মঙ্গল গ্রহে জল

বর্তমানে মঙ্গল গ্রহে জল প্রায় সর্বাংশেই বরফের আকারে বিদ্যমান। মঙ্গল অত্যন্ত শুষ্ক একটি গ্রহ। যদিও এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলে স্বল্প পরিমাণে জলীয় বাষ্পের উপস্থিতির কথা জানা যায়।[4] মঙ্গলের অগভীর মাটিতে যাকে নিম্ন-ঘনত্বসম্পন্ন তরল ব্রাইন মনে করা হয়েছিল (যা মঙ্গল গ্রহের উষ্ণ ঢালে মরসুমি প্রবাহ নামেও পরিচিত),[5][6] তা হয়তো ঢালু জমিতে গড়িয়ে পড়া প্রবহমান বালি ও ধূলার দানার আঁকাবাঁকা ডোরা দাগ।[7] মঙ্গল-পৃষ্ঠের উত্তর মেরুস্থ হিমছত্রেই কেবলমাত্র জলীয় বরফ দৃশ্যমান হয়।[8] এছাড়া দক্ষিণ মেরুতে স্থায়ী কার্বন ডাই অক্সাইড হিমছত্রের নিচে এবং অধিকতর নাতিশীতোষ্ণ পরিমণ্ডলে অগভীর অন্তর্ভূপৃষ্ঠে প্রচুর জলীয় বরফ উপস্থিত।[9][10][11] মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠভাগে অথবা পৃষ্ঠভাগের কাছে ১০০০০০০ ২ কোটি ১০ লক্ষ ঘন-কিলোমিটার ব্যাপী বরফ শনাক্ত করা গিয়েছে, যা গ্রহটির সমগ্র পৃষ্ঠভাগকে ৩৫ মিটার গভীর জলের তলায় নিমজ্জিত করার পক্ষে যথেষ্ট।[12] এমনকি গভীর অন্তর্ভূপৃষ্ঠে আরও বরফ আটকে থাকারও সম্ভাবনা রয়েছে।[13]

ভূতাত্ত্বিক তথ্য-পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে শিল্পীর কল্পনায় প্রাচীন মঙ্গল গ্রহের সম্ভাব্য রূপকল্প
মঙ্গল – ইউটোপিয়া প্ল্যানিশিয়া
মঙ্গলীয় ভূখণ্ড
ভূখণ্ডের মানচিত্র
স্ক্যালোপড ভূখণ্ড থেকে প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ বরফ আবিষ্কারের পথ সুগম হয় – এই জল সুপিরিয়র হ্রদ পরিপূর্ণ করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট (২২ নভেম্বর, ২০১৬)[1][2][3]

কিছুটা তরল জল হয়তো বর্তমানে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠভাগে ক্ষণস্থায়ীভাবে বিদ্যমান। কিন্তু বায়ুমণ্ডলের দ্রবীভূত আর্দ্রতার চিহ্ন ও ঘনত্বহীন আবরণীর মধ্যেই তা সীমাবদ্ধ।[6][14][15] গ্রহের পৃষ্ঠভাগে তরল জলের কোনও বৃহৎ স্থায়ী আধার নেই। কারণ সেখানে বায়ুমণ্ডলীয় চাপ গড়ে মাত্র ৬০০ pascal (০.০৮৭ psi), যা গলনাঙ্কে জলের বাষ্পীয় চাপের সামান্য নীচে; মঙ্গল গ্রহের সাধারণ পরিস্থিতিতে এই গ্রহের পৃষ্ঠভাগে বিশুদ্ধ জল হয় জমে যাবে অথবা, গলনাঙ্কের উপর উত্তপ্ত হয়, তবে উর্ধ্বপাতিত হয়ে বাষ্পে পরিণত হবে। প্রায় ৩৮০ কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল সম্ভবত অধিকতর ঘন ছিল এবং এই গ্রহের পৃষ্ঠতলের তাপমাত্রাও সম্ভবত বেশি ছিল।[16][17] যার ফলে হয়তো গ্রহের পৃষ্ঠতলে প্রচুর পরিমাণে তরল জলও ছিল।[18][19][20][21] যার মধ্যে সম্ভবত একটি বৃহৎ মহাসাগরও ছিল।[22][23][24][25] এই মহাসাগরটি সম্ভবত গ্রহের এক-তৃতীয়াংশ জুড়ে ছিল।[26][27][28] মঙ্গলের সাম্প্রতিক ইতিহাসেও একাধিক বিরতিতে অল্প সময়ের জন্য গ্রহের পৃষ্ঠতলে জলপ্রবাহ ছিল বলে স্পষ্ট বোঝা যায়।[29][30][31] ২০১৩ সালের ৯ ডিসেম্বর নাসা জানায় যে, কিউরিওসিটি রোভার কর্তৃক এইলিস প্যালাস অঞ্চল পর্যবেক্ষণ থেকে প্রাপ্ত প্রমাণের ভিত্তিতে বোঝা গিয়েছে গেল অভিঘাত খাদের মধ্যে একটি প্রাচীন মিষ্টিজলের হ্রদ ছিল, যা হয়ত অনুজীব জীবনের পক্ষে সহায়ক ছিল।[32][33]

একাধিক প্রমাণ নির্দেশ করে যে, মঙ্গল গ্রহে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বরফ বিদ্যমান এবং এই গ্রহের ভূতাত্ত্বিক ইতিহাসে সেই জলীয় বরফ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।[34][35] মহাকাশযান থেকে গৃহীত চিত্র, রিমোট সেন্সিং কৌশল (বর্ণালিসংক্রান্ত পরিমাপ,[36][37] র‍্যাডার,[38] ইত্যাদি) এবং ল্যান্ডার ও রোভারগুলির পৃষ্ঠতল অনুসন্ধানের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে বর্তমানে বিদ্যমান জলের একটি আনুমানিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়।[39][40] অতীতে জলের অস্তিত্বের ভূতাত্ত্বিক প্রমাণগুলির মধ্যে আছে বন্যার ফলে সৃষ্ট বহুসংখ্যক বহিঃপ্রবাহ প্রণালি[41] প্রাচীন নদী উপত্যকা জালক,[42][43] বদ্বীপ,[44] ও হ্রদতল।[45][46][47][48] এছাড়া পৃষ্ঠভাগের উপর এমন কিছু পাথর ও খনিজ শনাক্ত করা গিয়েছে, যেগুলি শুধুমাত্র তরল জলের দ্বারাই গঠিত হওয়া সম্ভব।[49] অসংখ্য ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সাম্প্রতিক অতীতে[50][51][52][53] এবং বর্তমানে[54] এই গ্রহে ভূগর্ভস্থ বরফ (পার্মাফ্রস্ট) ও হিমবাহগুলিতে বরফের সঞ্চলনের কথা ইঙ্গিত করে।[55] সংকীর্ণ নালিকা এবং খাড়া পাড় ও অভিঘাত গহ্বরের প্রাচীরগুলির গায়ে রৈখিক ঢাল ইঙ্গিত করে যে, প্রবহমান জল মঙ্গল গ্রহের ভূপৃষ্ঠকে রূপ দেওয়ার কাজটি চালিয়ে যায়, যদিও সুপ্রাচীন কালের তুলনায় অনেক কম হারে।

কয়েক কোটি বছর আগে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠভাগ পর্যায়ক্রমে আর্দ্র হয়েছিল এবং সেই সময় হয়তো এই গ্রহ অনুজৈব জীবনের পক্ষে সহায়কও ছিল।[56] কিন্তু মঙ্গল-পৃষ্ঠের বর্তমান পরিবেশটি শুষ্ক ও প্রায় হিমায়িত, যা সম্ভবত জীবনধারণের ক্ষেত্রে অনতিক্রমণীয় বাধার সৃষ্টি করে। সেই সঙ্গে আবার মঙ্গল গ্রহে একটি ঘন বায়ুমণ্ডল, ওজন স্তর ও চৌম্বক ক্ষেত্র না থাকায় সৌর ও অন্যান্য মহাজাগতিক রশ্মিগুলি সরাসরি মঙ্গল-পৃষ্ঠে আঘাত করে। কোষবিশিষ্ট শরীরের উপর আয়নায়িত রশ্মিবিচ্ছুরণের ক্ষতিকারক প্রভাব হল মঙ্গল-পৃষ্ঠে জীবনের উদ্বর্তনের পথে অন্যতম প্রধান সীমাবদ্ধতা।[57][58] তাই মঙ্গলে জীবন আবিষ্কারের শ্রেষ্ঠ সম্ভাব্য স্থান হল অন্তর্ভূপৃষ্ঠের পরিবেশগুলি।[59][60][61] ২০১৬ সালের ২২ নভেম্বর নাসা জানায় যে, মঙ্গল গ্রহের এক স্থানে প্রচুর পরিমাণে ভূগর্ভস্থ বরফের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এখানে জলের পরিমাণ যা শনাক্ত করা হয়েছে, তা সুপিরিয়র হ্রদের সমগ্র জলরাশির সমান।[1][2][3] ২০১৮ সালের জুলাই মাসে ইতালিয়ান বৈজ্ঞানিকেরা জানান যে, মঙ্গল গ্রহে একটি উপহিমবাহ হ্রদ আবিষ্কৃত হয়েছে। ১.৫ কিমি (০.৯৩ মা) আয়তনের এই হ্রদটির অবস্থান দক্ষিণ মেরুস্থ হিমছত্রের তলদেশে। পাশের দিকে এই হ্রদের প্রসার প্রায় ২০ কিমি (১২ মা)। এটিই এই গ্রহের প্রথম আবিষ্কৃত সুস্থিত জলাশয়।[62]

মঙ্গল গ্রহে জলের আয়তন ও অবস্থা খতিয়ে দেখা এই গ্রহের জীবন বিকাশের সম্ভাবনা পর্যালোচনা এবং ভবিষ্যৎ অভিযানের জন্য ব্যবহারযোগ্য সম্পদ আহরণের ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই জন্য ২১শ শতাব্দীর প্রথম দশকে নাসার মার্স এক্সপ্লোরেশন প্রোগ্রামের (এমইপি) বিজ্ঞান-সংক্রান্ত থিম ছিল "ফলো দ্য ওয়াটার"। ২০০১ মার্স ওডিসি, মার্ক্স এক্সপ্লোরেশন রোভারসমূহ (এমইআর), মার্স রিকনসঁস অরবিটার (এমআরও) ও মার্স ফিনিক্স ল্যান্ডারের আবিষ্কারগুলি এই গ্রহে জলের অতিপ্রাচুর্য ও বণ্টন-সংক্রান্ত প্রধান প্রশ্নগুলির উত্তরদানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির (ইএসএ) মার্স এক্সপ্রেস অরবিটারও এই অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্য-পরিসংখ্যান সরবরাহ করেছে।[63] মার্স ওডিসি, মার্স এক্সপ্রেস, এমআরও ও মার্স সায়েন্স ল্যান্ডার কিউরিওসিটি রোভার এখনও মঙ্গল গ্রহ থেকে তথ্য-পরিসংখ্যান পাঠাচ্ছে এবং নতুন নতুন আবিষ্কারের ঘটনা ঘটে চলেছে।

ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট

মঙ্গল গ্রহে জলের ধারণাটি মহাকাশ যুগের থেকেও কয়েকশো বছরের পুরনো। প্রথম দিকের দূরবীনের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করে সঠিকভাবেই অনুমান করা হয়েছিল যে, মেরুস্থ সাদা হিমছত্র ও মেঘগুলি জলের উপস্থিতি নির্দেশ করছে। এই সব পর্যবেক্ষণ এবং সেই সঙ্গে মঙ্গল গ্রহে ২৪ ঘণ্টায় দিনরাতের বিষয়টির কথা মাথায় রেখে জ্যোতির্বিদ উইলিয়াম হার্শেল ১৭৮৪ সালে ঘোষণা করেন যে, মঙ্গল গ্রহ সম্ভবত সে গ্রহের অধিবাসীদের "এমন এক পরিস্থিতি [প্রদান করে] যা অনেক দিক থেকেই ঠিক আমাদেরই মতো"।[64]

মঙ্গল গ্রহের ঐতিহাসিক মানচিত্র, জিওভান্নি শিয়াপারেলি
মঙ্গল গ্রহের ক্যানালসমূহ, জ্যোতির্বিদ পার্সিভাল লোয়েল কর্তৃক অঙ্কিত, ১৮৯৮।

২০শ শতাব্দীর গোড়াতেই অধিকাংশ জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্বীকার করে নেন যে, মঙ্গল গ্রহ পৃথিবীর থেকে অনেক বেশি ঠান্ডা ও শুষ্ক। মহাসাগরের অস্তিত্বের ধারণাটিও পরিত্যক্ত হয়। তাই মঙ্গল গ্রহটি এমন এক "মুমূর্ষু" গ্রহের উদাহরণ হয়ে ওঠে, যেখানে জলের পরিমাণ অত্যন্ত অপর্যাপ্ত। এই গ্রহের যে অন্ধকারাচ্ছন্ন অঞ্চলগুলি ঋতু অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে দেখা যায়, সেগুলিকে গাছপালায় ভরা অঞ্চল মনে করা হল।[65] মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে এই ধারণাটিকে জনপ্রিয় করে তোলার পিছনে যে ব্যক্তির অবদান সর্বাধিক, তার নাম পার্সিভাল লোয়েল (১৮৫৫-১৯১৬)। তিনি ভেবেছিলেন, মঙ্গল গ্রহের অধিবাসীদের একটি প্রজাতি মেরু অঞ্চল থেকে বিষুব অঞ্চলের বাসিন্দাদের কাছে জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য ক্যানালের একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে। লোয়েলের এই ধারণা সাধারণ মানুষের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করলেও, অধিকাংশ জ্যোতির্বিজ্ঞানীই তা প্রত্যাখ্যান করেন। বিজ্ঞানী সমাজের সংখ্যাগুরু অংশের দৃষ্টিভঙ্গির সারবস্তু সম্ভবত সবচেয়ে ভালো ভাবে উল্লেখ করেছিলেন ইংরেজ জ্যোতির্বিজ্ঞান এডওয়ার্ড ওয়াল্টার মন্ডার (১৮৫১-১৯২৮)। তিনি মঙ্গল গ্রহের জলবায়ুর তুলনা করেছিলেন উত্তর মেরু অঞ্চলে একটি দ্বীপে অবস্থিত কুড়ি হাজার ফুট উঁচু পর্বতশৃঙ্গের শীর্ষদেশের অবস্থার সঙ্গে,[66] যেখানে লাইকেন-জাতীয় ছত্রাকই শুধু প্রাণধারণ করতে পারে বলে মনে করা যেতে পারে।

এরই মধ্যে অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলের উপাদানগুলি সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়ার আশায় গ্রহ বর্ণালিবিজ্ঞানের যন্ত্রপাতিগুলি পরিমার্জিত করছিলেন। ১৯২৫ থেকে ১৯৪৩ সালের মধ্যে মাউন্ট উইলসন মানমন্দিরে ওয়াল্টার অ্যাডামস ও থিওডোর ডানহ্যাম মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলে অক্সিজেন ও জলীয় বাষ্প চিহ্নিত করার চেষ্টা করছিলেন। তবে সাধারণভাবে সেই পরীক্ষার ফলাফল নেতিবাচকই হয়েছিল। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডলের একমাত্র যে উপাদানটির কথা জানা গিয়েছিল সেটি হল কার্বন ডাই অক্সাইড (CO2)। ১৯৪৭ সালে গেরার্ড কুইপার বর্ণালি বিশ্লেষণের মাধ্যমে তা চিহ্নিত করেছিলেন।[67] ১৯৬৩ সালের আগে মঙ্গলে জলীয় বাষ্প নিঃসন্দেহে শনাক্ত করা যায়নি।[68]

মেরিনার ৪ কর্তৃক সংগৃহীত এই ছবিটিতে মঙ্গল গ্রহকে একটি মরুময় গ্রহ হিসাবে দেখা যায় (১৯৬৫)

ক্যাসিনির সময় থেকে (১৬৬৬) মনে করা হত যে, মেরুস্থ হিমছত্রগুলি জলীয় বরফ দ্বারা গঠিত। ১৮০০-এর দশকের শেষ দিকে অল্প কয়েকজন বিজ্ঞানী এই মতের যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তারা মনে করতেন এই হিমছত্রগুলি কার্বন ডাই অক্সাইড বরফ দ্বারা গঠিত। সামগ্রিকভাবে এই গ্রহের কম তাপমাত্রা ও আপাতদৃষ্টিতে পরিমাপযোগ্য জলের অভাবের দিকটি বিবেচনা করে তারা এই মত প্রকাশ করেছিলেন। ১৯৬৬ সালে রবার্ট লিটন ও ব্রুস মারে এই উপপ্রমেয়টিকে তাত্ত্বিকভাবে নিশ্চিত করেন।[69] বর্তমানে জানা গিয়েছে যে, উভয় মেরুর হিমছত্রগুলি প্রধানত কার্বন ডাই অক্সাইড বরফেই নির্মিত। তবে উত্তর মেরুতে গ্রীষ্মকালে একটি স্থায়ী (অথবা দীর্ঘস্থায়ী) জলীয় বরফ গঠিত হিমছত্র অবস্থান করে। দক্ষিণ মেরুতে গ্রীষ্মে কার্বন ডাই অক্সাইডের বরফ গঠিত একটি ছোটো হিমছত্র থাকে। কিন্তু সেই হিমছত্রটিও জলীয় বরফের আচ্ছাদনে ঢাকা থাকে।

১৯৬৫ সালে মেরিনার ৪ মঙ্গল গ্রহের জলবায়ু-সংক্রান্ত সর্বশেষ দুর্বোধ্য প্রশ্নটি উপস্থাপিত করে। সেই মহাকাশযান থেকে তোলা অস্পষ্ট টেলিভিশন ছবিগুলিতে দেখা যায়, এই গ্রহের পৃষ্ঠতল অভিঘাত খাদে ভর্তি। এটি ইঙ্গিত করে এই পৃষ্ঠতল অত্যন্ত প্রাচীন এবং পৃথিবীতে যেমন ভূমিক্ষয়ের বিভিন্ন স্তর ও টেকটনিক ক্রিয়াকলাপ দৃষ্ট হয়, তা এই গ্রহের ক্ষেত্রে ঘটেনি। অল্প পরিমাণে ভূমিক্ষয়ের অর্থ, কোটি কোটি বছর ধরে এই গ্রহের ভূমিরূপবিদ্যার ক্ষেত্রে তরল জল বড়ো কোনও ভূমিকা গ্রহণ করেনি।[70] তাছাড়া মহাকাশযানটি যখন গ্রহের পিছন দিয়ে চলেছিল তখন সেটি থেকে পাওয়া বেতার সংকেতে ধরা পড়া বিভিন্নতা থেকে বিজ্ঞানীরা এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলের ঘনত্ব পরিমাপ করার সুযোগ পান। ফলাফল থেকে দেখা যায়, এই গ্রহের বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর সমুদ্রপৃষ্ঠের বায়ুমণ্ডলের চাপের ১%-এরও কম, যার ফলে তরল জলের অস্তিত্ব কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এহেন কম চাপে জল দ্রুত উত্তপ্ত হয়ে বাষ্পে পরিণত হয় অথবা জমে যায়।[71] তাই মঙ্গল গ্রহ অনেকটা চাঁদের মতো একটি জগৎ বলেই বিজ্ঞানীদের ধারণা জন্মে। শুধুমাত্র এই গ্রহে ধুলো উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখা একটি হালকা বায়ুমণ্ডল আছে, যা চাঁদের নেই। এই ধারণাটিই বিজ্ঞানীরা প্রায় এক দশক ধরে পোষণ করেছিলেন। এরপর মেরিনার ৯ এক অধিকতর গতিময় মঙ্গল গ্রহের ছবি উপস্থাপিত করে। এই ছবিগুলি ইঙ্গিত করে এই গ্রহের অতীতের পরিবেশ বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি সহনীয় ছিল।

২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি, নাসা ঘোষণা করে যে, মঙ্গল গ্রহে কিউরিওসিটি ও অপারচুনিটি রোভার দু’টির সাম্প্রতিক গবেষণার বিষয়বস্তু হবে প্রাচীন জীবনের প্রমাণ অনুসন্ধান করা। এর মধ্যে স্বভোজী, কিমোট্রফিক এবং/অথবা কিমোলিথোঅটোট্রফিক অনুজীব যেমন রয়েছে, তেমনই আছে প্রাচীন জলের অনুসন্ধান। ফ্লাভিও-লেকাস্ট্রাইন পরিবেশে (প্রাচীন নদনদী ও হ্রদ-সম্পর্কিত অঞ্চল) এই জল হয়তো গ্রহটিকে বাসযোগ্য করেছিল।[72][73][74]

বহু বছর ধরে মনে করা হত যে, বন্যার যে অবশিষ্টাংশ পর্যবেক্ষিত হয়েছে, তার কারণ কোনও সর্বব্যাপী জলাধার থেকে জলের নিঃসরণ। কিন্তু ২০১৫ সালে প্রকাশিত গবেষণাপত্র থেকে জানা গিয়েছে যে, এর উৎস ৪ কোটি ৫ কোটি বছর আগে সংঘটিত পলি ও বরফের আঞ্চলিক সঞ্চয়।[75] মঙ্গল গ্রহের উত্তরের নিম্নভূমি অঞ্চলে যে আদিম মহাসাগর ছিল, তার তলদেশের গভীর গিরিখাতগুলিতে নদী ও হিমবাহের গলনের ফলে বাহিত পলি সঞ্চিত হয়। এই গভীর উপত্যকার পলির মধ্যে সংরক্ষিত জলই পরে বিধ্বংসী বন্যার আকারে মুক্তিলাভ করে এবং তার প্রভাবগুলি আজও দেখা যায়।[41][75]

পাথর ও খনিজ পদার্থ থেকে প্রাপ্ত প্রমাণ

সাধারণভাবে বিজ্ঞানীরা স্বীকার করেন যে, মঙ্গল গ্রহের আদি ইতিহাসে এই গ্রহে প্রচুর পরিমাণে জলের অস্তিত্ব ছিল।[76][77] কিন্তু তারপর থেকে তরল জলের সকল বৃহৎ অঞ্চলই অবলুপ্ত হয়েছে। এই জলের একটি ক্ষুদ্র অংশ মঙ্গল গ্রহে এখনও বরফের আকারে এবং প্রচুর পরিমাণে কাদা খনিজ (ফিলোসিলিকেট) ও সালফেটের মতো জল-সমৃদ্ধ উপাদানের মধ্যে আবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে।[78][79] হাইট্রোজেন আইসোটোপিক অনুপাত পর্যালোচনা ইঙ্গিত করে যে, ২.৫ জ্যোতির্বিদ্যা-এককের (এইউ) অধিক দূরবর্তী স্থান থেকে আগত গ্রহাণু ও ধূমকেতুগুলি মঙ্গল গ্রহের জলের উৎস,[80] যা পৃথিবীর এখনকার মহাসাগরের ২৭% জলের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গল গ্রহের সাম্প্রতিক জলের ৬%।[80]

মঙ্গল গ্রহে জলের ইতিহাস। সংখ্যাগুলি ইঙ্গিত করছে কত বিলিয়ন বছর আগেকার পরিস্থিতি।

আরও দেখুন
  • মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডলীয় জল
  • মঙ্গল গ্রহের জলবায়ু
  • মঙ্গল গ্রহে জনবসতি স্থাপন
  • মঙ্গল ও পৃথিবীতে জলের বিবর্তন
  • পৃথিবী-বহিঃস্থ তরল জল
  • মঙ্গল গ্রহের হ্রদ
  • মঙ্গল গ্রহে জীবন
  • মার্স এক্সপ্রেস § বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলি
  • মার্স গ্লোবাল সার্ভেয়ার§ মঙ্গল গ্রহে জলীয় বরফের আবিষ্কার
  • মঙ্গলীয় ক্যানাল
  • মঙ্গল গ্রহের কর্দম ফাটল

তথ্যসূত্র
  1. Staff (নভেম্বর ২২, ২০১৬)। "Scalloped Terrain Led to Finding of Buried Ice on Mars"। NASA। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৩, ২০১৬।
  2. "Lake of frozen water the size of New Mexico found on Mars – NASA"। The Register। নভেম্বর ২২, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৩, ২০১৬।
  3. "Mars Ice Deposit Holds as Much Water as Lake Superior"। NASA। নভেম্বর ২২, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২৩, ২০১৬।
  4. Jakosky, B.M.; Haberle, R.M. (১৯৯২)। "The Seasonal Behavior of Water on Mars"। Kieffer, H.H.; ও অন্যান্য। Mars। Tucson, AZ: University of Arizona Press। পৃষ্ঠা 969–1016।
  5. Martín-Torres, F. Javier; Zorzano, María-Paz; Valentín-Serrano, Patricia; Harri, Ari-Matti; Genzer, Maria (এপ্রিল ১৩, ২০১৫)। "Transient liquid water and water activity at Gale crater on Mars"। Nature Geoscience। 8 (5): 357–361। doi:10.1038/ngeo2412। বিবকোড:2015NatGe...8..357M। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৪, ২০১৫।
  6. Ojha, L.; Wilhelm, M. B.; Murchie, S. L.; McEwen, A. S.; Wray, J. J.; Hanley, J.; Massé, M.; Chojnacki, M. (২০১৫)। "Spectral evidence for hydrated salts in recurring slope lineae on Mars"। Nature Geoscience। 8 (11): 829–832। doi:10.1038/ngeo2546। বিবকোড:2015NatGe...8..829O।
  7. Recurring Martian Streaks: Flowing Sand, Not Water?, Nasa.org 2017-11-20
  8. Carr, M.H. (১৯৯৬)। Water on Mars। New York: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 197।
  9. Bibring, J.-P.; Langevin, Yves; Poulet, François; Gendrin, Aline; Gondet, Brigitte; Berthé, Michel; Soufflot, Alain; Drossart, Pierre; Combes, Michel; Bellucci, Giancarlo; Moroz, Vassili; Mangold, Nicolas; Schmitt, Bernard; Omega Team, the; Erard, S.; Forni, O.; Manaud, N.; Poulleau, G.; Encrenaz, T.; Fouchet, T.; Melchiorri, R.; Altieri, F.; Formisano, V.; Bonello, G.; Fonti, S.; Capaccioni, F.; Cerroni, P.; Coradini, A.; Kottsov, V.; ও অন্যান্য (২০০৪)। "Perennial Water Ice Identified in the South Polar Cap of Mars"। Nature। 428 (6983): 627–630। doi:10.1038/nature02461। PMID 15024393। বিবকোড:2004Natur.428..627B।
  10. Pradeep, Thalappil; Kumar, Rajnish; Choudhary, Nilesh; Ragupathy, Gopi; Bhuin, Radha Gobinda; Methikkalam, Rabin Rajan J.; Ghosh, Jyotirmoy (২০১৯-০১-২৯)। "Clathrate hydrates in interstellar environment"। Proceedings of the National Academy of Sciences (ইংরেজি ভাষায়)। 116 (5): 1526–1531। doi:10.1073/pnas.1814293116। PMID 30630945। আইএসএসএন 0027-8424। পিএমসি 6358667 ।
  11. "Water at Martian south pole"। European Space Agency (ESA)। মার্চ ১৭, ২০০৪।
  13. Carr, 2006, p. 173.
  14. Webster, Guy; Brown, Dwayne (ডিসেম্বর ১০, ২০১৩)। "NASA Mars Spacecraft Reveals a More Dynamic Red Planet"। NASA।
  15. "Liquid Water From Ice and Salt on Mars"। Geophysical Research Letters। NASA Astrobiology। জুলাই ৩, ২০১৪। আগস্ট ১৪, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ১৩, ২০১৪।
  16. Pollack, J.B. (১৯৭৯)। "Climatic Change on the Terrestrial Planets"। Icarus। 37 (3): 479–553। doi:10.1016/0019-1035(79)90012-5। বিবকোড:1979Icar...37..479P।
  17. Pollack, J.B.; Kasting, J.F.; Richardson, S.M.; Poliakoff, K. (১৯৮৭)। "The Case for a Wet, Warm Climate on Early Mars"। Icarus। 71 (2): 203–224। doi:10.1016/0019-1035(87)90147-3। বিবকোড:1987Icar...71..203P।
  18. "releases/2015/03/150305140447"। sciencedaily.com। সংগ্রহের তারিখ মে ২৫, ২০১৫।
  19. Villanueva, G.; Mumma, M.; Novak, R.; Käufl, H.; Hartogh, P.; Encrenaz, T.; Tokunaga, A.; Khayat, A.; Smith, M. (২০১৫)। "Strong water isotopic anomalies in the martian atmosphere: Probing current and ancient reservoirs"। Science। 348 (6231): 218–221। doi:10.1126/science.aaa3630। PMID 25745065। বিবকোড:2015Sci...348..218V।
  20. Baker, V.R.; Strom, R.G.; Gulick, V.C.; Kargel, J.S.; Komatsu, G.; Kale, V.S. (১৯৯১)। "Ancient oceans, ice sheets and the hydrological cycle on Mars"। Nature। 352 (6348): 589–594। doi:10.1038/352589a0। বিবকোড:1991Natur.352..589B।
  21. Salese, F.; Ansan, V.; Mangold, N.; Carter, J.; Anouck, O.; Poulet, F.; Ori, G.G. (২০১৬)। "A sedimentary origin for intercrater plains north of the Hellas basin: Implications for climate conditions and erosion rates on early Mars"। Journal of Geophysical Research: Planets। 121 (11): 2239–2267। doi:10.1002/2016JE005039। বিবকোড:2016JGRE..121.2239S।
  22. Parker, T.J.; Saunders, R.S.; Schneeberger, D.M. (১৯৮৯)। "Transitional Morphology in West Deuteronilus Mensae, Mars: Implications for Modification of the Lowland/Upland Boundary"। Icarus। 82 (1): 111–145। doi:10.1016/0019-1035(89)90027-4। বিবকোড:1989Icar...82..111P।
  23. Dohm, J.M.; Baker, Victor R.; Boynton, William V.; Fairén, Alberto G.; Ferris, Justin C.; Finch, Michael; Furfaro, Roberto; Hare, Trent M.; Janes, Daniel M.; Kargel, Jeffrey S.; Karunatillake, Suniti; Keller, John; Kerry, Kris; Kim, Kyeong J.; Komatsu, Goro; Mahaney, William C.; Schulze-Makuch, Dirk; Marinangeli, Lucia; Ori, Gian G.; Ruiz, Javier; Wheelock, Shawn J. (২০০৯)। "GRS Evidence and the Possibility of Paleooceans on Mars"। Planetary and Space Science। 57 (5–6): 664–684। doi:10.1016/j.pss.2008.10.008। বিবকোড:2009P&SS...57..664D।
  24. "PSRD: Ancient Floodwaters and Seas on Mars"। Psrd.hawaii.edu। জুলাই ১৬, ২০০৩।
  25. "Gamma-Ray Evidence Suggests Ancient Mars Had Oceans"। SpaceRef। নভেম্বর ১৭, ২০০৮।
  26. Clifford, S.M.; Parker, T.J. (২০০১)। "The Evolution of the Martian Hydrosphere: Implications for the Fate of a Primordial Ocean and the Current State of the Northern Plains"। Icarus। 154 (1): 40–79। doi:10.1006/icar.2001.6671। বিবকোড:2001Icar..154...40C।
  28. "Ancient ocean may have covered third of Mars"। Sciencedaily.com। জুন ১৪, ২০১০।
  29. Carr, 2006, pp 144–147.
  30. Fassett, C. I.; Dickson, James L.; Head, James W.; Levy, Joseph S.; Marchant, David R. (২০১০)। "Supraglacial and Proglacial Valleys on Amazonian Mars"। Icarus। 208 (1): 86–100। doi:10.1016/j.icarus.2010.02.021। বিবকোড:2010Icar..208...86F।
  31. "Flashback: Water on Mars Announced 10 Years Ago"। SPACE.com। জুন ২২, ২০০০।
  32. Chang, Kenneth (ডিসেম্বর ৯, ২০১৩)। "On Mars, an Ancient Lake and Perhaps Life"। New York Times।
  33. Various (ডিসেম্বর ৯, ২০১৩)। "Science – Special Collection – Curiosity Rover on Mars"। Science।
  34. Parker, T.; Clifford, S. M.; Banerdt, W. B. (২০০০)। "Argyre Planitia and the Mars Global Hydrologic Cycle" (PDF)। Lunar and Planetary Science। XXXI: 2033। বিবকোড:2000LPI....31.2033P।
  35. Heisinger, H.; Head, J. (২০০২)। "Topography and morphology of the Argyre basin, Mars: implications for its geologic and hydrologic history"। Planet. Space Sci.। 50 (10–11): 939–981। doi:10.1016/S0032-0633(02)00054-5। বিবকোড:2002P&SS...50..939H।
  36. Soderblom, L.A. (১৯৯২)। Kieffer, H.H.; ও অন্যান্য, সম্পাদকগণ। The composition and mineralogy of the Martian surface from spectroscopic observations – 0.3 micron to 50 microns। Tucson, AZ: University of Arizona Press। পৃষ্ঠা 557–593। আইএসবিএন 978-0-8165-1257-7।
  37. Glotch, T.; Christensen, P. (২০০৫)। "Geologic and mineralogical mapping of Aram Chaos: Evidence for water-rich history"। J. Geophys. Res.। 110 (E9): E09006। doi:10.1029/2004JE002389। বিবকোড:2005JGRE..110.9006G।
  38. Holt, J. W.; Safaeinili, A.; Plaut, J. J.; Young, D. A.; Head, J. W.; Phillips, R. J.; Campbell, B. A.; Carter, L. M.; Gim, Y.; Seu, R.; Team, Sharad (২০০৮)। "Radar Sounding Evidence for Ice within Lobate Debris Aprons near Hellas Basin, Mid-Southern Latitudes of Mars" (PDF)। Lunar and Planetary Science। XXXIX (1391): 2441। বিবকোড:2008LPI....39.2441H।
  39. Amos, Jonathan (জুন ১০, ২০১৩)। "Old Opportunity Mars rover makes rock discovery"। BBC News।
  40. "Mars Rover Opportunity Examines Clay Clues in Rock"। Jet Propulsion Laboratory, NASA। মে ১৭, ২০১৩।
  41. "Regional, Not Global, Processes Led to Huge Martian Floods"। Planetary Science Institute। SpaceRef। সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫।
  42. Harrison, K; Grimm, R. (২০০৫)। "Groundwater-controlled valley networks and the decline of surface runoff on early Mars"। Journal of Geophysical Research। 110 (E12): E12S16। doi:10.1029/2005JE002455। বিবকোড:2005JGRE..11012S16H।
  43. Howard, A.; Moore, Jeffrey M.; Irwin, Rossman P. (২০০৫)। "An intense terminal epoch of widespread fluvial activity on early Mars: 1. Valley network incision and associated deposits"। Journal of Geophysical Research। 110 (E12): E12S14। doi:10.1029/2005JE002459। বিবকোড:2005JGRE..11012S14H।
  44. Salese, F.; Di Achille, G.; Neesemann, A.; Ori, G. G.; Hauber, E. (২০১৬)। "Hydrological and sedimentary analyses of well-preserved paleofluvial-paleolacustrine systems at Moa Valles, Mars"। J. Geophys. Res. Planets। 121 (2): 194–232। doi:10.1002/2015JE004891। বিবকোড:2016JGRE..121..194S।
  46. Fassett, C.; Head, III (২০০৮)। "Valley network-fed, open-basin lakes on Mars: Distribution and implications for Noachian surface and subsurface hydrology"। Icarus। 198 (1): 37–56। doi:10.1016/j.icarus.2008.06.016। বিবকোড:2008Icar..198...37F।
  47. Moore, J.; Wilhelms, D. (২০০১)। "Hellas as a possible site of ancient ice-covered lakes on Mars" (PDF)। Icarus। 154 (2): 258–276। doi:10.1006/icar.2001.6736। বিবকোড:2001Icar..154..258M।
  48. Weitz, C.; Parker, T. (২০০০)। "New evidence that the Valles Marineris interior deposits formed in standing bodies of water" (PDF)। Lunar and Planetary Science। XXXI: 1693। বিবকোড:2000LPI....31.1693W।
  49. "New Signs That Ancient Mars Was Wet"। Space.com। অক্টোবর ২৮, ২০০৮।
  50. Head, J.; Marchant, D. (২০০৬)। "Modifications of the walls of a Noachian crater in Northern Arabia Terra (24 E, 39 N) during northern mid-latitude Amazonian glacial epochs on Mars: Nature and evolution of Lobate Debris Aprons and their relationships to lineated valley fill and glacial systems (abstract)"। Lunar Planet. Sci.। 37: 1128।
  51. Head, J.; ও অন্যান্য (২০০৬)। "Modification if the dichotomy boundary on Mars by Amazonian mid-latitude regional glaciation"। Geophys. Res. Lett.। 33 (8): 33। doi:10.1029/2005gl024360। বিবকোড:2006GeoRL..33.8S03H।
  52. Head, J.; Marchant, D. (২০০৬)। "Evidence for global-scale northern mid-latitude glaciation in the Amazonian period of Mars: Debris-covered glacial and valley glacial deposits in the 30 – 50 N latitude band (abstract)"। Lunar Planet. Sci.। 37: 1127।
  53. Lewis, Richard (এপ্রিল ২৩, ২০০৮)। "Glaciers Reveal Martian Climate Has Been Recently Active"। Brown University।
  54. Plaut, Jeffrey J.; Safaeinili, Ali; Holt, John W.; Phillips, Roger J.; Head, James W.; Seu, Roberto; Putzig, Nathaniel E.; Frigeri, Alessandro (২০০৯)। "Radar Evidence for Ice in Lobate Debris Aprons in the Mid-Northern Latitudes of Mars" (PDF)। Geophysical Research Letters। 36 (2): n/a। doi:10.1029/2008GL036379। বিবকোড:2009GeoRL..3602203P।
  55. Squyres, S.W.; ও অন্যান্য (১৯৯২)। "Ice in the Martian Regolith"। Kieffer, H.H.। Mars। Tucson, AZ: University of Arizona Press। পৃষ্ঠা 523–554। আইএসবিএন 978-0-8165-1257-7।
  56. Wall, Mike (মার্চ ২৫, ২০১১)। "Q & A with Mars Life-Seeker Chris Carr"। Space.com।
  57. Dartnell, L.R.; Desorgher; Ward; Coates (জানুয়ারি ৩০, ২০০৭)। "Modelling the surface and subsurface Martian radiation environment: Implications for astrobiology"। Geophysical Research Letters। 34 (2): L02207। doi:10.1029/2006GL027494। বিবকোড:2007GeoRL..34.2207D। The damaging effect of ionising radiation on cellular structure is one of the prime limiting factors on the survival of life in potential astrobiological habitats.
  58. Dartnell, L. R.; Desorgher, L.; Ward, J. M.; Coates, A. J. (২০০৭)। "Martian sub-surface ionising radiation: biosignatures and geology"। Biogeosciences। 4 (4): 545–558। doi:10.5194/bg-4-545-2007। বিবকোড:2007BGeo....4..545D। সংগ্রহের তারিখ জুন ১, ২০১৩। This ionising radiation field is deleterious to the survival of dormant cells or spores and the persistence of molecular biomarkers in the subsurface, and so its characterisation. [..] Even at a depth of 2 meters beneath the surface, any microbes would likely be dormant, cryopreserved by the current freezing conditions, and so metabolically inactive and unable to repair cellular degradation as it occurs.
  59. de Morais, A. (২০১২)। "A Possible Biochemical Model for Mars" (PDF)। 43rd Lunar and Planetary Science Conference (2012)। সংগ্রহের তারিখ জুন ৫, ২০১৩। The extensive volcanism at that time much possibly created subsurface cracks and caves within different strata, and the liquid water could have been stored in these subterraneous places, forming large aquifers with deposits of saline liquid water, minerals organic molecules, and geothermal heat – ingredients for life as we know on Earth.
  60. Didymus, JohnThomas (জানুয়ারি ২১, ২০১৩)। "Scientists find evidence Mars subsurface could hold life"। Digital Journal – Science। There can be no life on the surface of Mars, because it is bathed in radiation and it's completely frozen. Life in the subsurface would be protected from that. – Prof. Parnell.
  61. Steigerwald, Bill (জানুয়ারি ১৫, ২০০৯)। "Martian Methane Reveals the Red Planet is not a Dead Planet"। NASA's Goddard Space Flight Center। NASA। If microscopic Martian life is producing the methane, it likely resides far below the surface, where it's still warm enough for liquid water to exist
  62. Halton, Mary (জুলাই ২৫, ২০১৮)। "Liquid water 'lake' revealed on Mars"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৬, ২০১৮।
  63. NASA Mars Exploration Program Overview. http://www.nasa.gov/mission_pages/mars/overview/index.html.
  64. Sheehan, 1996, p. 35. Quote: Mars probably offered its inhabitants "a situation in many respects similar to ours."
  65. Kieffer, H.H.; Jakosky, B.M; Snyder, C. (১৯৯২)। "The Planet Mars: From Antiquity to the Present"। Kieffer, H.H.; ও অন্যান্য। Mars। Tucson, AZ: University of Arizona Press। পৃষ্ঠা 1–33।
  66. hartmann, 2003, p. 20.
  67. Sheehan, 1996, p. 150.
  68. Spinrad, H.; Münch, G.; Kaplan, L. D. (১৯৬৩)। "Letter to the Editor: the Detection of Water Vapor on Mars"। Astrophysical Journal। 137: 1319। doi:10.1086/147613। বিবকোড:1963ApJ...137.1319S।
  69. Leighton, R.B.; Murray, B.C. (১৯৬৬)। "Behavior of Carbon Dioxide and Other Volatiles on Mars"। Science। 153 (3732): 136–144। doi:10.1126/science.153.3732.136। PMID 17831495। বিবকোড:1966Sci...153..136L।
  70. Leighton, R.B.; Murray, B.C.; Sharp, R.P.; Allen, J.D.; Sloan, R.K. (১৯৬৫)। "Mariner IV Photography of Mars: Initial Results"। Science। 149 (3684): 627–630। doi:10.1126/science.149.3684.627। PMID 17747569। বিবকোড:1965Sci...149..627L।
  71. Kliore, A.; ও অন্যান্য (১৯৬৫)। "Occultation Experiment: Results of the First Direct Measurement of Mars's Atmosphere and Ionosphere"। Science। 149 (3689): 1243–1248। doi:10.1126/science.149.3689.1243। PMID 17747455। বিবকোড:1965Sci...149.1243K।
  72. Grotzinger, John P. (জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)। "Introduction to Special Issue – Habitability, Taphonomy, and the Search for Organic Carbon on Mars"। Science। 343 (6169): 386–387। doi:10.1126/science.1249944। PMID 24458635। বিবকোড:2014Sci...343..386G।
  73. Various (জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)। "Special Issue – Table of Contents – Exploring Martian Habitability"। Science। 343 (6169): 345–452।
  74. Grotzinger, J.P.; ও অন্যান্য (জানুয়ারি ২৪, ২০১৪)। "A Habitable Fluvio-Lacustrine Environment at Yellowknife Bay, Gale Crater, Mars"। Science। 343 (6169): 1242777। CiteSeerX 10.1.1.455.3973 । doi:10.1126/science.1242777। PMID 24324272। বিবকোড:2014Sci...343A.386G।
  75. Rodriguez, J. Alexis P.; Kargel, Jeffrey S.; Baker, Victor R.; Gulick, Virginia C.; ও অন্যান্য (সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৫)। "Martian outflow channels: How did their source aquifers form, and why did they drain so rapidly?"। Scientific Reports। 5: 13404। doi:10.1038/srep13404। PMID 26346067। পিএমসি 4562069 । বিবকোড:2015NatSR...513404R। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ১২, ২০১৫।
  76. Staff (জুলাই ২, ২০১২)। "Ancient Mars Water Existed Deep Underground"। Space.com।
  77. Craddock, R.; Howard, A. (২০০২)। "The case for rainfall on a warm, wet early Mars"। J. Geophys. Res.। 107 (E11): E11। doi:10.1029/2001je001505। বিবকোড:2002JGRE..107.5111C।
  78. Head, J.; ও অন্যান্য (২০০৬)। "Extensive valley glacier deposits in the northern mid-latitudes of Mars: Evidence for the late Amazonian obliquity-driven climate change"। Earth Planet. Sci. Lett.। 241 (3–4): 663–671। doi:10.1016/j.epsl.2005.11.016। বিবকোড:2006E&PSL.241..663H।
  79. Staff (অক্টোবর ২৮, ২০০৮)। "NASA Mars Reconnaissance Orbiter Reveals Details of a Wetter Mars"। SpaceRef। NASA।
  80. Lunine, Jonathan I.; Chambers, John; ও অন্যান্য (সেপ্টেম্বর ২০০৩)। "The Origin of Water on Mars"। Icarus। 165 (1): 1–8। doi:10.1016/S0019-1035(03)00172-6। বিবকোড:2003Icar..165....1L। সংগ্রহের তারিখ জুন ১০, ২০১৩।

গ্রন্থপঞ্জি
  • Boyce, Joseph, M. (2008). The Smithsonian Book of Mars; Konecky & Konecky: Old Saybrook, CT, আইএসবিএন ৯৭৮-১-৫৮৮৩৪-০৭৪-০
  • Carr, Michael, H. (1996). Water on Mars; Oxford University Press: New York, আইএসবিএন ০-১৯-৫০৯৯৩৮-৯.
  • Carr, Michael, H. (2006). The Surface of Mars; Cambridge University Press: Cambridge, UK, আইএসবিএন ৯৭৮-০-৫২১-৮৭২০১-০.
  • Hartmann, William, K. (2003). A Traveler’s Guide to Mars: The Mysterious Landscapes of the Red Planet; Workman: New York, আইএসবিএন ০-৭৬১১-২৬০৬-৬.
  • Hanlon, Michael (2004). The Real Mars: Spirit, Opportunity, Mars Express and the Quest to Explore the Red Planet; Constable: London, আইএসবিএন ১-৮৪১১৯-৬৩৭-১.
  • Kargel, Jeffrey, S. (2004). Mars: A Warmer Wetter Planet; Springer-Praxis: London, আইএসবিএন ১-৮৫২৩৩-৫৬৮-৮.
  • Morton, Oliver (2003). Mapping Mars: Science, Imagination, and the Birth of a World; Picador: New York, আইএসবিএন ০-৩১২-৪২২৬১-X.
  • Sheehan, William (1996). The Planet Mars: A History of Observation and Discovery; University of Arizona Press: Tucson, AZ, আইএসবিএন ০-৮১৬৫-১৬৪০-৫.
  • Viking Orbiter Imaging Team (1980). Viking Orbiter Views of Mars, C.R. Spitzer, Ed.; NASA SP-441: Washington DC.

বহিঃসংযোগ

টেমপ্লেট:মঙ্গল গ্রহের ভূগোল

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.