বিজয় মাঞ্জরেকার
বিজয় লক্ষ্মণ মাঞ্জরেকার (
![]() ১৯৫২ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে বিজয় মাঞ্জরেকার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | বিজয় লক্ষ্মণ মাঞ্জরেকার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি অফ ব্রেক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | সঞ্জয় মাঞ্জরেকার (পুত্র) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় পার্শ্ব |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক | ৩০ ডিসেম্বর ১৯৫১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৯৬৫ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ |
খেলোয়াড়ী জীবন
ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে অফ-স্পিনার ও উইকেট রক্ষকের দায়িত্ব পালন করতেন।
রঞ্জী ট্রফিতে ৬টি দলের পক্ষে খেলেছেন তিনি। বোম্বে, বাংলা, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, অন্ধ্রপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র ক্রিকেট দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। ৫৭.৪৪ গড়ে ঐ প্রতিযোগিতায় ৩,৭৩৪ রান তুলেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট
১৯৫১ সালে সফরকারী ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বিজয় মাঞ্জরেকারের টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। অভিষেকেই ৪৮ রানের দর্শনীয় ইনিংস উপহার দেন তিনি। একই দলের বিপক্ষে জুন, ১৯৫২ সালে হেডিংলিতে ১৩৩ রানের মনোজ্ঞ প্রথম শতরানের সন্ধান পান। এটিই ইংল্যান্ডে তার প্রথম টেস্ট ছিল ও বয়স মাত্র ২০ ছিল। তিনি যখন ব্যাটহাতে মাঠে নামেন, তখন ভারতের সংগ্রহ ছিল ৩৪২। ট্রুম্যান, বেডসার ও লেকারের ন্যায় বিখ্যাত বোলারদের উপস্থিতি স্বত্ত্বেও তিনি ছিলেন বেশ সপ্রতিভ।
১৯৫২ সালের হেডিংলি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বস্ত ভারত দলের ০/৪ সূচনায় পঙ্কজ রায়, দত্তজীরাও গায়কোয়াড় ও মাধব মন্ত্রীর সাথে তিনিও জড়িত ছিলেন। ফ্রেড ট্রুম্যানের বোলিং তোপের মুখে পড়েন তারা।
বিজয় হাজারের সাথে ২২২ রানের জুটি গড়ে ভবিষ্যতের সম্ভাবনার কথা জানান দেন। তবে শুরুরদিকের প্রতিশ্রুতিশীলতার পথে নিজের ওজন ও পায়ের কারুকাজ বাঁধার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তবে টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবন ৩৯ গড়ে পৌঁছে। ১৯৬১-৬২ মৌসুমে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেরা সিরিজ খেলেন। ৮৩.৭১ গড়ে ৫৮৬ রান তুলেন। তন্মধ্যে খেলোয়াড়ী জীবনে সংগৃহীত ৭ সেঞ্চুরির মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১৮৯ রানের ইনিংস খেলেন ফিরোজ শাহ কোটলা মাঠে।
আরেকটি উল্লেখযোগ্য ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করেন ১৯৬৪-৬৫ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ৫৯ ও ৩৯ রানের ইনিংস খেলে টেস্ট জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। জীবনের শেষ ইনিংসেও বেশ ভালো খেলেন। ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৫ সালে মাদ্রাজের এমএচিদাম্বরাম স্টেডিয়ামে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এ কীর্তিগাঁথা রচনা করেন।
অর্জনসমূহ
কোন ছক্কা বাদেই সর্বাধিক ৩,২০৮ রান তুলে রেকর্ড গড়েন। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের জোনাথন ট্রট তার এ রেকর্ড ভেঙ্গে ফেলে নিজের করে নেন। [1]
ব্যক্তিগত জীবন
১৮ অক্টোবর, ১৯৮৩ তারিখে ৫২ বছর বয়সে মাদ্রাজে বিজয় মাঞ্জরেকারের দেহাবসান ঘটে। ভারতের প্রথিতযশা টেস্ট ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকারের পিতা তিনি।
তথ্যসূত্র
- Walmsley, Keith (২০০৩)। Mosts Without in Test Cricket। Reading, England: Keith Walmsley Publishing Pty Ltd। পৃষ্ঠা 457। আইএসবিএন 0947540067।.
আরও দেখুন
বহিঃসংযোগ
- ইএসপিএনক্রিকইনফোতে বিজয় মাঞ্জরেকার
(ইংরেজি)
- ক্রিকেটআর্কাইভে বিজয় মাঞ্জরেকার
(সদস্যতা প্রয়োজনীয়) (ইংরেজি)