ডক্টর বি আর আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়

ডক্টর বি আর আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয় বা হেলেঞ্চা কলেজ বাগদা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি ডিগ্রী কলেজ। ২০০৫ সালে কলেজটি চালু হয়। ১ লা আগস্ট ২০০৫ সালে স্থাপিত কলেজটি বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদিত।[1] ডঃ বি. আর. আম্বেদকরের নামে কলেজটির নামকরণ করা হয়েছে এবং তার মূর্তি রয়েছে রয়েছে কলেজে। একটি বড় খেলার মাঠ রয়েছে কলেজ ভবনের সম্মুখ ভাগে।

ডক্টর বি আর আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়
ধরনস্নাতক
স্থাপিত২০০৫
অধ্যক্ষডাঃ চিত্তরঞ্জন দাশ
অবস্থান, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে
অধিভুক্তিপশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়

পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর নির্দেশিকা অনুসারে কলেজটি সিবিসিএস মডেল চালু করেছে। কলেজে ইংরেজি, ইংরেজি, সংস্কৃত, ইতিহাস, শিক্ষা, দর্শনশাস্ত্র, শারীরিক শিক্ষা ও রাজনৈতিক বিজ্ঞানের আটটি বিভাগ রয়েছে। কলেজটিতে শিক্ষা ও শারীরিক শিক্ষা ব্যতীত, অন্যান্য সকল বিষয়ে অনার্স এবং জেনারেল কোর্স উভয়ই প্রদান করা হয়।

অবস্থান

বাগদাহ ব্লকের কেন্দ্রস্থলে হেলেঞ্চা কলোনী এলাকাতে কলেজটি গড়ে উঠেছে। উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ শহর থেকে রাজ্য মহাসড়ক হয়ে কিলোমিটার দূরে ডক্টর বি আর আম্বেদকর শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়টি অবস্থিত। কলেজটির ভৌগোলিক অবস্থান হল ২৩°১১′০৪.৪৬″ উত্তর ৮৮°৫১′১৪.১৬″ পূর্ব

প্রেক্ষাপট

কলেজটি নির্মাণের পূর্বে এলাকার অধিবাসীরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিলেন। যদিও এই এলাকাতে বেশ কিছু প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছিল। তাহলেও এই প্রত্যন্ত এলাকার অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে পিছিয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শিক্ষা লাভের জন্য বনগাঁর দীনবন্ধু মহাবিদ্যালয়, হাবড়ার শ্রীচৈতন্য কলেজ, বগুলা কলেজ বা রানাঘাট কলেজ মত দূরবর্তী কলেজগুলিতে যেতে হত। তাই স্থানীয় অধিবাসীরা হেলেঞ্চা-বাগদাহ এলাকায় উচ্চ শিক্ষার জন্য ডিগ্রি কলেজ প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে।

অবকাঠামো

কলেজটিতে দু'তলা ভবন রয়েছে। গ্রাউন্ড মেঝে অধ্যক্ষ, উপ অধ্যক্ষ অফিস, এবং অফিস বিভাগ, যা প্রশাসনিক ব্লক হিসাবে নামকরণ করা হয়েছে। প্রশাসনিক ব্লকের বিপরীত দিকে ছয়টি শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। বাকি শ্রেণীকক্ষ প্রথম তলায় হয়।

ভবনের প্রথম তলায় ভার্চুয়াল ক্লাস পরিচালনা করার জন্য বিভাগীয় কক্ষ, কেন্দ্রীয় পাঠাগার, বিভাগীয় লাইব্রেরি, আই লাইব্রেরি ও চার শ্রেণীকক্ষ রয়েছে। কলেজে ২০ টি কম্পিউটার আছে। সমস্ত বিভাগে কম্পিউটার আছে এবং অফিস এবং লাইব্রেরি বিভাগটি সম্পূর্ণরূপে কম্পিউটারাইজড।

কলেজ শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উভয়ের জন্য একটি সাইকেল শেড আছে। কলেজের শিক্ষার্থীদের বিনোদন জন্য একটি বিশাল খেলার মাঠ আছে।

গ্রন্থাগার

কলেজের গ্রন্থাগারে বাংলা ও ইংরেজি ভাষার মোট ৩০০০ বইয়ের সমৃদ্ধ সংগ্রহ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের বই পড়ার জন্য গ্রন্থাগারের পাশে একটি পড়ার ঘর রয়েছে। আই-লাইব্রেরি কঠোরভাবে একাডেমিক উদ্দেশ্যগুলির জন্য ব্যবহিত হয়, যা শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ওয়াই ফাই সংযোগের সাহায্যে বিভিন্ন শিক্ষণ উপকরণের জন্য ইন্টারনেট অ্যাক্সেস করতে সহায়তা করে। আই-লাইব্রেরী শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের দ্বারা অ্যাক্সেস করা যেতে পারে। শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের একাডেমিক অগ্রগতির জন্য কলেজটি এন-তালিকার মাধ্যমে বিভিন্ন জার্নালকে সাবস্ক্রাইব করে। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপায়ে সাহায্য করার জন্য নিজস্ব বিভাগীয় পাঠাগার পেয়েছে।

বিভাগ

কলেজটিতে আটটি বিভাগ রয়েছে, যার মধ্যে ছয়টি বিভাগ অনার্স এবং সাধারণ কোর্স প্রদান করে এবং দুটি বিভাগ শুধুমাত্র সাধারণ কোর্স প্রদান করে। কিন্তু বাকি দুটি বিভাগে অনার্স খুব শীঘ্রই চালু হবে।

পঠন-পাঠনের বিষয়

  • বাংলা (সম্মান ও সাধারণ)
  • ইংরেজি (সম্মান ও সাধারণ)
  • সংস্কৃত (সম্মান ও সাধারণ)
  • ইতিহাস (সম্মান ও সাধারণ)
  • দর্শনশাস্ত্র (সম্মান ও সাধারণ)
  • রাষ্ট্রবিজ্ঞান (সম্মান ও সাধারণ)
  • শিক্ষা (সাধারণ)
  • শারীরিক শিক্ষা (সাধারণ)

বিদ্যুৎ সরবরাহ ও ওয়াইফাই

কলেজটিতে ২৪ ঘন্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা রয়েছে এবং বিনামূল্যে ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য একটি ওয়াইফাই জোন রয়েছে।

অনুমোদন

কলেজটি বারাসতের পশ্চিমবঙ্গ রাষ্ট্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনুমোদিত। এটি একটি সরকারি কলেজ।

তথ্যসূত্র

  1. "Affiliated College of West Bengal State University"। ২০১২-১০-২৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.