সাদা-কালো সরলরেখা টানা—রঙ দেখতে পাওয়া যায়। এরা লেজের ডগা ঘন ঘন নাড়ে এবং মাথায় খোঁট মারে ঘন ঘন।

চঞ্চল পাখি লালখেনি

এরা অতি সাবধানি, চতুর, ভীতু ও অতি চঞ্চল এক পাখি। এরা প্রধানত ডাকে ভোরে অথবা সকালে, পাঁচ-সাতটি পাখি মিলে ‘কিরিচ কিচ’ জাতীয় শব্দে ডাকবে। শীতে রোদ পোহাবে। এদের মূল খাদ্য হল কুচো চিংড়ি, জল-কাদা-শেওলা এবং পচা জলজ পাতার স্তূপে জন্ম নেওয়া ল্যাদা পোকা ও নলনাটা বনের ভেতরের ডানাওয়ালা একধরনের ছোট পোকা। মশাও অতি প্রিয় খাদ্য এদের। এরা বাসা করে মাটির ওপরে—আখঘাসের পাতা ও অন্যান্য পাতা দিয়ে। ঝোপঝাড়, ঘাসবন, এমনকি ধানক্ষেতেও বাসা করে। ডিম ছয় থেকে আটটি। দুজনে তা দেয়। ডিম ফোটে ২০ থেকে ২৪ দিনে। বাসা করে বর্ষাকালে[2]

তথ্যসূত্র

Notes
  1. BirdLife International (২০১২)। "Porzana fusca"বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩
  2. চঞ্চল পাখি লালখেনি, শরীফ খান। ঢাকা থেকে প্রকাশের তারিখ:২০-০৫-২০১২ খ্রিস্টাব্দ।
Sources
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.