খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ

খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ (আরবি: خديجة بنت خويلد) (৫৫৫ খ্রিস্টাব্দ[2] – ২২ নভেম্বর ৬১৯ খ্রিষ্টাব্দ) হচ্ছেন ইসলাম গ্রহণকারী প্রথম ব্যক্তি, ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ-এর প্রথম স্ত্রী[3] এবং একজন সফল নারী ব্যবসায়ী। তার কুনিয়া উম্মু হিন্দ এবং উপাধি তাহিরা। ইসলামের গ্রহণের আগেই পবিত্র চরিত্রের জন্য তাহিরা উপাধি লাভ করেন; যার অর্থ পবিত্র[4]

খাদিজা
(আরবি): خديجة
জন্ম
খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ

৫৫৫ খ্রিঃ
মক্কা, হেজাজ, আরব অঞ্চল
(বর্তমান সৌদি আরব)
মৃত্যু১০ রমজান[1]
২২ নভেম্বর ৬১৯ (বয়স ৬৩৬৪)
মক্কা
সমাধিজান্নাতুল মুয়াল্লা, মক্কা
অন্যান্য নামখাদিজাতুল কুবরা
দাম্পত্য সঙ্গী'আতিক বিন আবিদ আল-মাখজুমি
আবু হালা ইবন জারারাহ আত-তামিমি
মুহাম্মদ
সন্তানহিন্দ বিনতে ‘আতিক
‘আব্দুল্লাহ ইবনে ‘আতিক
হালাহ ইবনে আবি হালাহ
হিন্দ ইবনে আবি হালাহ
জয়নব বিনতে আবি হালাহ
কাসিম ইবনে মুহাম্মাদ
আবদুল্লাহ ইবনে মুহাম্মদ
জয়নব বিনতে মুহাম্মাদ
রুকাইয়াহ বিনতে মুহাম্মাদ
উম্মে কুলসুম বিনতে মুহাম্মাদ
ফাতিমা বিনতে মুহাম্মাদ
পিতা-মাতাখুওয়াইলিদ বিন আসাদ
ফাতিমা বিনতে জায়দাহ
আত্মীয়আসাদ বিন আল-উজ্জা (দাদা)
হালা বিনতে খুওয়াইলিদ (বোন)
ওয়ারাকা ইবনে নাওফিল (চাচাতো ভাই)

খাদিজাহ মুহাম্মাদের স্ত্রী হিসাবে মুসলমানদের কর্তৃক "উম্মুল মুমিনিন" বা "বিশ্বাসীগণদের মাতা" হিসাবে সর্বদাই সম্বোধিত হন। তিনি তার মেয়ে ফাতিমার সঙ্গে ইসলামের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নারী ব্যক্তিত্বের মধ্যে অন্যতম। তিনি ইসলামের নবী মুহাম্মদকে বিয়ে করেন, যখন তার ৪০ এবং মুহাম্মাদের ২৫ বছর। তাদের সন্তানদের নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা পাওয়া যায়নি, তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞই ছয় থেকে আটজন সন্তানের পক্ষে মত দিয়েছেন।

জন্ম ও বংশ

খাদিজা হস্তী বর্ষের ১৫ বছর আগে অর্থাৎ নবীর জন্মেরও ১৫ বছর আগে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা খুওয়াইলিদ ইবন আসাদ এবং মাতা ফাতিমা বিনতু জায়িদ। পিতার বংশের ঊর্ধ্ব পুরুষ কুসাঈ-এর মাধ্যমে মুহাম্মদের বংশের সাথে তার বংশ মিলিত হয়েছে । এজন্যই নবুওয়ত লাভের পর খাদিজা নবীকে তার চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবন নাওফিলের কাছে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, "আপনার ভাতিজার কথা শুনুন"। ধারণা করা হয় বংশগত সম্পর্কের ভিত্তিতেই তিনি একথা বলেছিলেন। তার পিতা খুওয়াইলিদ ইবন আসাদ ফিজার যুদ্ধে নিজের গোত্রের সেনাপতি ছিলেন। তার অনেক সন্তান ছিল। সন্তানদের মধ্যে খাদিজা ছিলেন দ্বিতীয়।

প্রথম বিবাহ

খাদিজার পিতা আরব সমাজের বিশিষ্ট তাওরাতইঞ্জিল বিশেষজ্ঞ ওয়ারাকা ইবন নাওফিলের সাথে তার বিয়ে ঠিক করেছিলেন। তবে কেন তা হয় নি তা সম্বন্ধে স্পষ্ট কিছু জানা যায় নি। পরিশেষে আবু হালা ইবন জারারাহ আত-তামিমির সাথে তার প্রথম বিয়ে হয়। আবু হালা ও খাদিজা দম্পতী হালা ও হিন্দ নামে দুইজন পুত্র সন্তান জন্ম দেন। তারা উভয়েই পরবর্তীতে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। হিন্দ বদর যুদ্ধে মতান্তরে উহুদ যুদ্ধে মুহাম্মদ এর সাথে যুদ্ধে যোগদান করেন। হযরত আলীর শাসনামলে উটের যুদ্ধ শুরু হলে তিনি হযরত আলীর পক্ষ নিয়ে যুদ্ধ করেন। সেই যুদ্ধে হিন্দ মারা যায়।

তবে কেউ কেউ বলেন প্রথম স্বামীর ঘরে খাদিজা তিনজন সন্তানের জন্ম দেন। হিন্দ ও হারিস নামে দুইজন পুত্র এবং যয়নাব নামের এক কন্যা। হারিস ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। তাকে কাবা ঘরের রুকনে ইয়ামনীর কাছে হত্যা করা হয়

দ্বিতীয় বিবাহ

প্রথম স্বামীর মৃত্যুর পর আতিক বিন আবিদ আল-মাখযুমির সাথে খাদিজার দ্বিতীয় বিয়ে হয়[5]। তবে কা'তাদা এবং ইবন ইসহাকের মতে তার প্রথম স্বামী আতিক এবং দ্বিতীয় স্বামী আবু হালা। ইবন ইসহাকের এই মত ইউনুস ইবন বুকাইর-এর বর্ণনায় পাওয়া যায়[6]। অবশ্য প্রথমোক্ত মতটিই অধিক গ্রহণযোগ্য। ইবন হাজার-এর বর্ণনায় জানা যায় আবন আবদিল বার সহ আরো অনেক বিশেষজ্ঞই প্রথম মতটি ব্যক্ত করেছেন[7]

দ্বিতীয় স্বামীর ঘরে খাদিজা হিন্দা নামে একজন কন্যা সন্তান জন্ম দেন। তার কুনিয়াত ছিলো উম্মু মুহাম্মদ। হিন্দা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন।

খাদিজার দ্বিতীয় স্বামীও মারা যায়।

মুহাম্মদের সাথে পরিচয়

খাদিজা অন্যান্য কুরাইশদের মত একজন বড় ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক সম্পদশালী এবং সম্মানিত। তিনি ব্যবসার জন্য সৎ ও যোগ্য লোকবল নিয়োগ দিতেন। সেই সময় মক্কায় সততা এবং আমানতদারীতার জন্য মুহাম্মদ বিখ্যাত হয়ে উঠেন। তিনি তার চাচা আবু তালিবের ব্যবসার সাথে জড়িত ছিলেন এবং অনেক ব্যবসায়ীক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। খাদিজা তার গুণের কথা জানতে পেরে তাকে নিজের নিয়োগপ্রদান করেন। মুহম্মাদকে তার বিশ্বস্ত দাসী মায়সারার সাথে ব্যবসার জন্য সিরিয়ায় প্রেরণ করেন। সিরিয়ায় ব্যবসা করে মুহাম্মাদ অনেক মুনাফা অর্জন করেন এবং ব্যবসার প্রতিটি হিসাব খাদিজাকে বুঝিয়ে দেন। এতে খাদিজা অনেক খুশি হন। এছাড়া খাদিজা তার ছোট ভাইয়ের বউ সাফিয়ার কাছ থেকে মুহাম্মদ সম্পর্কে অনেক কিছুই জেনেছিলেন।

মুহাম্মদের সাথে বিবাহ

খাদিজার সাথে মুহাম্মদের (সাঃ) বিবাহ নিয়ে বেশকিছু মতামত  প্রচলিত আছে। তবে সবাই একমত যে বিয়ের প্রস্তাব খাদিজা দিয়েছিলেন। একটি মতবাদ অনুসারে খাদিজা নিজেই মুহাম্মদ (সাঃ) কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু মুহাম্মদ (সাঃ) নিজের দরিদ্রতার অজুহাত দেখিয়ে তা প্রত্যাখ্যান করেন। তার ধারণা ছিলো গরীব হওয়ার জন্য খাদিজার বাবা এই বিয়ে মেনে নিবে না। অবশেষে খাদিজার বাবা যখন অতিরিক্ত মদ্যপান করে মাতাল অবস্থায় ছিলেন, তখন খাদিজা যেয়ে বিয়ের অনুমতি আদায় করেন। মাতালবস্থা কেটে যাওয়ার পর খাদিজার বাবা সম্মতি তুলে নেন এবং বিয়েতে বাধা দান করেন। তারপর খাদিজা আবার তার বাবার সম্মতি আদায় করেন এবং মুহাম্মদ (সাঃ) কে বিয়ে করেন।

অপর একটি মতবাদ অনুযায়ী, খাদিজার বান্ধবী ইয়ালার স্ত্রী নাফিসা বিনতে মানিয়া বিবাহের ব্যাপারে মধ্যস্থতা করেছেন। তিনি খাদিজার হয়ে মুহাম্মদ (সাঃ) এর কাছে বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যান। এরপর দুই পক্ষের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।

তাদের বিয়েতে আবু তালিব, হামযাহসহ অনেক বিশিষ্ট কুরাইশ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সকলের সামনে বিয়ের খুৎবা প্রদান করেন আবু তালিব। আরবী গদ্যসাহিত্যে এই খুৎবা এখনো বিশেষ স্থান অধিকার করে আছে। বিয়ের মোহরানা ছিলো ৫০০ স্বর্ন মুদ্রা। খাদিজা নিজেই দুই পক্ষের খরচাদি বহন করেন। তিনি দুই উকিয়া সোনা ও রুপা মুহাম্মদ (সাঃ) কে দেন , যেন তা দিয়ে উভয়ের পোশাক ও ওয়ালীমার (বৌভাত অনুষ্ঠান) আয়োজন করতে পারেন। বিয়ের সময় খাদিজার বয়স ছিলো ৪০ বছত এবং মুহাম্মদ (সাঃ) এর বয়স ছিলো ২৫ বছর। মুলত মুহাম্মদ (সাঃ) এর চারিত্রিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে খাদিজা তাকে বিয়ে করেন।

সন্তান

মুহাম্মদ (সাঃ) এর ঘরে খাদিজা ৬ জন সন্তানের জন্ম দেন। তাদের প্রথম সন্তান কাসিম। অল্প বয়সে কাসিম মক্কায় মৃত্যুবরণ করে। এই সন্তানের নাম অনুযায়ী মুহাম্মদ (সাঃ) এর নাম হয় আবুল কাসিম। এরপর জন্ম হয় যয়নবের। তৃতীয় সন্তান আব্দুল্লাহ জন্মগ্রহণ করে ইসলাম ধর্ম আগমনের পর। তাই তার উপাধি হয় "তাইয়্যেব ও তাহির"। আব্দুল্লাহও অল্প বয়সে মারা যান। এরপর জন্মগ্রহণ করেন রুকাইয়া, উম্মে কুলসুম এবং ফাতিমা। খাদিজা উকবার দাসী সালামাকে সন্তানদের দেখাশোনা করার জন্য নিয়োগ দিয়েছিলেন।

ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

মুহাম্মদ (সা.) তৎকালীন আরবের সামাজিক অবক্ষয়, যুদ্ধ-বিগ্রহ, হিংসা, হানাহানি থেকে মানুষের মুক্তি কিভাবে হবে তা নিয়ে চিন্তা করতেন। ত্রিশ বছর বয়স হয়ে যাওয়ার পর মুহাম্মাদ (সা.) প্রায়ই মক্কার অদূরে হেরা গুহায় ধ্যানমগ্ন অবস্থায় কাটাতেন। তার স্ত্রী খাদিজা নিয়মিত তাকে খাবার দিয়ে আসতেন। হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী এমনি একদিন ধ্যানের সময় ফেরেশতা জিবরাইল তার কাছে আল্লাহপ্রেরিত বাণী নিয়ে আসেন এবং তাকে কিছু পংক্তি দিয়ে পড়তে বলেন। উত্তরে মুহাম্মাদ জানান যে তিনি পড়তে জানেন না, এতে জিবরাইল তাকে জড়িয়ে ধরে প্রবল চাপ প্রয়োগ করেন এবং আবার একই পংক্তি পড়তে বলেন। কিন্তু এবারও মুহাম্মাদ(সা.) নিজের অপারগতার কথা প্রকাশ করেন। এভাবে তিনবার চাপ দেওয়ার পর মুহাম্মাদ(সা.) পংক্তিটি পড়তে সমর্থ হন। মুসলিমদের ধারণা অনুযায়ী এটিই কুরআনের প্রথম আয়াত গুচ্ছ; সুরা আলাকের প্রথম পাঁচ আয়াত। বর্ণনায় আরও উল্লেখ আছে প্রথম বাণী লাভের পর মুহাম্মাদ (সা.) এতই ভীত হয়ে পড়েন যে কাঁপতে কাঁপতে নিজ গৃহে প্রবেশ করেই খাদিজাকে কম্বল দিয়ে নিজের গা জড়িয়ে দেওয়ার জন্য বলেন। বারবার বলতে থাকেন, "আমাকে আবৃত কর"। খাদিজা নবী (সা.) এর সকল কথা সম্পূর্ণ বিশ্বাস করেন এবং তাকে নবী হিসেবে মেনে নেন। ভীতি দূর করার জন্য মুহাম্মাদকে নিয়ে খাদিজা নিজ চাচাতো ভাই ওয়ারাকা ইবন নওফেলের কাছে যান। নওফেল তাকে শেষ নবী হিসেবে আখ্যায়িত করে। এভাবে খাদিজা ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।

ইসলাম প্রচারে অবদান

ইসলাম ধর্মের সূচনালগ্নে মুহাম্মদকে সবচেয়ে বেশি সহযোগিতা করেছিলেন খাদিজা। ধীরে ধীরে খাদিজার সমস্ত সম্পদ মুহাম্মদ দান করে দিতে থাকেন। এতে খাদিজা তাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে প্রচন্ড অর্থকষ্ট শুরু হয়, অনাহারে খোলা মাঠে দিন কাটাতে হয়। নবুওয়তের সপ্তম বছরে মক্কার কুরাইশরা মুসলিমদের বয়কট করে। তারা সবাই মিলে "শিয়াবে আবু তালেব" নামক স্থানে আশ্রয় গ্রহণ করে। অন্যান্য মুসলিমদের সাথে খাদিজাও সেখানে ছিলেন। প্রায় ৩ বছর তিনি সেখানে ছিলেন। তখন গাছের পাতা খেয়েও দিন কাটাতে হয়েছে তাদের। খাদিজা তখন কুরাইশদের ওপর নিজের প্রভাব খাটিয়ে খাদ্যের ব্যবস্থা করে দিতেন মুসলিমদের। তার তিন ভাতিজা- হাকিম বিন হিযাম, আবুল বুখতারি ও যুময়া ইবনুল আসওয়াদ, তারা সবাই ছিলেন কুরাইশ নেতা। এই ৩ ভাতিজার মাধ্যমে মুসলিমদের মধ্যে খাদ্য সরবরাহ করতেন খাদিজা। এত কষ্ট সহ্য করেও ইসলাম ধর্ম প্রচারে খাদিজা সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে থাকেন। একটি বর্ণনা অনুযায়ী কাবা শরীফের কাছে ৩ জনকে নামায পড়তে দেখা গেলো। আব্বাস বলেন, তাদের একজন আমার ভাতিজা মুহাম্মদ, অন্যজন আমার আরেক ভাতিজা আলী এবং তৃতীয়জন এক মহিলা, তার নাম খাদিজা।

মৃত্যু

খাদিজার কবরের ওপর নির্মিত সৌধ, বর্তমানে সৌধটি ভেঙে ফেলা হয়েছে

মুহাম্মদের সাথে বিয়ে হওয়ার ২৫ বছর পর ৬৫ বছর বয়সে রমজান মাসের ১০ তারিখে খাদিজা মক্কায় মারা যান। তখনও ইসলাম ধর্মে মৃত ব্যক্তির জন্য জানাযার নামায পড়ার বিধান ছিলো না। তাই তাকে জানাযা ছাড়াই মক্কার কবরস্থান জান্নাতুল মুয়াল্লায় দাফন করা হয়। মুহাম্মদ নিজেই তার লাশ কবরে নামান।

ইসলাম ধর্মে খাদিজার মর্যাদা

ইসলাম ধর্মে খাদিজার মর্যাদা অন্যান্য মহিলাদের চেয়ে অনেক উপরে। তিনি প্রথম ইসলাম ধর্ম গ্রহণকারী ব্যক্তি। মুহাম্মদের সাথে প্রথম নামায তিনিই পড়েছিলেন। ইসলাম ধর্ম অনুয়ায়ী বর্ণিত আছে যে, ফেরেশতা জিবরাইল মুহাম্মদকে বলেন, "আপনি তাকে (খাদিজা) আল্লাহ ও আমার পক্ষ থেকে দেওয়া সালাম পৌঁছিয়ে দিন।"বুখারী ও মুসলিমের হাদীসে বলা হয়েছে, "পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ মহিলা হলো মরিয়ম বিনতে ইমরান ও খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ।" আরো বলা হয়েছে, " জান্নাতে তাঁকে মণি-মুক্তার তৈরী একটি প্রাসাদের সুসংবাদ দিন।"খাদিজা সম্পর্কে মুহাম্মদ বলেন, "মানুষ যখন আমাকে মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিতে চেয়েছে, তখন সে আমাকে সত্য বলে মেনে নিয়েছে। সবাই যখন কাফির (অবিশ্বাসী) ছিলো, তখন সে ছিলো মুসলিম। কেউ যখন আমার সাহায্যে এগিয়ে আসে নি, তখন সে আমাকে সাহায্য করেছে।"

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Sayyid Ali Ashgar Razwy। "The Birth of Muhammad and the Early Years of his Life"। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৭
  2. Cheema, Waqar Akbar (৪ ডিসেম্বর ২০১৭)। "The Age of Khadija at the Time of her Marriage with the Prophet: Abstract"। ১৫ এপ্রিল ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১৯
  3. "Wife of the Prophet Muhammad"। ১৪ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০১৯
  4. আল-ইসাবা
  5. শারহুল মাওয়াহিব, আল-ইসতিয়াব
  6. আল-ইসাবা: ৪/২৮১
  7. আসহাবে রাসূলের জীবনকথা - মুহাম্মদ আবদুল মা'বুদ, আরবি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

বহিঃসংযোগ

This article is issued from Wikipedia. The text is licensed under Creative Commons - Attribution - Sharealike. Additional terms may apply for the media files.