মুহম্মদ শামসউল হক

মুহম্মদ শামসউল হক (জন্ম: ১২ অক্টোবর ১৯১২ - মৃত্যু: ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬) ছিলেন একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদ ও শিক্ষা গবেষক।[1] শিক্ষাক্ষেত্রে তার অবদানের জন্য তিনি ২০০৩ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক সম্মানজনক একুশে পদকে ভূষিত হন। [2]

মুহম্মদ শামসউল হক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
কাজের মেয়াদ
২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫  ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬
পূর্বসূরীআব্দুল মতিন চৌধুরী
উত্তরসূরীফজলুল হালিম চৌধুরী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
কাজের মেয়াদ
৩১ আগস্ট ১৯৬৫  ৪ আগস্ট ১৯৬৯
পূর্বসূরীমমতাজউদ্দিন আহমেদ
উত্তরসূরীসৈয়দ সাজ্জাদ হোসায়েন
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম(১৯১২-১০-১২)১২ অক্টোবর ১৯১২
মৃত্যু২৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৬(2006-02-23) (বয়স ৯৩)
ঢাকা, বাংলাদেশ
প্রাক্তন শিক্ষার্থীকলকাতা ইসলামিয়া কলেজ
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাবিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক
পুরস্কারএকুশে পদক

শিক্ষা জীবন

অধ্যাপক মুহম্মদ শামসউল হক ১৯২৭ সালে পশ্চিমগাঁও বি.এন. উচ্চ বিদ্যালয় হতে মাধ্যমিক এবং ১৯২৯ সালে ফেনী কলেজ হতে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। এরপর তিনি তৎকালীন ইসলামিয়া কলেজে (বর্তমান নাম: মৌলানা আজাদ কলেজ) ভর্তি হন। পরবর্তীতে ১৯৩১ সালে রাজনৈতিক অর্থনীতি ও রাজনৈতিক দর্শন বিভাগ হতে স্নাতক (সম্মান) ও ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পোস্ট ওয়ার এডুকেশন রিফর্মস প্রোগ্রাম (যুদ্ধ পরবর্তী শিক্ষা সংস্কার কর্মসূচি)’-এর আওতায় ১৯৪৫-৪৬ সাল পর্যন্ত প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।[1]

কর্মজীবন

তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় উপাচার্য (মেয়াদকাল: ৩১ আগস্ট, ১৯৬৫ - ০৪ আগস্ট, ১৯৬৯)[3] এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চদশ উপাচার্য (মেয়াদকাল: ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫ - ০১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৬) [4] হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি অবিভক্ত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের শিক্ষা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি গবেষণা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী (১৯৬৯-৭১), স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রী (১৯৭৮-৮২) এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য (১৯৭৭-৭৮) হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। [1]

কর্ম

  • Charging Education in England (১৯৪৮)
  • Compulsory Education in Pakistan [পাকিস্তানে বাধ্যতামূলক শিক্ষা] (১৯৫৪)
  • Education and Development Strategy in South and South East Asia [দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় শিক্ষা ও উন্নয়ন কৌশল] (১৯৬৫)
  • Pakistan's New Education Policy [পাকিস্তানের নতুন শিক্ষা নীতি] (১৯৭০)
  • Education, Manpower and Development in South and South East Asia [দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় শিক্ষা, জনশক্তি ও উন্নয়ন] (১৯৭৬)
  • এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকায় "The Patterns of Education in South and South East Asia" [দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় শিক্ষার প্যাটার্নসমূহ] (নতুন সংস্করণ)
  • "Education in German Encyclopedia" [জার্মান বিশ্বকোষে শিক্ষা] Lexikon der Pedagogi (Verlag Herder)
  • Higher Education and Employment in Bangladesh [বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা ও কর্মসংস্থান] (সহ লেখক, ১৯৮৩)
  • South Asia Regional Co-operation: Its Underlying Concept, Problems and Promises in Future of South Asia [দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা: দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যতের অন্তর্নিহিত ধারণা, সমস্যা এবং প্রতিশ্রুতি] (১৯৮৫)
  • Role of Education in Development based on lectures delivered at the Bangla Academy [বাংলা একাডেমীতে দেয়া বক্তৃতার উপর ভিত্তি করে উন্নয়নে শিক্ষার ভূমিকা] (১৯৮৭)
  • Bangladesh in International Politics: the Dilemmas of the Weak States [আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বাংলাদেশ: দুর্বল রাষ্ট্রগুলির উভয়সঙ্কটসমূহ] (১৯৯৩)
  • Aid, Development and Diplomacy [সহায়তা, উন্নয়ন ও কূটনীতি] (২০০১)
  • বিশ্ব-রাজনীতি ও বাংলাদেশ (২০০১)
  • বিকাশমান সমাজ ও শিক্ষা (১৯৮৭)[1]

তথ্যসূত্র

  1. "হক, মুহম্মদ শামসউল"বাংলা উইকিপিডিয়া। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯
  2. "একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ"। বাংলাদেশ সরকার। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১০, ২০১৯
  3. "List of former Vice Chancellor"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯
  4. "VICE-CHANCELLORS OF THE UNIVERSITY SINCE 1921"। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সংগ্রহের তারিখ ১০ এপ্রিল ২০১৯
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.