তৈমুর লং

তৈমুর বিন তারাগাই বারলাস (চাগাতাই ভাষায়: تیمور - তেমোর্‌, "লোহা") (১৩৩৬ - ফেব্রুয়ারি, ১৪০৫) ১৪শ শতকের একজন তুর্কী-মোঙ্গল সেনাধ্যক্ষ[3][4][5][6] তিনি পশ্চিম ও মধ্য এশিয়ার বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিজ দখলে এনে তৈমুরীয় সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন যা ১৩৭০ থেকে ১৪০৫ সাল পর্যন্ত নেতৃত্বে আসীন ছিল। এই অপরাজেয় সমরবিদ ইতিহাসের অন্যতম সফল সেনানায়ক হিসেবে পরিগণিত হন।[1][7][8] এছাড়াও তার কারণেই তৈমুরীয় রাজবংশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এই বংশ কোন না কোনভাবে ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে নেতৃত্বে আসীন ছিল। তিনি তিমুরে ল্যাংগ্‌ (ফার্সি ভাষায়: تیمور لنگ ) নামেও পরিচিত যার অর্থ খোঁড়া তৈমুর। তার আসল নাম তৈমুর বেগ। যুদ্ধ করতে গিয়ে তিনি আহত হন যার ফলে তার একটি পা অকেজো হয়ে যায় এবং তিনি খোঁড়া বা ল্যাংড়া হয়ে যান। তিনি উনার পূর্বপুরুষ মহান সেলযুক সাম্রাজ্যের শাসক সুলতান তুঘরিল বেগ কে অনুপ্রেরণা হিসেবে অনুসরণ করতেন। তিনি তুগরিল বেগ এর সরাসরি বংশধর না হলেও তুঘরিল বেগ যে অর্ঘুজ গোত্রে জন্মগ্রহণ করেছিলেন সেই অর্গুজ গোত্রেই তৈমুর লং জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এবং তিনিও আলেকজান্ডার ও চেঙ্গিস খানের মতো বিশ্বজয়ে উনার সৈন্যবাহিনী নিয়ে বের হয়েছিলেন। এ নিয়ে বিশ্ব বিজেতা তৈমুর লং, দিগ্বিজয়ী তৈমুর, দুনিয়া কাঁপানো তৈমুর লং নামের অনেকগুলো বইও রচিত হয়েছে। তার সাম্রাজ্যের বিস্তৃতি ছিল আধুনিক তুরস্ক, সিরিয়া, ইরাক, কুয়েত, ইরান থেকে মধ্য এশিয়ার অধিকাংশ অংশ যার মধ্যে রয়েছে কাজাখস্তান, আফগানিস্তান, রাশিয়া, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজিস্তান, পাকিস্তান, ভারতবর্ষ এমনকি চীনের কাশগর পর্যন্ত। তিনি একটি আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ রচনা করিয়ে যান যার নাম তুজুক ই তৈমুরী

তৈমুর
আমীর
তৈমুরের পুনর্গঠন
রাজত্বকাল৯ এপ্রিল ১৩৭০ – ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৪০৫
রাজ্যাভিষেক৯ এপ্রিল ১৩৭০ বালখ[1]
পূর্ণ নামসুজা-উদ্-দীন তৈমুর[2]
জন্ম৯ এপ্রিল ১৩৩৬[1]
জন্মস্থানকিশ, চাগতাই খানাত
মৃত্যু১৯ ফেব্রুয়ারি ১৪০৫(1405-02-19) (বয়স ৬৮)
মৃত্যুস্থানওতরার, ফারাব,
সমাধিস্থলঘুর-এ-আমীর, সমরকন্দ
পূর্বসূরিআমির হুসাইন
উত্তরসূরিখলিল সুলতান
দাম্পত্যসঙ্গী
  • Saray Mulk Khanum
  • Chulpan Mulk Agha
  • Aljaz Turkhan Agha
  • Tukal Khanum
  • Dil Shad Agha
  • Touman Agha
  • Other consorts
সন্তানাদি
  • মিরান শাহ
  • শাহরুখ মির্জা
রাজবংশবারলাস তৈমুরদ
পিতাআমীর তারাগাই
মাতাতেকিনা খাতুন
ধর্মবিশ্বাসইসলাম

তথ্যসূত্র

  1. Muntakhab-ul-Lubab, Khafi Khan Nizam-ul-Mulk, Vol I, p. 49. Printed in Lahore, 1985
  2. W. M. Thackston, A Century of Princes: Sources on Timurid History and Art, (1989), p.239
  3. বি.এফ. মান্‌জ, "Tīmūr Lang", in এনসাইক্লোপিডিয়া অফ ইসলাম, Online Edition, 2006
  4. The Columbia Electronic Encyclopedia, "Timur", 6th ed., Columbia University Press: "... Timur (timoor') or Tamerlane (tăm'urlān), c.1336–1405, মোঙ্গল বিজেতা, b. কেশ, সমরখন্দের নিকটে. ...", (LINK)
  5. "Timur", in ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ: "... [Timur] was a member of the Turkic Barlas clan of Mongols..."
  6. "Baber", in ব্রিটানিকা বিশ্বকোষ: "... Baber first tried to recover Samarkand, the former capital of the empire founded by his Mongol ancestor Timur Lenk ..."
  7. Marozzi, Justin (২০০৪)। Tamerlane: Sword of Islam, conqueror of the world। HarperCollins।
  8. Josef W. Meri (২০০৫)। Medieval Islamic Civilization। Routledge। পৃষ্ঠা 812। আইএসবিএন 9780415966900।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.