বিজয় মাণিক্য

বিজয় মাণিক্য প্রাচীন লাউড় রাজ্যের শাসক জগন্নাথপুর রাজ্যের স্থপতি । যিনি খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দির একজন শক্তিশালী নৃপতি হিসেবে আবির্ভুত হয়ে ছিলেন। বিজয় মাণিক্য নিজে ব্রাহ্মণ হয়েও বৌদ্ধ ধর্মকে ভালোবাসতন। [1]

জগন্নাথপুর
লাউড় রাজ্য
জীবনকাল?
রাজধানী নির্দিষ্ট নেই
সরকার রাজতন্ত্র
ইতিহাস
 - সংস্থাপিত ১১০০
 - ভাঙ্গিয়া দেত্তয়া হয়েছে Enter end year
সতর্কীকরণ: "মহাদেশের" জন্য উল্লিখিত মান সম্মত নয়

রাজ্য বিবরণ

বিজয় মাণিক্য খ্রিস্টীয় একাদশ শতাব্দিতে সিলেটের সর্বপ্রাচীন লাউড় রাজ্যের শাসক ছিলেন। সে সময় সিলেটের সুনামগঞ্জ জেলার সমস্ত ভাটি অঞ্চল এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিচং অঞ্চল তার রাজ্য সিমার অর্ন্তরভূক্ত ছিল । রাজ্যকিয় শাসন ব্যবস্থা সহজ করার উদ্দেশ্যে জগন্নাথপুর রাজ্য প্রতিষ্টা করেন ।[2] জগন্নাথপুর এককালে বর্তমান ভৌগোলিক সীমানার চেয়ে আরো বড় ছিল। দ্বাদশ শতাব্দি থেকে অষ্টাদশ শতাব্দি পর্যন্ত জগন্নাথপুর রাজ্য লাউড়ের শাখা-রাজ্য ছিল, এবং বংশানুক্রমে লাউড়ের নৃপতিগণ কর্তৃক শাসিত । দিল্লী সম্রাটদের রেকর্ডে জগন্নাথপুর রাজ্য লাউড়ের এজমালি সম্পদ হিসেবে বিবেচিত এবং শ্রীহট্রের ইতিহাসে বর্ণিত যে, উক্ত লাউড় রাজ্য সর্ব সময় মোগল সম্রাটদের কাছে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে গণ্য ছিল। জগন্নাথপুরের পান্ডুয়া থেকে রাজা বিজয় মাণিক্য সেই সময় নিজ নামের সাথে দুই স্ত্রীর নাম সংযুক্ত করে ১১৯১ খ্রিষ্টাব্দে সিক্কা মুদ্রা প্রকাশ করেছিলেন। এই সিক্কা মুদ্রাই রাজা বিজয় মাণিক্যের রাজ্যের প্রমাণ, যা কুবাজপুর গ্রামের মদনমোহন চৌধুরীর পরিবারদের মাধ্যমে ঢাকায় মিউজিয়ামে সংরক্ষিত হচ্ছে ।

বিজয় মাণিক্যের পরিচিতি

কুরুক্ষেত্রের সমরে মহাবীর অর্জুন কর্তৃক নিহত ভগদত্ত রাজার পরে তার পুত্রগণের মধ্যে ১৯ জন নৃপতি পর্যায়ক্রমে কামরূপ তথা লাউড়ে রাজত্ব করেন। ভাটেরায় প্রাপ্ত তাম্রফলকে বর্মান, ইশানদেব তাদেরই বংশধর বলে ইতিহাস রয়েছে। এই রাজাগণ চন্দ্রবংশীয় বলে খ্যাত । উক্ত ১৯ জন নৃপতির অনেকদিন পরে প্রাচীন লাউড় রাজ্যে নৃপতি বিজয়মাণিক্য আবির্ভুত হন। ১১৯১ খ্রিষ্টাব্দ সময়কালে বিজয় মাণিক্য জগন্নাথপুর রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন এবং ছিক্কা মুদ্রার প্রচার করেন ।

তথ্যসূত্র

  1. Ancient India" Ramesh Chandra Majumdar, Chapter 3, p267, Motilal Banarsidass Publishers, Eighth Edition: Delhi, 1977
  2. শ্রীহট্টের ইতিবৃত্ত পূর্বাংশ, দ্বিতীয় ভাগ, প্রথম খণ্ড, প্রথম অধ্যায়, অচ্যুতচরণ চৌধুরী তত্ত্বনিধি; প্রকাশক: মোস্তফা সেলিম; উৎস প্রকাশন, ২০০৪।
This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.