মুখতার আল সাকাফি
মুখতার ইবনে আবি উবায়েদ আল-সাকাফি (আরবি: المختار بن أبي عبيد الثقفي; ৬২২ খ্রি. – ৩রা এপ্রিল ৬৮৭) কুফাকে কেন্দ্র করে একজন প্রাক-আলীয় বিপ্লবী, যিনি উমাইয়া খিলাফতের বিরুদ্ধে ৬৮৫ খ্রিষ্টাব্দে একটি বিদ্রোহ পরিচালনা করেন এবং দ্বিতীয় ইসলামি গৃহযুদ্ধের সময় আঠারো মাসের জন্য ইরাকের অধিকাংশ অঞ্চল শাসন করেছিলেন।
মুখতার আল-সাকাফি | |
---|---|
মুখতার ইবনে আবি উবায়েদ আল-সাকাফি | |
![]() আরবি ক্যালিগ্রাফিত আল মুখতার ইবনে আবি উবায়েদের নাম | |
জন্ম | ৬২২ খ্রিস্টাব্দ তায়েফ, হেজাজ |
মৃত্যু | ৩রা এপ্রিল ৬৮৭ |
সমাধি | মসজিদ আল-কুফা |
যুগ | খুলাফায়ে রাশেদিন উমাইয়া খিলাফত দ্বিতীয় ইসলামিক গৃহযুদ্ধ |
পরিচিতির কারণ | কুফায় একটি উমাইয়া-বিরোধী বিদ্রোহের নেতা |
প্রতিদ্বন্দ্বী | উবায়েদ ইবনে জায়েদ আব্দুল্লাহ ইবনুল জুবায়ের |
দাম্পত্য সঙ্গী | উমরাহ বিনত্ নু'মান ইবনে বাসির আনসারি উম্ম্ থাবিত বিনত্ সামুরা ইবনে জুনদুব |
পিতা-মাতা |
|
আত্মীয় | আব্দুল্লাহ ইবনে উমর (ভগ্নীপতি) উমর ইবনে সা'আদ (ভগ্নীপতি) |
সামরিক কর্মজীবন | |
আনুগত্য | আলীয় যুবায়েরিয় (৬৮১–৬৮৪) |
যুদ্ধ/সংগ্রাম | দ্বিতীয় ইসলামি গৃহযুদ্ধ
|
তায়েফে জন্মগ্রহণ করা মুখতার শিশু বয়সে ইরাকে আসেন এবং কুফায় বেড়ে ওঠেন। ৬৮০ খ্রিষ্টাব্দে কারবালার যুদ্ধে উমাইয়া বাহিনীর হাতে ইসলামের নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নাতি হোসাইন ইবনে আলীর মৃত্যুর পর তিনি মক্কায় বিদ্রোহী খলিফা আব্দুল্লাহ ইবনুল জুবায়েরের সাথে জোটবদ্ধ হন, কিন্তু জোটটি স্বল্প সময়ের জন্য টিকে ছিল। কুফায় ফিরে এসে মুখতার খলিফা আলীর (শা. ৬৫৬–৬৬১) সন্তান ও হোসাইনের ভাই মুহাম্মদ ইবনে আল হানাফিয়াহকে মাহদী ও ইমাম ঘোষণা করেন, এবং আলীয় খিলাফত প্রতিষ্ঠা ও হুসাইন হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণের ডাক দেন। জুবায়েরিয় শাসককে বহিষ্কারের পর তিনি ৬৮৫ খ্রিষ্টাব্দের অক্টোবরে কুফা দখল করেন, এবং পরে হোসাইন হত্যাকান্ডে জড়িতদের হত্যার আদেশ দেন। ইবনুল জুবায়েরের সাথে বিরূপ সম্পর্কের ফলশ্রুতিতে চার মাস অবরোধের পর বসরার জুবায়েরিয় শাসক মাস'আব ইবনুল জুবায়েরের হাতে মুখতার নিহত হন।
মুখতার পরাজীত হওয়া সত্ত্বেও তার আন্দোলনের সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়ে গিয়েছিল। তার মৃত্যুর পর, তার অনুসারীরা প্রাথমিক শিয়া সম্প্রদায় গড়ে তোলে,[lower-alpha 1] পরবর্তীতে যারা কায়সানিয় নামে পরিচিতি পেয়েছিল, যারা বহু উপন্যাসিক মতবাদ গড়ে তুলেছিল এবং পরবর্তী শিয়া আদর্শকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মুখতার মাওয়ালিদের (ইসলামে ধর্মান্তরিত হওয়া স্থানীয় লোকজন) সামাজিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং তারা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক সত্ত্বায় পরিনত হয়েছিল। এর ষাট বছর পর মাওয়ালি এবং কায়সানিয়রা আব্বাসীয় বিপ্লবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। মুসলমানদের মাঝে মুখতার একজন বিতর্কিত চরিত্র। অনেকের কাছে তিনি মিথ্যা নবী হিসেবে নিন্দিত, কিন্তু আলীয়দের প্রতি তার সমর্থনের কারণে তিনি শিয়াদের দৃষ্টিতে একজন সম্মানীয় ব্যক্তি। আধুনিক ঐতিহাসিকদের দৃষ্টিকোণ থেকে তিনি একজন একনিষ্ঠ বিপ্লবী এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী সুযোগসন্ধানী।
প্রেক্ষাপট
মুখতার তায়েফে ৬২২ খ্রিষ্টাব্দে (যে বছর মুহাম্মাদ (সাঃ) মদিনায় হিজরত করেন) বনু সাকিফ গোত্রে একজন মুসলিম সামরিক কমান্ডার আবু উবায়েদ সাকাফি ও দওমা বিনতে আমর্ ইবনে ওয়াহাব ইবনে মুয়াত্তিবের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[2][3] ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর মৃত্যুর পর, আবু বকর খলিফা নির্বাচিত হন। দুই বছর পরে তার মৃত্যুর পর উমর তার স্থলাভিষিক্ত হন, যিনি আবু বকরের পূর্বে গৃহীত পদক্ষেপ অনুযায়ী মুসলিম সাম্রাজ্যের বিস্তার ঘটান,[4] এবং মুখতারের বাবা আবু উবায়েদকে ইরাকী রণে প্রেরণ করেন। আবু উবায়েদ ৬৩২ খ্রিস্টব্দের নভেম্বরে সেতু যুদ্ধে নিহত হন। এই অঞ্চলে মুসলিমদের বিজয়ের পর তের বছর বয়সী মুখতার তখন ইরাকেই থেকে যান,[2] এবং তার চাচা সাদ ইবনে মাসুদ আল-সাকাফির নিকট লালিত হতে থাকেন।[5] ৬৪৪ খ্রিষ্টাব্দে উমর পিরুজ নাহাওয়ান্দি নামের এক পারস্যিক দাসের হাতে নিহত হন, যার পর উসমান ৬৫৬ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হওয়ার পূর্বে বারো বছর সাম্রাজ্য পরিচালনা করেন।[4]
উসমানের মৃত্যুর পর মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর চাচাত ভাই ও জামাই আলী খলিফা নির্বাচিত হন এবং মদিনা থেকে কুফায় রাজধানী স্থানান্তর করেন,[4] যেখানে মুখতার কিছু গৌন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন[2] এবং মুখতারের চাচা নিকটবর্তী আল মাদা'ইনের শাসক হন।[5] সিরিয়ার শাসক মুয়াবিয়াসহ মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর কিছুসংখ্যক সাহাবী আলীর কর্তৃত্বকে অস্বীকার করেন, ফলে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। সিফফিনের যুদ্ধ অচলাবস্থায় শেষ হয় (জুলাই ৬৫৭), যখন আলীর সৈন্যরা মুয়াবিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধ করতে অস্বীকৃতি জানায়। অনিচ্ছা ও নিজ সৈন্যের বিরোধীতা সত্ত্বেও আলী আলোচনায় বসতে রাজী হন, এর ফলে পরবর্তীতে মধ্যস্থতায় বসা আলীর এই সিদ্ধান্তকে ধর্মহীনতা আখ্যা দিয়ে খারিজিয়রা আন্দোলনে ফেটে পড়ে। আলোচনা মুয়াবিয়া ও আলীর বিতন্ডা মিমাংসায় ব্যর্থ হয় এবং পরে আলী ৬৬১ খ্রীস্টাব্দের জানুয়ারিতে এক খারিজিয়র হাতে নিহত হন।[4]
আলীর জ্যেষ্ঠ সন্তান হাসান খলিফা হন, কিন্তু মুয়াবিয়া তার শাসনকেও প্রত্যাখ্যান করেন এবং ইরাক আক্রমণ করেন।[4] নিজের সৈন্য স্থানান্তরের সময় আল-মাদা'ইনের নিকট এক খারিজিয়র হাতে আহত হন এবং তাকে মুখতারের চাচার বাড়িতে আনা হয়। There, Mukhtar reportedly recommended that Hasan be handed over to Muawiyah in return for political favour, but was rebuffed by his uncle.[5][6] ৬৬১ সালের আগস্টে শান্তি অনুযায়ী হাসান মুয়াবিয়ার নিকট ক্ষমতা হস্তান্তর করেন এবং রাজধানী দামেস্কে স্থানান্তর করা হয়। মৃত্যুর কয়েক বছর পূর্বে মুয়াবিয়া নিজের সন্তান ইয়াজিদকে তার উত্তরসূরী মনোনীত করেন, এবং উমাইয়া খিলাফতের সূচনা করেন। ইয়াজিদের মনোনয়ন আলীয় পক্ষাবলম্বীদের ক্ষুব্ধ করে তোলে,[lower-alpha 2] কারণ এটি ছিল শান্তি চুক্তির লঙ্ঘন, যেটি অনুসারে মুয়াবিয়া তার কোন উত্তরসূরী নির্বাচন করতে পারবেন না। [7] মুখতারের প্রারম্ভিক জীবন সম্পর্কে খুব বেশী তথ্য পাওয়া যায় না, এবং তিনি ষাট বছর বয়সের কাছাকাছি সময়ে প্রথিত ব্যক্তি হিসেবে আবির্ভূত হন।[8]
অভ্যুত্থান
৬৮০ খ্রীস্টাব্দে ইয়াজিদের অভিগমনে, প্রাক-আলীয় কুফাবাসী সদ্য মৃত্যুবরণ করা হাসানের ভাই হোসাইন ইবনে আলীকে ইয়াজিদের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহ পরিচালনার আহ্বান জানান। হোসাইন এরপর তার চাচাত ভাই মুসলিম ইবনে আকিলকে রাজনৈতিক অবস্থা বোঝার জন্য কুফায় প্রেরণ করেন।[7] উবায়েদ আল্লাহ ইবনে জাইয়াদের আগমনের আগে পর্যন্ত মুখতার ইবনে আকিলকে তার ঘরে আতিথেয়তা প্রদান করেন। The latter was appointed to replace Mukhtar's father-in-law, Nu'man ibn Bashir, as governor due to Ibn Bashir's benign attitude towards Ibn Aqil and his followers. As a result of Ibn Ziyad's suppression and political maneuvering, Ibn Aqil's following started melting away and he was forced to declare the revolt prematurely. এই সময় মুখতার শহরে ছিলেন না। খবরটি শোনার পর তিনি কুফা শহরের চারপাশ থেকে সমর্থকদের জড়ো করতে শুরু করেন, কিন্তু ইবনে আকিলের বিদ্রোহ দমন করা হয় এবং মুখতার শহরে প্রবেশ করার আগেই তাকে হত্যা করা হয়। মুখতারকে গ্রেফতার করে গভর্নরের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু তিনি বিদ্রোহে সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন। মুখতার কারারুদ্ধ থাকা অবস্থায় ৬৮০ খ্রীস্টাব্দের ১০ই অক্টোবর ইবনে জাইয়াদের বাহিনির হাতে হুসাইন শহীদ হন।[9] এর কিছু সময় পর দ্বিতীয় খলিফার একজন প্রভাবশালী পুত্র আব্দুল্লা ইবনে উমরের হস্তক্ষেপে মুখতার কারাগার থেকে মুক্ত হন এবং তাকেঁ কুফা ছাড়ার আদেশ দেওয়া হয়।[10]
মক্কায় নির্বাসন
এই সময় মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাহাবী জুবায়ের ইবনে আওয়ামের সন্তান আব্দুল্লাহ ইবনে আল জুবায়ের গোপনে started taking allegiance in Mecca and came to control the entire Hejaz (পশ্চিম আরব)।[11][12] কুফা ছেড়ে মুখতার মক্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন এবং ইবনে আল জুবায়েরকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মুখতারের পরামর্শ গ্রহণ এবং তাকে উচ্চ পদ প্রদানের শর্তে জুবায়েরের আনুগত্য প্রকাশের প্রস্তাব দেন। কিন্তু জুবায়ের তা প্রত্যাখ্যান করেন। এরপর মুখতার তায়েফের দিকে যাত্রা করেন এবং একবছর পর ইবনে আল জুবায়েরের পরামর্শকেরা তাকে একই শর্তে মুখতারের প্রস্তাব গ্রহণ করতে রাজী করায়।[10][13] যখন ইয়াজিদ ৬৮৩ খ্রীস্টাব্দে মক্কা দখলের জন্য সৈন্য প্রেরণ করেন, তখন মুখতার শহরের প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিলেন।[14] নভেম্বরে ইয়াজিদের মৃত্যুর পর উমাইয়া বাহিনী পশ্চাদপদ হয় এবং ইবনে আল জুবায়ের খোলাখুলিভাবে তার খিলাফত ঘোষণা করেন। কুফা থেকে আগত লোকদের কাছ থেকে মুখতার জানতে পারেন যে, কুফা শহর ইবনে আল জুবায়েরের নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিন্তু অনেক কুফাবাসী নিজিদের জন্য একজন স্বতন্ত্র নেতা চায়। মুখতার দাবী করেন তিনিই সেই ব্যক্তি, যাকে তারা খুজছে[15] মক্কায় অবস্থানকালীন সময়ে তিনি হুসাইন হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণ এবং ইবনে আল হানাফিয়ার জন্য ক্ষমতা সুরক্ষিত করার জন্য আলীর সন্তান মুহাম্মাদ ইবনে আল হানাফিয়ার অনুমতি চান। The latter responded that he neither approved nor disapproved of such an action, but bloodshed should be avoided.[13] এর আগে তিনি হুসাইনের সন্তান আলী জাইন আল-আবেদিনকেও একই প্রস্তাব দেন কিন্তু তিনি তাতে অসম্মতি জানান।[2] ইয়াজিদের মৃত্যুর পাঁচ মাস পর ইবনে আল জুবায়েরকে না জানিয়ে তিনি কুফায় ফিরে আসেন, যার বিষয়ে তিনি ভেবেছিলেন সে তার প্রতিজ্ঞা রাখেনি।[10]
কুফায় প্রত্যাবর্তন

মুখতার হুসাইনের হত্যাকারীদের থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য কুফায় সৌভাগ্য ও বিজয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে লোক সংগ্রহ করতে শুরু করেন। একই সময় মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাহাবী এবং আলীয় সমর্থক সুলায়মান ইবনে সুরাদ উমাইয়াদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুফাবাসীদের একটি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন যারা নিজেদের তাওয়াবিয় বলে পরিচয় দিত। তারা একে কারবালার যুদ্ধে হুসাইনকে সহায়তায় নিজেদের ব্যর্থতার প্রায়শ্চিত্ত হিসেবে দেখত। তাওয়াবিয় আন্দোলন মুখতারের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করে। মুহাম্মাদ (সাঃ)-এর সাহাবী হওয়ায় অধিকাংশ প্রাক-আলীয় ইবনে সুরাদকে সমর্থন করত, এর ফলে মুখতার প্রচুর লোক সংগ্রহ করতে সমস্যায় পড়েন।তিনি তাওয়াবিয়দের কর্মকান্ডকে অপটু, ইবনে সুরাদকে বৃদ্ধ, দূর্বল, সামরিক জ্ঞানহীন এবং তারা ব্যর্থ হবে বলে সমালোচনা করেন৷ এরপর তিনি নিজেকে ইবনে আল হানাফিয়ার প্রতিনিধি দাবী করেন, যাকে তিনি মাহদি (মুসিহ) বলে উল্লেখ করেন। তিনি প্রায় পাঁচশ মাওয়ালিসহ (sing. মাওলা; ইসলামে ধর্মান্তরিত স্থানীয়রা) বহু আলীয় সমর্থকদের বোঝাতে সক্ষম হন যে,[lower-alpha 3] তিনি মাহদীর আদেশে কাছ করছেন।[17][18]
মুখতারের দাবীর প্রতি সন্দেহ পোষণ করে, আলীয় পক্ষালম্বী একটি দল সত্যতা যাচাইয়ের জন্য কুফা থেকে মক্কায় ইবনে আল হানাফিয়ার নিকট যান। তিনি দ্ব্যর্থ ভাষায় জবাব দেন যে তিনি আল্লাহ যাদের রাসুল (সাঃ)-এর পরিবারের শত্রুদের থেকে প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য ব্যবহার করেন এমন যেকারও প্রতি তিনি সন্তুষ্ট। তারা একে মুখতারের দাবীর অনুমোদন বিবেচনা করে কুফায় ফিরে এসে তার সাথে যোগ দেয়। মুখতারের দাবীতে এতদিন অবিশ্বাস করা প্রভাবশালী আলীয় পক্ষাবলম্বী এবং নাখাই গোত্রের প্রধান ইব্রাহীম ইবনে আল আশতারকে বিশ্বাস করানোর জন্য মুখতার তাকে একটি পত্র দেন, যেটিকে তিনি ইবনে আল হানাফিয়ার লেখা বলে দাবী করেন। এতে ইবনে আল হানাফিয়া আপাতদৃষ্টিতে নিজেকে মাহদী বলে দাবী করেন এবং মুখতারকে সমর্থন করার জন্য আল আশতারকে আহ্বান জানান। কিছু সন্দেহ প্রকাশ করার পর অবশেষে ইবনে আল আশতার মুখতারের সাথে যোগ দেন। [19] চিঠিটা ছিল নকল এবং ইবনে আল হানাফিয়ার যথাসম্ভব বিদ্রোহের সাথে কোন সম্পর্ক ছিলনা। যদিও তিনি নিজ নামের ব্যবহার সহ্য করেন এবং মুখতারের কর্মকান্ড অস্বীকৃতি জানাননি।[20][21] Nonetheless, যwhen he wanted to visit his followers in Kufa, he was deterred by a rumour, floated by Mukhtar upon hearing this news, that the true Mahdi would not die if struck by a sword.[21][22]
ইবনে আল জুবায়ের ৬৮৪ খ্রীস্টাব্দে আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াজিদকে কুফার শাসক নিযুক্ত করেন। মুখতারের প্রতি ভয় থেকে ইবনে ইয়াজিদ তাকে কারাবন্দী করেন। Some time later, Abdullah ibn Umar interceded for Mukhtar, who promised to refrain from anti-government activity and was released.[23]
জুবায়েরিয় শাসককে পরাস্ত
মুক্তির পর মুখতার আবার তার বিপ্লবী কর্মকান্ড শুরু করেন। ৬৮৫ খ্রীস্টাব্দে তাওয়াবিয়রা আইনুল ওয়ারদা যুদ্ধে উমাইয়াদের নিকট পরাজিত হয় এবং অধিকাংশ প্রাক আলীয় কুফাবাসী মুখতারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে। ইবনে আল জুবায়ের অশান্তি দমনের জন্য ইবনে ইয়াজিদের স্থলে আব্দুল্লাহ ইবনে মুতিকে কুফার শাসক নিযুক্ত করেন৷ কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত কোন কাজে আসেনি। মুখতার ও তার অনুসারীরা ৬৮৫ খ্রীস্টাব্দের ১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার কুফার শাসককে পরাস্ত এবং এর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা করে। ১৭ই অক্টোবর মুখতারের দল সরকারী বাহিনীর সাথে সংঘর্ষেে লিপ্ত হয়। মুখতার পূর্বনির্ধারিত সময়ের আগে বিদ্রোহ শুরুর জন্য মুখতার আগুন জ্বালিয়ে তার সৈন্যদের সংকেত দেন। ১৮ই অক্টোবরের বিকালের মধ্যেই সরকারী বাহিনী পরাস্ত হয়। ইবনে মুতি আত্মগোপন করেন এবং পরে মুখতারের সহযোগীতায় বসরায় পালিয়ে যান। পরের দিন সকালে, Mukhtar received allegiance from Kufans in the mosque on the basis of, "Book of God, Sunnah of the Prophet, revenge for the Prophet's family, defence of the weak and war on sinners".[19][24]
ইরাক শাসন

মুখতারের অভ্যূল্থানে সমর্থন এসেছিল দুইটি বিপরীতধর্মী দল থেকে। অভিজাত আরব উপজাতি এবং মাওয়ালি। সর্বপ্রথম তিনি তাদের বৈপরিত্য দূর করা এবং উভয়পক্ষকে তুষ্ট করার প্রচেষ্টা চালান।[25] মসুল এবং আল-মাদাইনের শাসনভারসহ অধিকাংশ সরকারী পদ আরবদের দেওয়া হয়েছিল। পূর্বে নিচু শ্রেণীর নাগরিক হিসেবে বিবেচিত মাওয়ালিদের গণিমত ও সেনা ভাতা প্রধান এবং তাদের ঘোড়ায় চড়ার অনুমতি দেওয়া হয়। তিনি ঘোষণা করেন তার সাথে যেসব মাওয়ালি কৃতদাস যোগ দেবে তাদের মুক্ত করা হবে, যার ফলে এই দলটি থেকে তার প্রতি সমর্থন বৃদ্ধি পেতে থাকে। তার ব্যক্তিগত নিরপত্তা রক্ষীবাহিনীতেও মাওয়ালি সদস্য ছিল, যাদের নেতৃত্বে ছিলেন আবু আমরা কায়সান।[26] যদিও মাওয়ালিদের প্রতি তার এরুপ দৃষ্টিভঙ্গীর ফলে অভিজাতরা বিরক্ত ছিল।[17][27] এই পর্যায়ে তিনি অধিকাংশ ইরাক এবং এর অধীন আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, জিবাল এবং উচ্চ মেসোফটেমিয়া কয়েকটি অংশ নিয়ন্ত্রন করেন।[28][29] জুবায়েরিয়দের নিয়ন্ত্রণে থাকা বসরা দখলে তার সমর্থকদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছিল।[27] By then Abd al-Malik ibn Marwan had taken reigns of the Umayyad power in Syria and was struggling to regain control of the lost provinces.[12]
পাল্টা-অভ্যূল্থান
আইনুল ওয়ারদা যুদ্ধের এক বছর পর উমাইয়া বাহিনী মসূল দখল করে কুফার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। মুখতার ইয়াজিদ ইবনে আনাসের নেতৃত্বে তিন হাজার অশ্বারোহী প্রেরণ করেন। ৬৮৬ সালের ১৭ই জুলাই তারা তাদের থেকে সংখ্যায় দ্বিগুণ উমাইয়া বাহিনীকে মসূলের নিকট পারাজিত করে।
ঐদিন বিকালে সিরীয় বন্দীদের হত্যার আদেশ দেওয়ার পর অসুস্থতার কারণে ইবনে আনাস মারা যান। তাদের কমান্ডারকে হারিয়ে অপর একটি উমাইয়া বাহিনীর মোকাবেলায় কূফাবাসীরা পশ্চাৎপদ হয়। কূফায় গুজব ছড়িয়ে পড়ে মুখতারের বাহীনি পরাজিত হয়েছে এবং ইবনে আনাসকে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিক্রিয়ায় মুখতার আরও সাত হাজার সেনা ইবনে আশতারের নেতৃত্বে প্রেরণ করেন। সেনা অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে মাওয়ালিদের প্রতি সহানুভূতির প্রদর্শনের ফলে মুখতারের সাথে সম্পর্ক খারাপ হওয়া কূফার অভিজাত বর্গরা তার প্রাসাদ অবরোধ করে।[30][31] তারা তার বিরুদ্ধে তাদের সম্মান লুন্ঠনের অভিযোগ তোলে:[32]
সে এবং তার দল আমাদের ধার্মিক পূর্বপুরুষদের অস্বীকৃতি জানিয়েছে; সে আমাদের দাস ও মাওয়লিদের প্রলোভন দেখিয়েছে এবং তাদের উচুঁতে আসীন করিয়েছে, তাদেরকে আমাদের রাষ্ট্রীয় রাজস্বের ভাগ দিয়েছে বা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে; এই দিক দিয়ে সে আমাদের লুন্ঠন করেছে ...[32]
Despite the siege, Mukhtar was able to recall Ibn al-Ashtar. Three days after its departure from Kufa, Ibn al-Ashtar's army returned and defeated the revolt.[30][31]
After eliminating his opposition, Mukhtar enacted punitive measures against those involved in the battle of Karbala. He executed most of them, including Umar ibn Sa'ad and Shimr ibn Ziljawshan.[31] Many others were killed under the pretext of their direct or indirect involvement in the battle, while about ten thousand Kufans fled to Basra. The houses of many absconders were destroyed.[28] This further reduced Arab support for Mukhtar and he became increasingly reliant on mawālī.[31]
খাজির যুদ্ধ
Two days after reasserting control over Kufa, Mukhtar dispatched Ibn al-Ashtar with a thirteen thousand-strong force to confront the approaching Umayyad army led by Ibn Ziyad. Some of Mukhtar's soldiers carried a chair, circling around it, which they claimed belonged to Ali and would give them victory in the battle. The idea is said to have been Mukhtar's. He had invented it to increase his support among more religious people and compared it to the Ark of the Covenant,[33][34] but orientalist Julius Wellhausen holds he was not the originator of the concept. He allowed them to carry the chair, as he needed their zeal.[35] The armies met at the banks of Khazir River in early August 686. The Umayyad army was defeated, and many of the senior Umayyad military leaders including Ibn Ziyad and Husayn ibn Numayr al-Sakuni were killed.[31][36] The exact date of the battle is unknown, although some sources put it on 6 August, coinciding with 10 Muharram, the date of Husayn's death.[37] The death of Ibn Ziyad was seen as the fulfillment of Mukhtar's promise of revenge against Husayn's killers.[37][38]
ইবনে আল জুবায়েরের সাথে সম্পর্ক
Sometime after expelling Ibn Muti, Mukhtar complained to Ibn al-Zubayr about the failure to keep his promise, despite Mukhtar having served him well. Mukhtar, nonetheless, offered his support if needed. Though Ibn al-Zubayr had considered Mukhtar loyal, the latter refused to surrender his control of Kufa to the caliph's appointed governor, Umar ibn Abd al-Rahman. The governor left the city after being bribed and threatened by Mukhtar.[39]
In 686, Mukhtar feigned an offer of military support to Ibn al-Zubayr against an impending Umayyad attack on Medina with the ultimate intention of ousting him. Ibn al-Zubayr accepted and requested troops to Wadi al-Qura, a valley north of Medina, but instead, Mukhtar dispatched three thousand fighters under Shurahbil ibn Wars with orders to enter Medina until further notice. Meanwhile, Ibn al-Zubayr sent his confidant Abbas ibn Sahl at the head of a two thousand-strong force with instructions to escort Ibn Wars and his men to Wadi al-Qura in anticipation of the Syrian army and to kill Mukhtar's loyalists if they refused. Ibn Wars indeed refused and was killed along with most of his men. Mukhtar subsequently informed Ibn al-Hanafiyyah of his foiled plan to seize the region for the Alid and offered to send another army to Medina if Ibn al-Hanafiyyah notified the city's inhabitants that Mukhtar was working on his behalf. Ibn al-Hanafiyyah refused, citing his opposition to bloodshed. Nonetheless, Ibn al-Zubayr, after becoming aware of Mukhtar's intentions and fearing a pro-Alid revolt in the Hejaz, detained Ibn al-Hanafiyyah to forcibly gain his allegiance, hoping Mukhtar would follow suit. Ibn al-Hanafiyyah requested help from Mukhtar, who subsequently dispatched a four thousand-strong force to free him. This caused a further deterioration in relations between Mecca and Kufa.[40][41][42]
তথ্যসূত্র
- Madelung 1997, পৃ. 420–424।
- Kennedy 2016, পৃ. 82।
- Fishbein 1990, পৃ. 102।
- Madelung, Wilferd 1997, পৃ. xv–xvi।
- Dixon 1971, পৃ. 27–28।
- Hawting 1989, পৃ. 105।
- Wellhausen 2000, পৃ. 146–147।
- Wellhausen 1975, পৃ. 125।
- Howard 1990, পৃ. 65।
- Al-Abdul Jader 2010, পৃ. 6।
- Wellhausen 2000, পৃ. 148।
- Kennedy 2016, পৃ. 81।
- Dixon 1971, পৃ. 32–33।
- Hawting 1989, পৃ. 114–115।
- Wellhausen 1975, পৃ. 126।
- Watt 1960, পৃ. 163।
- Daftary 1992, পৃ. 52।
- Hawting 1989, পৃ. 93।
- Wellhausen 1975, পৃ. 128–130।
- Dixon 1971, পৃ. 42−43।
- Anthony 2011, পৃ. 259।
- Al-Abdul Jader 2010, পৃ. 8।
- Al-Abdul Jader 2010, পৃ. 6–7।
- Dixon 1971, পৃ. 37–45।
- Kennedy 2016, পৃ. 83।
- Anthony 2011, পৃ. 283।
- Wellhausen 1975, পৃ. 131–132।
- Donner 2010, পৃ. 185।
- Zakeri 1995, পৃ. 207।
- Dixon 1971, পৃ. 59–63।
- Daftary 1992, পৃ. 53।
- Wellhausen 1975, পৃ. 132।
- Dixon 1971, পৃ. 68–69।
- Anthony 2011, পৃ. 265–273।
- Wellhausen 1975, পৃ. 137।
- Wellhausen 2000, পৃ. 186।
- Hawting 2002, পৃ. 53।
- Anthony 2011, পৃ. 260।
- Fishbein 1990, পৃ. 53–54।
- Dixon 1971, পৃ. 56–58।
- Wellhausen 1975, পৃ. 132–133।
- Fishbein 1990, পৃ. 55–59।
উত্স
- A sect of Muslims who, unlike Sunni Muslims, believe that Ali, the cousin and son-in-law of the Islamic prophet Muhammad, and his descendants were the rightful and divinely appointed leaders (imams) of the Muslim community.[1]
- Pro-Alids or Alid partisans were political supporters of Ali and his family.
- In the tribal society of the early caliphate, every Muslim had to belong to an Arab tribe. Non-Arab converts were thus incorporated into Arab tribes, although not as equal members, hence the term mawlā (client).[16]