জন কিটস

জন কিটস (অক্টোবর ৩১, ১৭৯৫-ফেব্রুয়ারি ২৩, ১৮২১) ইংরেজি সাহিত্যের একজন রোম্যান্টিক কবি। লর্ড বায়রন ও পার্সি বিশি শেলির সাথে সাথে তিনিও ছিলেন দ্বিতীয় প্রজন্মের রোমান্টিক কবিদের একজন। তার মৃত্যুর মাত্র চার বছর আগে তার সৃষ্টিগুলো প্রকাশিত হয়।[1] তৎকালীন সমালোচকদের দৃষ্টিতে তার কবিতা খুব একটা উচ্চ মর্যাদা পায়নি। তার মৃত্যুর পর তার কবিতাগুলো সঠিক মূল্যায়ন পেতে শুরু করে এবং উনিশ শতকের শেষ দিকে তিনি অন্যতম জনপ্রিয় ইংলিশ কবির স্বীকৃতি পান। পরবর্তীকালের অসংখ্য কবি ও সাহিত্যিকের ওপর তার প্রভাব দেখতে পাওয়া যায়। হোর্হে লুইস বোর্হেসের মতে, কিটসের লেখার সাথে প্রথম পরিচয় তার সাহিত্যিক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।[2]

জন কিটস
জন কিটস। উইলিয়াম হিল্টনের আঁকা
জন্ম(১৭৯৫-১০-৩১)৩১ অক্টোবর ১৭৯৫
মুরগেট, লন্ডন, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৩ ফেব্রুয়ারি ১৮২১(1821-02-23) (বয়স ২৫)
রোম, ইতালি
পেশাকবি
সাহিত্য আন্দোলনরোমান্টিকতা
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিOde To A Nightingale, Ode On A Gracian Urn, Ode To Autumn

জন কিটস ১৭৯৫ সালে লন্ডনের একটি আস্তাবলে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন একজন আস্তাবল রক্ষক।[3][4] ১৮০৪ সালে তার বাবা মৃত্যুবরণ করেন। কিটসের বাবার মৃত্যুর পর তার মা আবার বিয়ে করেন কিন্তু ১৮১০ সালে তার মা ক্ষয় রোগে মারা যান।[5]

প্রারম্ভিক জীবন

কিটস প্রথমে এনফিল্ডের একটা স্কুলে লেখাপড়া করেন। ১৬ বছর বয়সে কিটস এনফিল্ডের স্কুল ত্যাগ করেন। তরুণ বয়স থেকেই তার কবি হওয়ার প্রতি ঝোঁক ছিলো। তা সত্ত্বেও কিটস গাই হাসপাতালে ওষুধ বিদ্যায় শিক্ষা গ্রহণ করেন। সেখানে তার সাথে লেই হান্ট নামে এক প্রতিষ্ঠিত কবির সাথে যোগাযোগ হতে শুরু করে। লেই হান্ট কিটসের সাহিত্য কর্মের প্রশংসা করেন এবং তাকে সাহিত্য চর্চায় উৎসাহিত করেন।[6] ১৮১৬ সালে সে ওষুধ বিদ্যার পেশা ত্যাগ করেন এবং পরিপূর্ণ ভাবে কবিতায় মনোনিবেশ করেন। ১৮১৮ সালে কিটসের ভাই টম মারাত্মকভাবে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন এবং কিটস তার সেবা যত্ন করেন। কিন্তু টম ডিসেম্বরে মারা যান। এর পরে কিটস তার বন্ধু চার্লস ব্রাউনের হ্যাম্পস্টেডর বাসায় চলে আসেন। এখানে এসে কিটস ফ্যানি ব্রন নামে ১৮ বছরের এক তরুণী প্রতিবেশীর প্রেমে পড়ে যান। এর পর থেকেই কিটসের সৃষ্টিশীল সময়ের সূচনা হয়।[7]

সাহিত্য কর্ম

১৮১৭ সালে ৩০ টি কবিতা ও সনেটের সমন্বয়ে Poems শিরোনামে তার বই প্রকাশিত হয়।[8] কিটসের বিখ্যাত কবিতা গুলোর মধ্যে রয়েছে The Eve of St Agnes, La Belle Dame Sans Merci, Endymion, Hyperion, Ode to a Nightingale, To Autumn, Ode On A Gracian Urn ইত্যাদি। ইংরেজি ভাষায় পাঁচটি বিখ্যাত Ode এর মধ্যে Ode to a Nightingale অন্যতম। Ode On A Gracian Urn এ কিটসের একটি বিখ্যাত উক্তি হলঃ "Beauty is truth, truth beauty that is all Ye know on earth, and all ye need to know"[9]

মৃত্যু

১৮২০ সালের শুরুর দিকে কিটসের যক্ষার লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। ওই বৎসরের জুলাই মাসে তার কবিতার দ্বিতীয় খন্ড প্রকাশ হয় কিন্তু তখন তিনি খুবই অসুস্থ। সেপ্টেম্বরে উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে কিটস ও তার বন্ধু জোসেফ সেভার্ন ইতালি গমন করেন। তারা আশা করেছিলো এতে কিটসের স্বাস্থ্যের উন্নতি হবে। তারা যখন রোম পৌছেন তখন কিটসের অসুস্থতা আরও বৃদ্ধি পায় এবং তিনি সয্যশায়ী হয়ে পরেন। কিটসের বন্ধু সেভার্ন তাকে যথাসাধ্য সেবা যত্ন করেন। কিন্তু কিটস ১৮২১ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রোমে মারা যান। তাকে রোমের প্রটেস্টান্ট সিমেটারিতে কবর দেয়া হয়।[5] তার সমাধিলিপিতে লেখা রয়েছেঃ 'Here lies One Whose Name was writ in Water.'[10]

তথ্যসূত্র

  1. O'Neill and Mahoney (1988), 418
  2. This Craft of Verse, Jorge Luis Borges, (Harvard University Press, 2000), 98–101
  3. জন কিটস
  4. [Engliah literature by William J. Long, page no.419 First edition 2007 published by Friends book corner আইএসবিএন ৯৮৪-৬৪৩-১৫০-৮ ISBN বৈধ নয়]
  5. History of John Keats
  6. BBC Poetry Season
  7. John-keats.com
  8. Bbc poetry season: John Keats

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.