রেজিনাল্ড উড

রেজিনাল্ড উড (ইংরেজি: Reginald Wood; জন্ম: ৭ মার্চ, ১৮৬০ - মৃত্যু: ৬ জানুয়ারি, ১৯১৫) চেশায়ারের উডচার্চে জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[1] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১৮৮৭ সালে ইংল্যান্ডের পক্ষে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ার এবং অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে ভিক্টোরিয়া দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, বামহাতে মিডিয়াম বোলিং দক্ষ ছিলেন রেজিনাল্ড উড।

রেজিনাল্ড উড
ক্রিকেট তথ্য
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১২
রানের সংখ্যা ২৩৫
ব্যাটিং গড় ৩.০০ ১৫.৬৬
১০০/৫০ ০/০ ০/২
সর্বোচ্চ রান ৫২
বল করেছে ৩৪৮
উইকেট
বোলিং গড় - ১৬.৭৫
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং - ৩/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ৫/০
উৎস: ক্রিকইনফো, ২৩ নভেম্বর ২০১৮

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

বার্কেনহেডের ব্যবসায়ী জন উড ও মন্ট্রিল বংশোদ্ভূত এলিজাবেথ দম্পতির সন্তান ছিলেন তিনি। চার্টারহাউজে পড়াশোনা সম্পন্ন করেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে ল্যাঙ্কাশায়ারের পক্ষে শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে ছয়টি খেলায় অংশ নিয়েছেন রেজিনাল্ড উড। এরপর অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসিত হন। ১৮৮৫ সালে ভিক্টোরিয়ার পক্ষে পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে দুই খেলায় অংশ নেন।

টেস্ট ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছেন তিনি। সর্বাপেক্ষা বাজে টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন অতিবাহিত করেছেন তিনি। তার তুলনায় কেবলমাত্র যোসেফ ম্যাকমাস্টার এগিয়ে রয়েছেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৭ তারিখে টেস্ট অভিষেক ঘটে রেজিনাল্ড উডের।

১৮৮৬-৮৭ মৌসুমে আলফ্রেড শয়ের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দল অস্ট্রেলিয়া সফরে যায়। অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক পার্সি ম্যাকডোনেলকে উদ্দেশ্য করে বিলি বার্নসের ছোঁড়া বল দেয়ালে আঘাত করলে বলটি হারিয়ে যায়। এরফলে এ সফরের বেশ কয়েকটি খেলায় অংশগ্রহণ করা থেকে তাকে বিরত রাখা হয়। ঐ বলটি রেজিনাল্ড উড খুঁজে পান ও তার পরিবর্তে শয়ের একাদশে উডকে তিন খেলায় অংশগ্রহণ করানো হয়েছিল। তন্মধ্যে, দ্বিতীয় খেলাটি দ্বিতীয় টেস্টের মর্যাদা পেয়েছিল। খেলায় তিনি কোন বোলিং করেননি ও দশ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ০ ও ৬ রান তুলেন। সফরকারী ইংরেজ দলের বিপক্ষে শেষ খেলায় অংশগ্রহণের পর তিনি আর প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশগ্রহণ করেননি।

ব্যক্তিগত জীবন

৬ জানুয়ারি, ১৯১৫ তারিখে ৫৫ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের ম্যানলি এলাকায় রেজিনাল্ড উডের দেহাবসান ঘটে। তার জীবনী নিয়ে ফিলিপ পেইন ‘ফাইনালি এ ফেস: এ মেমোইর অব রেজিনাল্ড উড’ শিরোনামীয় গ্রন্থ ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয়।

তথ্যসূত্র

  1. ESPNcricinfo, ESPN, সংগ্রহের তারিখ: ২১ নভেম্বর, ২০১৮

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.