ফুলবাড়ি স্থল বন্দর

ফুলবাড়ি স্থল বন্দর ভারত-এর জলপাইগুড়ি জেলার নিউ জলপাইগুড়ি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি ভারতের একমাত্র স্থল বন্দর যার মাধ্যমে চারটি দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান)মধ্যে পণ্য আদান-প্রদানের সুবিধা রয়েছে।[1]

ফুলবাড়ি স্থলবন্দর
অবস্থান
দেশ ভারত
অবস্থানফুলবাড়ি, জলপাইগুড়ি, পশ্চিমবঙ্গ
বিস্তারিত
পরিচালনা করেভারতীয় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ
মালিকভারত সরকার
পোতাশ্রয়ের প্রকারস্থলবন্দর
আমদানি দ্রব্যপাট, ইলিশ মাছ প্রভৃতি
রপ্তানি দ্রব্যপাথর, রাসায়নিক দ্রব্য, খনিজ তেল প্রভৃতি
ট্রাক সংখ্যাআগমন ৩০-৫০ টি (বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিকে)
প্রস্থান ৬০-৮০টি (ভারত থেকে বাংলাদেশের দিকে)
পরিসংখ্যান
যাত্রী গমনাগমন১৫০ জন (প্রতিদিন)

ইতিহাস

গুরুত্ব

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে যতগুলো স্থলবন্দর চালু রয়েছে তার মধ্যে ফুলবাড়ি স্থলবন্দর বন্যামুক্ত ও ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে একটি ভিন্ন মাত্রিক অবস্থানে রয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থাও খুব ভালো। এই বন্দরের থেকে মাত্র সাড়ে ৩ কিলোমিটার দূরে নিউ জলপাইগুড়ি সংক্ষেপে এনজিপি রেলস্টেশন অবস্থিত। এই রেলস্টেশন থেকে ভারতের যে কোনো স্থানে যাতায়াতের সুবিধা রয়েছে। এছাড়া, ভারতের শৈল্য শহর দার্জিলিং ৮৫ কিলোমিটার, নেপাল সীমান্ত ৫৪ কিলোমিটার, ভুটান সীমান্ত ১৩০ কিলোমিটার ও চীন সীমান্ত ২০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ফুলবাড়ি পার্শ্ববর্তী ভারতের শিলিগুড়ির মতো সমৃদ্ধ এতো বড় শহর অন্যান্য স্থলবন্দরের কাছে নেই। এই স্থল বন্দর থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শিলিগুড়ি শহর থেকে রেল, আকাশ, সড়ক পথে ভারতের যেকোনো প্রান্তে অনায়াসে যাতায়াত সম্ভব। ব্যবসায়িক, পর্যটনসহ সকল সুযোগ-সুবিধা শিলিগুড়ি শহরে বিদ্যমান। ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোতে যাওয়ার একমাত্র করিডোর হচ্ছে শিলিগুড়ি। ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হওয়ার ফলে ভারতের ফুলবাড়ি স্থল বন্দরের দ্বারা বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক প্রসার পাওয়াসহ জলপাইগুড়ি জেলার উন্নয়নের পাশাপাশি বদলে যাবে ফুলবাড়ির চিত্র। ফুলবাড়ি স্থল বন্দরের বিপরীতে বাংলাদেশের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের অবস্থান।

আমদানি-রপ্তানি

২০১১ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-এর সাথে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তির আওতায় ভারতের সাথেও বাংলাদেশের এ বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। এ বন্দর ব্যবহার করে নেপালে বাংলাদেশ থেকে ব্যাটারী, সীসা, পাট, ফলের রস, ওয়েস্ট কটন, কাপড়, কাঠ ও প্লাস্টিকের আসবাপপত্র রপ্তানি করা হয়। এছাড়াও ভারত থেকে প্রতিদিন গড়ে ১,০০০ মেট্রিক টন পাথর ও নেপাল থেকে গড়ে প্রতিদিন ১০০ মেট্রিক টন ডাল বাংলাদেশ আমদানি করে।

তথ্যসূত্র

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.