কাঁকড়াজিরিয়া
কাঁকড়াজিরিয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Dromas ardeola) বা কাঁকড়াভোজী বাটান Dromadidae (ড্রোমাডিডি) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত Dromas (ড্রোমাস) গণের অন্তর্ভুক্ত একমাত্র প্রজাতি।[2][3] পাখিটি বাংলাদেশ, ভারত ছাড়াও দক্ষিণ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশের উপকূলবর্তী অঞ্চলে দেখা যায়। কাঁকড়াজিরিয়ার বৈজ্ঞানিক নামের অর্থ ধাবমান ছোট বগা (গ্রিক: dromas = ধাবমান, লাতিন: ardeola = ছোট বগা)।[3] সারা পৃথিবীতে এক বিশাল এলাকা জুড়ে এরা বিস্তৃত, প্রায় ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এদের আবাস।[4] বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা অপরিবর্তিত রয়েছে, আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে।[1] বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এ প্রজাতিটিকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয় নি।[3]
কাঁকড়াজিরিয়া | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Charadriiformes |
পরিবার: | Dromadidae GR Gray, 1840 |
গণ: | Dromas Paykull, 1805 |
প্রজাতি: | D. ardeola |
দ্বিপদী নাম | |
Dromas ardeola Paykull, 1805 | |
![]() |
কাঁকড়াজিরিয়া পানিকাটা পাখিদের নিকট আত্মীয়। তবে বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্যের কারণে একে আলাদা গোত্রে স্থান দেওয়া হয়েছে এবং এরা এ গোত্রের একমাত্র সদস্য। কারাড্রিফর্মিস বর্গের সাথে প্রজাতিটির সম্পর্ক পরিষ্কার নয় বলে অনেকে একে মোটাহাঁটু ও বাবুবাটানের নিকট আত্মীয় বলে মনে করেন। আবার অনেকের মতে এরা অক ও গাঙচিলের সাথে সম্পর্কিত। পানিকাটা পাখিদের মধ্যে একমাত্র কাঁকড়াজিরিয়াই ডিম ফোটাবার জন্য মাটির উষ্ণতা ব্যবহার করে।
তথ্যসূত্র
- "Dromas ardeola"। The IUCN Red List of Threatened Species। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০১৩।
- রেজা খান (২০০৮)। বাংলাদেশের পাখি। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ৭৫। আইএসবিএন 9840746901।
- জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.) (২০০৯)। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: পাখি, খণ্ড: ২৬। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ২১০।
- "Crab Plover,Dromas ardeola"। BirdLife International। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-০৯-২৪।
বহিঃসংযোগ
- Crab Plover videos, photos & sounds on the Internet Bird Collection
- Images at www.naturlichter.com