মা ও ছেলে

মা ও ছেলে কামাল আহমেদ পরিচালিত ১৯৮৫ সালের প্রণয়ধর্মী-নাট্য চলচ্চিত্র। ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ইসমাইল মোহাম্মদ। চিত্রনায়িকা শাবানা নিবেদিত চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা ও পরিবেশনা করেছে চিত্রকথা। এতে মা ও ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রেহানা জলিআলমগীর[1] অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন শাবানা, বুলবুল আহমেদ, প্রবীর মিত্র, খলিল উল্লাহ খান, গোলাম মুস্তাফা, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ।

মা ও ছেলে
পরিচালককামাল আহমেদ
প্রযোজকশাবানা
চিত্রনাট্যকারইসমাইল মোহাম্মদ
শ্রেষ্ঠাংশে
প্রযোজনা
কোম্পানি
চিত্রকথা
পরিবেশকচিত্রকথা
মুক্তি১৯৮৫ (1985)
দৈর্ঘ্য১৮০ মিনিট
দেশবাংলাদেশ
ভাষাবাংলা

এই চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রেহানা জলির এবং তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।[2] এছাড়া শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে আলমগীর[3] এবং শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার বিভাগে ইসমাইল মোহাম্মদ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।

কাহিনী সংক্ষেপ

রাজিব চৌধুরী মমতাকে বিয়ে করে ঘরে আনার রাতে অসুস্থ হয়ে পড়ে। রাজিবের বন্ধু ডঃ আরিফ রাজিবের বাবা রফিক চৌধুরীকে জানায় রাজিবের ব্লাড ক্যান্সার হয়েছে। আরিফ রাজিবের স্ত্রী মমতাকে তার সাথে মিলনে রত না হওয়ার পরামর্শ দেয়। কিছু দিনের মধ্যে রাজিব মারা যায় এবং মমতা অন্তস্বত্তা হয়ে পড়ে। রাজিবের মা এবং ভাই রাকিব চৌধুরী তাকে ব্যভিচারের কলঙ্ক দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। মমতা তার সন্তান নিয়ে এক ছন্নছাড়া লোকের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। তার বাড়িতে মমতার ছেলে দীপক বড় হয়।

দীপক ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করে। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়াকালীন তার কিরণের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। যে কিরণ আসলে তার চাচা রাকিব চৌধুরীর মেয়ে। সে পাস করে তার বন্ধুর ফার্মে যোগ দেয়। তার প্রভুত উন্নতি দেখে রাকিব চৌধুরী তাকে তার অফিসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। দীপক এই সুযোগে তার চাচা রাকিব চৌধুরীকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তার অফিসে যোগ দেয় এবং তার মায়ের অপমানের পরিশোধ নিতে তাকে রাকিবকে সর্বস্বান্ত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

কুশীলব

সঙ্গীত

মা ও ছেলে চলচ্চিত্রের গীত রচনা করেছেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। গানে কণ্ঠ দিয়েছেন সাবিনা ইয়াসমিন, খুরশিদ আলম, সৈয়দ আব্দুল হাদী, এন্ড্রু কিশোররুনা লায়লা

পুরস্কার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. এলাহি, ফজলে (২৪ জুন ২০১৬)। "আলমগীর: বাংলা চলচ্চিত্রের অসাধারন অভিনেতা"ফিল্মিমাইক। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭
  2. ফারুকী, ইসহাক (ফেব্রুয়ারি ২২, ২০১৪)। "দেখতে দেখতে ২৫ বছর কেটে গেল!"দ্য রিপোর্ট। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭
  3. মারিয়া, শান্তা (৩ এপ্রিল ২০১৬)। "চিরসবুজ আলমগীর"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:কামাল আহমেদ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.