রেজিনাল্ড অ্যালেন

রেজিনাল্ড চার্লস অ্যালেন (ইংরেজি: Reginald Allen; জন্ম: ২ জুলাই, ১৮৫৮ - মৃত্যু: ২ মে, ১৯৫২) নিউ সাউথ ওয়েলসের গ্লেব এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা অস্ট্রেলীয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৭ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

রেজিনাল্ড অ্যালেন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামরেজিনাল্ড চার্লস অ্যালেন
জন্ম(১৮৫৮-০৭-০২)২ জুলাই ১৮৫৮
গ্লেব, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
মৃত্যু২ মে ১৯৫২(1952-05-02) (বয়স ৯৩)
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান
সম্পর্কগাবি অ্যালেন (ভ্রাতৃস্পুত্র)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় পার্শ্ব
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৪৭)
২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৭ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ১৭
রানের সংখ্যা ৪৪ ৩৮২
ব্যাটিং গড় ২২.০০ ১২.৩২
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ৩০ ৪১
বল করেছে ২২০
উইকেট -
বোলিং গড় - ৫৮.৫০
ইনিংসে ৫ উইকেট -
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং - ১/৪
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ৯/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৯

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলস দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন রেজিনাল্ড অ্যালেন

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

১৮৭৮-৭৯ মৌসুম থেকে ১৮৮৭-৮৮ মৌসুম পর্যন্ত রেজিনাল্ড অ্যালেনের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেকের পূর্বে আলফ্রেড শ একাদশের বিপক্ষে রাজ্য দলের সদস্যরূপে খেলেন। প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন। ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় টেস্ট খেলার জন্যে তাকে মনোনীত করা হয়েছিল।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন রেজিনাল্ড অ্যালেন। ২৫ ফেব্রুয়ারি, ১৮৮৭ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার আরসি অ্যালেন, এফজে বার্টন, জেটি কটাম, ডব্লিউএফ গিফেনজেজে লিওন্সের এবং ইংল্যান্ডের আর উডের একযোগে টেস্ট অভিষেক ঘটেছিল।[1] সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত সিরিজের ঐ দ্বিতীয় টেস্টে তিনি মাত্র ৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয়েছিলেন। ঐ খেলায় তার দল ৭১ রানে পরাভূত হয়। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

একমাত্র টেস্টে তিন নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৪ ও ৩০ রান সংগ্রহ করেছিলেন। এছাড়াও, দুই ক্যাচ তালুবন্দী করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ইংল্যান্ডের অতিরিক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ফিল্ডিংয়ে নামেন। এ পর্যায়ে নিজ দলের চার্লি টার্নারের ক্যাচ মুঠোয় পুড়েন। ১৯৫৩ সালে তার মৃত্যুতে উইজডেনে উল্লেখ করা হয় যে, তিনি ইংল্যান্ড গমন থেকে নিজেকে বিরত রেখেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন

অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ টেস্ট অধিনায়ক গাবি অ্যালেন সম্পর্কে তার ভাইপো হন। ২ মে, ১৯৫২ তারিখে ৯৬ বছর বয়সে সিডনি এলাকায় রেজিনাল্ড অ্যালেনের দেহাবসান ঘটে। ম্যাককুয়ারি স্ট্রিটের সেন্ট স্টিফেন্স চার্চ থেকে নর্দার্ন সাবার্বস ক্রিম্যাটোরিয়াম পর্যন্ত তার শবযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।[2]

তথ্যসূত্র

  1. "England in Australia (1886 1887): Scorecard of second Test"। Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৩১, ২০১৯
  2. "Family Notices"The Sydney Morning Herald (35,683)। New South Wales, Australia। ৩ মে ১৯৫২। পৃষ্ঠা 36। সংগ্রহের তারিখ ১৬ আগস্ট ২০১৬ National Library of Australia-এর মাধ্যমে।

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

পূর্বসূরী
ফ্রান্সিস ম্যাককিনন
বয়োজ্যেষ্ঠ জীবিত টেস্ট ক্রিকেটার
২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৭ - ২ মে, ১৯৫২
উত্তরসূরী
কেনি বার্ন
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.