ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী
ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী (জন্ম: ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭) হলেন বাংলাদেশের একজন রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী। ২৩৩ নং (সিলেট-৫) আসন থেকে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১[1] ও ১৯৯৬[2] সালে জামায়াতের প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। ২০০১[2] সালের ১ আক্টোবর তারিখে অনুষ্ঠিত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন “সংসদ সদস্য” হিসাবে নির্বাচিত হন।[3]
অধ্যক্ষ মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী | |
---|---|
সিলেট-৫-এর সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০১ – ২০০৬ | |
প্রধানমন্ত্রী | বেগম খালেদা জিয়া |
পূর্বসূরী | হাফিজ আহমেদ মজুমদার |
উত্তরসূরী | হাফিজ আহমেদ মজুমদার |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭ সিলেট জেলা, পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে- বাংলাদেশ) |
নাগরিকত্ব | পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে) বাংলাদেশ |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | মুরারিচাঁদ কলেজ |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ |
জন্ম ও প্রথমিক জীবন
ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৭ সালে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার তালবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা মাওলানা আবদুল হক চৌধুরী। সিলেট আলিয়া মাদরাসা থেকে ১৯৫৯ সালে দাখিল, ১৯৬৩ সালে আলিম, ১৯৬৫ সালে ফাজিল, ১৯৬৭ সালে কামিল পাস করেন। ১৯৭১ সালে সিলেট এমসি কলেজে বিএ পাস করেন এবং একই কলেজে বাংলা অনার্সের শিক্ষার্থী ছিলেন।
কর্মজীবন
সিলেটের বালাগঞ্জের গহরপুর মসজিদে ইমামতি করেন কিছুদিন। সিলেট নগরীর মিরাবাজারে শাহজালাল জামেয়া স্কুলের অধ্যক্ষ ছিলেন। ব্যবসায়ী হিসেবে ও ব্যাপক পরিচিতি রয়েছে তার। সিলেটের আল-হামরা ইন্টারন্যাশনাল শপিং সেন্টারের ভাইস চেয়ারম্যান[4] ও আন-নূর প্রোপ্রাটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান[5]।
রাজনৈতিক জীবন
একাত্তরে ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী সিলেট এমসি কলেজে বিএ শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ছাত্রসংঘের সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রিয় কর্মপরিষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ১৯৮৬, ১৯৯১[1] ও ১৯৯৬[2] সালে জামায়াতের প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। ৯৬ সালের নির্বাচনে মাত্র কয়েক শত ভোটের ব্যবধানে তিনি পরাজিত হলেও ২০০১ সালের নির্বাচনে চারদলীয় জোটের প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থির নিকট পরাজিত হন। ২০১৪ ও ২০১৮[6] সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই।[7][8][9]
সমালোচনা
২০০৮ সালে নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিলে আলোচনায় আসেন ফরিদ উদ্দিন চৌধুরীর। ২০১০ সালে ৪০ জন শীর্ষ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা করে সরকার, যাতে ২৪ নম্বরে তাকে রাখা হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অভিবাসন (ইমিগ্রেশন) পুলিশকে একটি তালিকা দেওয়া হয়। সে তালিকায়ও তার নাম ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন দূতাবাসে তার নাম সহ ৪০ যুদ্ধাপরাধীর তালিকা পাঠায় সরকার। [10]
তথ্যসূত্র
- "মাওলানা ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- "ফরিদ উদ্দীন চৌধুরী"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- "৮ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (PDF)। জাতীয় সংসদ। বাংলাদেশ সরকার। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা।
- "হাফিজের আয় মামুনুরের ঋণ বেশি : সিলেট-৫"। www.bhorerkagoj.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- "কানাইঘাটে আন-নূর টাওয়ারের যাত্রা শুরু"। Daily Nayadiganta। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- "জাপাকে আওয়ামী লীগের না জামায়াতে বিএনপির অনীহা"। কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- "সিলেটে জামায়াত প্রার্থী বাদ পড়ায় নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ"। দৈনিক নয়াদিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- "প্রার্থী নিয়ে দুই জোটেই ভজকট"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- "সিলেটে জামায়াতের দুই প্রার্থী : ছাড় দিতে নারাজ স্থানীয় বিএনপি"। Bhorer Kagoj। ২০১৮-১২-০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৬-২৫।
- খবর, সিলেট-৫ (৪ ডিসেম্বর ২০১৮)। "'বদর কমান্ডার' ফরিদ ফের আলোচনায়"। দৈনিক সমকাল। ২৫ জুন ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।