তেজপুর লিচু
তেজপুর লিচু (ইংরেজি) হচ্ছে আসামএর তেজপুরের বিভিন্ন অঞ্চলে উৎপাদিত হওয়া এক প্ৰকারের লিচু। এর বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে en:Litchi chinensis Litchi chinensis । এটি Sapindaceae পরিবারের অন্তৰ্গত Litchi গণ এর একটা প্ৰজাতি। তেজপুর লিচুর কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট আছে, বিশেষ করে এর আকার এবং এতে থাকা কাৰ্বহাইড্ৰেট এর মাত্ৰার জন্য একে অন্য লিচু থেকে পৃথক করে তুলেছে। ইলাছি, বিলাতি, বম্বাই, পিয়াজী, হালধীয়া ইত্যাদি হচ্ছে স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা তেজপুর লিচুর কিছু প্ৰকারভেদ।
আসামের প্ৰায় প্ৰতিটি জেলাতেই লিচু হয়, যদিও শোণিতপুর জেলাতেই সৰ্বাধিক লিচু উৎপাদন করা হয়। তেজপুর লিচুর বিভিন্ন প্ৰকারের মধ্যে বম্বাই এবং ইলাছিই সৰ্বোৎকৃষ্ট প্ৰকার। কোনোধরনের কৃত্ৰিম রসায়ন প্ৰয়োগ না করেই সম্পূৰ্ণ জৈবিক প্ৰক্ৰিয়াতে উৎপাদিত এই লিচু বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ ইত্যাদি রাজ্যের ফলের বাজারে তেজপুর লিচুর সমাদর থাকার সাথে আমেরিকা, সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি দেশে ও অতি জনপ্ৰিয়।
তেজপুর লিচু শোণিতপুর জেলার পরয়া, ডারিকাটি, ভালুকপুং, ওপর কছারি গাঁও, বান্দরমারী, তামুলবাড়ী, খনামুখ, মইলাগাঁও অঞ্চলে উৎপাদন করা হয়। ভৌগলিকভাবে তেজপুর লিচু ২৬.৩০° উত্তর ৯২.১৬° পূর্ব এবং ২৭.০১° উত্তর ৯৩.৪৩° পূর্ব এর মধ্যে উৎপাদিত হয়।
ভৌগোলিক স্বীকৃতি
২০১৫ সালের ৩১ মাৰ্চ চেন্নাইএ অবস্থিত ভৌগোলিক স্বীকৃতি প্ৰদানকারী প্রধান কাৰ্যালয় থেকে উত্তর-পূর্বের অন্য আঠ টি উৎপাদিত পণ্যের সাথে তেজপুর লিচুও ভৌগোলিক স্বীকৃতি লাভ করে।[1] ভৌগোলিক স্বীকৃতি লাভ করা উত্তর-পূর্বের অন্য আঠ টি উৎপাদিত পণ্য হচ্ছে কাৰ্বি আংলং আদা (অসম), খাছী মেণ্ডারিণ (মেঘালয়), লাৰ্জ কাৰ্ডামম (সিকিম), চরাই চকুয়া জলকীয়া (মিজোরাম), কচাই নেমু (মণিপুর), কুইন মাটিকঠাল (ত্রিপুরা), অরুণাচল কমলা (অরুণাচল প্রদেশ) এবং নাগাল্যান্ড গাছ আলু (নাগাল্যান্ড)।[2]